v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-14 11:11:00    
১৬ এপ্রিল

cri
** ইউরোপ অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠিত

১৯৪৮ সালের ১৬ এপ্রিল ইউরোপ অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় যুদ্ধের পর ইউরোপে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি দারুনভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। মিলিতভাবে ম্যাথাস পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে ইউরোপের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি ১৮টি দেশ ১৯৪৮ সালের ১৬ এপ্রিল গৃহীত "ইউরোপ অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি" অনুযায়ী ইউরোপ অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে।

তার লক্ষ্য হলো বিভিন্ন সদস্যদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সাহায্য কার্যকরী করতে সুনিশ্চিত করা, বিভিন্ন সদস্যদেশের অর্থনৈতিক শক্তি কাজে লাগানো এবং ইউরোপের অর্থনৈতিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করা।

১৯৬১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ইউরোপ অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা আবার অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়।

** হংকং মৌলিক আইন প্রণয়ন কমিটির সদস্যর সঙ্গে তেং সিওপিংয়ের সাক্ষাত্

হংকং দক্ষিণ চীন সাগরের তীরে, চুচিয়াং নদীর মোহনার পূর্ব দিকে এবং কুয়াংতুঙ প্রদেশের সেনচেন শহরের সেনচেন নদীর দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত । হংকং দ্বীপ, কাউলোং,সিনকাই আর তার আশেপাশের দ্বীপগুলো নিয়ে হংকং গঠিত হংকংয়ের আয়তন ১০৯৮.৫১ বর্গকিলোমিটার । ২০০২ সালের শেষ নাগাদ হংকংয়ের মোট লোকসংখ্যা ছিল ৬৮ লক্ষ ১৫ হাজার ৮০০ । এর মধ্যে স্থায়ী নাগরিকের সংখ্যা ৬৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৩০০ । পরিবর্তনশীল অধিবাসীদের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৫০০ । ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই হংকংয়ে চীনের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার হয় এবং হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয় ।একে সংক্ষেপে কাং বলে ডাকা হয়।

১৯৮৭ সালের ১৬ এপ্রিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিশনের মহাপরিচালক তেং সিওপিং হংকংয়ের মৌলিক আইন প্রণয়ন কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সময় " এক চীন দুই ব্যবস্থার " নীতি ব্যাখ্যা করেন । তিনি বলেছেন, চীন অবিচলভাবে স্বাধীন আর স্বতন্ত্র শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরন করে।এই নীতির মৌলিক লক্ষ্য হলো চীনের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব ও ভূভাগীয় অখন্ডতা রক্ষা করা, চীনের সংস্কার , উন্মুক্ততা আর আধুনিক গঠনকাজের জন্য একটি চমত্কার আন্তর্জাতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং বিশ্বশান্তি রক্ষা করা ও অভিন্ন উন্নয়ন তরান্বিত করা ।

তিনি আরো বলেন হংকং স্বদেশে ফিরে আসার পর ৫০ বছরের জন্যে প্রচালিত বস্থার পরিবর্তন হবে না এবং ৫০ বছরের পরও এর পরিবর্তনের দরকার আরো সুদূর পরাহত। এই নীতি ম্যাকাও ও তাইয়ানের জন্যেও প্রযোজ্য।

১৯৭৯ সালের ২৯ জানুয়ারি চীনের তত্কালীন উপ-প্রধানমন্ত্রী তেং সিয়াও ফিং যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর সফর শুরু করেন । ৩০ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে তিনি বলেছেন, " কি উপায় দিয়ে মাতৃভূমির কোলে তাইওয়ানের প্রত্যাবর্তনের সমস্যা সমাধান করা হবে, তা চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার "। মাতৃভূমির কোলে তাইওয়ান ফিরে আসলে আমরা সেখানকার বাস্তবতা ও প্রচলিত ব্যবস্থার উপর সম্মান করবো।

১৯৭৯ সাল থেকে চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি তেং সিয়াও পিংয়ের উথ্থাপিত সংস্কার ও উন্মুক্ত নীতি কার্যকরী করতে শুরু করে । সংস্কার অভিযান শুরু হওয়ার পর চীনের জাতীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বকাঁপানো সাফল্য পাওয়া গেছে এবং দেশের অবয়বের আমুল পরিবর্তন ঘটেছে।এই সময়পর্ব নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে ভালো সময়পর্ব,এই সময়পর্বে জনসাধারণ সবচেয়ে বেশী সুযোগসুবিধা পেয়েছেন।