** ২৬তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতা পেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত
১৯৬১ সালের ৪ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২৬তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপ পেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় । চৌ এন লাই, তেং সিয়াও পিং, হো লুং, লি ফু ছুন, লু দিং ই, লুও রুই ছিং , লুও রুং হুয়ান, শেন জুন রু, কুয়াও মো রুও, লি ওয়েই হান, চেন শু থুং প্রমূখ চীনের নেতৃবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৪ এপ্রিল বিকালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীচৌ এনলাই ২৬তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপে অংশ নেওয়ার জন্য আসা বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। পাঁচটি মহাদেশের ত্রিশাধিক দেশ এবং অঞ্চলের দুই শতাধিক শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় এ প্রতিযোগিতায় তাদের চমত্কার নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। চীনের টেবিল টেনিস দল পুরুষ দলগত দফায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় এবং চীনের খেলোয়াড় চুয়াং জে তুং, ছিও চুং হুই যথাক্রমে পুরুষ ও নারী এককে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন।
** সম্রাট সুই ইয়াং মহাখাল নির্মাণের আদেশ জারি
৬০৫ খ্রীষ্টাব্দে ১৪ এপ্রিল সম্রাট সুই ইয়াং মহাখাল নির্মাণের আদেশ দেন । তার দৈর্ঘ্য ২০০০ কিলোমিটার।
৫৮১ খ্রীষ্টাব্দে সম্রাট ইয়াং চিয়ান সুই রাজবংশ স্থাপন করেন । ৬১৮ খ্রীষ্টাব্দে সুই রাজবংশের সম্রাট ইয়াংকুয়াংকে ফাঁসি দেয়া হয় । মাত্র ৩৭ বছর স্থায়ী সুই রাজবংশ ছিল একটি স্বল্প আয়ুর রাজবংশ । সম্রাট ইয়াং চিয়ানের অবদান ছিল সর্বাধিক ।তিনিই উত্তর চৌ রাজবংশীয় আমলের শাসনপদ্ধতি বাতিল করে দেশকে তিনটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং ছটি বিভাগ নিয়ে রাজসভা গঠন করেন ।
তিনি যে নতুন আইন প্রনয়ন করেন , তা দক্ষিণ আর উত্তর রাজত্বকালের আইনের মত নিষ্ঠুর ছিল না । সেই সময়ে চীনে যে মহাখাল খনন করা হয়েছিল তার অর্ধেক অবদান ছিল সম্রাট ইয়াংকুয়াংয়ের ,যদিও দক্ষিণ চীন ভ্রমনের জনেই তিনি মহাখাল খননের আদেশ দিয়েছিলেন । এই ছাড়া তার চরিত্র সম্পর্কে জনসাধারণের মনে ভালো ধারণা ছিল না ।
উপরন্তু তাঁর নিষ্ঠুর আচরণ ইতিহাসে ছিল কুখ্যাত । তিনি যে মাত্রাতিরিক্ত রাজকর আদায় করেন , তাতে জনসাধারনের মধ্যে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয় ,এর কুফল হিসেবে তাঁকে ফাঁসী দেয়া হয় জিয়াংতু শহরে ,সেই সংগে সুই রাজবংশের বিলুপ্তিও ঘটে ।
** ঐতিহাসিক চিয়ান বোজানের জন্ম
১৮৯৮ সালের ১৪ এপ্রিল চীনের হুনান প্রদেশের থাও ইউয়ান জেলায় ঐতিহাসিক চিয়ান বোজানের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন চীনের উইগুর জাতির লোক।
১৯১৯ সালে তিনি চীনের উছাং বাণিজ্যিক কলেজ থেকে পাশ করেন। ১৯৩৭ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন।
নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসার ভাইস চ্যানসোলার, এবং চীনা বিজ্ঞান একাডেমীর সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সদস্য ছিলেন।
তিনি চীনের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম জাতীয় কমিটির সদস্য, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় জাতীয় গণকংগ্রেসের প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রীয় জাতি বিষয়ক কমিশনের সদস্য ছিলেন । বহুবার বিদেশে গিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও বিদ্যাগত কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করেন।
** ৩৬তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপ
চীনের টেবিল টেনিস খেলোয়াড়রা ১৯৮১ সালের ১৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত জুগোস্লাভিয়ায় অনুষ্ঠিত ৩৬তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশীপে সকল সাতটি চ্যাম্পিয়নশীপ অর্জন করে বিশ্ব টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতার ৫৫ বছরের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।
|