বর্তমানে গবাদী পশু পালন থেকে আসা আয় কৃষকদের মোট আয়ের ২০ শতাংশ ছাড়িয়েছে । পশুচারণ ভূমিতে পশুপালক ও কৃষকের আয়ের অর্ধেকই পশুপালন থেকে আসে । গবাদি পশুপালন কৃষকদের আয় বৃদ্ধির এক নতুন উত্স পরিণত হয়েছে । ১৭ এপ্রিল চীনের উপকৃষিমন্ত্রী নিউ তুন পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পশুপালন সম্মেলনে এই কথা বলেছেন ।
জানা গেছে , চীনে মোট ১০ কোটি কৃষক গবাদি পশুপালনের কাজ করছেন । পশুপালনের উত্পাদন মূল্য কৃষির মোট উত্পাদন মূল্যের ৩৫ শতাংশ । কিন্তু চীনের পশুপালনের পদ্ধতি এখনও পশ্চাত্পদ, চীনের তৃণভূমিতে অতিরিক্ত গবাদি পশু চারণের সমস্যা আছে । উপমন্ত্রী নিউ তুন বলেছেন , পশুপালন যাতে কৃষকের আয়ের একটি স্থিতিশীল উত্স হয় , সেজন্য পরবর্তীকালে চীন উন্নতজাতের গবাদি পশুর প্রজনন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে , তৃণভূমি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেবে , গবাদি পশুচারণ সংক্রান্ত সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করবে এবং পশুপালকদের বাজারের চাহিদা অনুসারে পশুচারণের উত্পাদন পরিকল্পনা তৈরীর সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চালাবে ।
তিনি আরো বলেছেন , চীন অন্যান্য দেশের সঙ্গে পশুপালন ক্ষেত্রের আদান-প্রদান জোরদার করতে এবং তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
|