v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-14 11:05:36    
১৫ এপ্রিল

cri
** মাওরিশাসের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত

    মাওরিশাস আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলের ভারত মহাসাগরে অবস্থিত। এর আয়তন ২ কোটিরও বেশি বর্গকিলোমিটার, জনসংখ্যা প্রায়১১ লক্ষেরও বেশি।

    গত শতাব্দীর ৯০'র দশকের পর মাওরিশাস সরকার অর্থনীতির বহুমুখী উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে । মাওরিশাস সরকার চিনি , রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এবং পর্যটন এই তিনটি অর্থনৈতিক মেরুদন্ড স্থানীয় শিল্পকে সুসংবদ্ধ আর জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে যথাক্রমে শুল্ক ক্ষেত্রে সুবিধাজনক নীতি ভোগকাধী বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে । স্টক এক্সচেঞ্জ , স্ট্যান্ড অফ ব্যাঙ্ক, অবাদ বন্দর ইত্যাদি খোলা হয়েছে। বিদেশী পুঁজিবিনিয়োগকেও উত্সাহ দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আর্থিক কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হয়।

    এখন মাওরিশাসের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উত্পাদন মূল্য জি ডি পির ১৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। তা মোট রপ্তানি আয়ের তিন ভাগের দুই ভাগ। মাওরিশাসে এখন ১২ হাজার বিদেশী শ্রমিক কাজ করছেন । তাদের মধ্যে চীনের শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক।

    জাতি সংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী সংস্থা জাতীয় বিকাশের মানদন্ড অনুযায়ী মাওরিশাসকে "জাতীয় উন্নয়নের উচ্চ মানের দেশের " তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে। পৃথিবীতে  এই দেশ ৬০তম স্থানে রয়েছে। আর আফ্রিকায় এর স্থাপন প্রথম। ফলে মাওরিশাস "আফ্রিকান অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের আদর্শ" বলে পরিচিত।

    ১৯৬৮ সালের ১২ মার্চ মাওরিশাস স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯২ সালের মার্চ মাসে প্রজাতন্ত্রী ব্যবস্থা হয়।

    ১৯৭৪ সালের ১৫ এপ্রিল মাওরিশাসের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ।

** ইয়ুনান ছুসুং ই জাতির স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ প্রতিষ্ঠিত

    ১৯৫৮ সালের ১৫ এপ্রিল ইয়ুনান ছুসুং ই জাতির স্বায়ত্তশাসিত বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

    চীনের সুদীর্ঘকালের ঐতিহাসিক বিকাশে হান জাতির প্রাধান্য এবং বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত এলাকা দেখা দিয়েছে। ৫৫টি সংখ্যালঘু জাতির মধ্যে হুই জাতি আর মান জাতি হান ভাষা ব্যবহার করে। বাকী জাতিগুলো যার যার নিজস্ব ভাষা বা হান ভাষা ব্যবহার করে। বহু বছর ধরে ৫৬টি জাতি চীনের ৯৬লক্ষ বর্গ কিলোমিটার ভূমিতে সম্মিলিতভাবে শ্রম করে আর বংশ বিস্তার করে চীনের দীর্ঘকালীন ইতিহাস আর উজ্জ্বল সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে।

    ই জাতির লোকসংখ্যা ৭৭ লাখেরও বেশি । তারা প্রধানতঃ ইয়ুনান , সিছুয়ান ও কুইচৌ প্রদেশে আর কুয়াংশি স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চলে থাকেন । ই জাতি ই ভাষা ব্যবহার করে , এই ভাষা হান-তিব্বতী ভাষা ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত । যারা হান জাতির লোকদের সঙ্গে থাকেন আর বেশি যোগাযোগ বজায় রাখেন , তারা হান ভাষা জানেন। চীনে ই জাতি এমন একটি সংখ্যালঘুজাতি , যার লোকসংখ্যা বেশি , বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাস করেন আর ইতিহাস সুদীর্ঘকালের ।

    দু'হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে উত্তরাংশের তি ছিয়াং জাতি আর দক্ষিণাংশের উপজাতির নিরন্তর মিলনের ফলে একটি নতুন জাতি-- ই জাতি দেখা দেয় । ইতিহাসে ই জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলোঃ দাস ব্যবস্থা বজায় রাখা ।

    ১৯৪৯ সালে নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর গণতান্ত্রিক সংস্কার চালাবার পর ই জাতির সমাজে ধীরে ধীরে অবশিষ্ট দাস ব্যবস্থার দেবতা বিলুপ্তি হয়। আগে ই জাতির লোকেরা বহু পুজা করতেন । ছিং রাজবংশের প্রথম দিকে তাদের মধ্যে তাও ধর্ম প্রচলিত ছিলো । উনবিংশ শতাব্দির শেষ নাগাদ ক্যাথলিক ধর্ম আর খ্রীষ্টান ধর্ম ই জাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে প্রচলিত হয়। কিন্তু তখন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা খুব কম ছিলো ।