রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের মহান কবি ।তিনি তাঁর মাতৃভাষা বাংলায় অনেক চমত্কার কবিতা ও গল্প-উপন্যাস ইত্যাদি সাহিত্যকর্ম রচনা করেছেন। তিনি সাহিত্যে নবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রথম এশীয় ব্যক্তি। ১৯২৪ সালের ১২ই এপ্রিল তিনি চীন সফরের জন্য সাংহাই পৌঁছেন এবং পরদিন সাংহাইয়ে বিভিন্ন বিদ্যাসমিতির আমন্ত্রণক্রমে বক্তৃতা দেন । তার পর তিনি চীনের হাংচৌ, নানচিং, চিনান, পেইচিং, থাইইউয়ান, উহান প্রভৃতি স্থান সফর করেন এবং বক্তৃতা দেন। সফরশেষে তিনি ৩০শে এপ্রিল জাহাজযোগে জাপানের উদ্দেশ্যে চীন ত্যাগ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর - দক্ষিণ যুদ্ধ শুরু
১৮৬১ সালের ১২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর - দক্ষিণ যুদ্ধ--মার্কিন গৃহ যুদ্ধ শুরু হয়। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় বুর্জোয়া বিপ্লব। ঊনবিংশ শতাব্দির পঞ্চাশের দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন দ্বন্দ্ববিরোধ দেখা দেয় এবং সেগুলো কেন্দ্রীভুত হয় দাসপ্রথা সমস্যার ওপর। ১৮৬০ সালে আব্রাহ্যাম লিনকন প্রেসিডেণ্ট নির্বাচিত হন । তিনি ধাপে ধাপে দাসব্যবস্থা বাতিল করার প্রস্তাব দেন। তা দেশের দক্ষিণাংশের দাসমালিক শ্রেণীর অসন্তোষ উসকে দেয় । অতএব ৮ ডিসেম্বর দক্ষিণ ক্যারোলিনা অংগ্যরাজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করে। তার পর জর্জিয়া,এলাবামা, ফ্লোরিডা, মিসিসিপি, লুইসিয়ানা এবং ট্যাক্সাস ইত্যাদি অংগ্যরাজ্যও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করে এবং ১৮৬১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণাংশের বিভিন্ন অংগ্যরাজ্যের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় এবং " মার্কিন সংযুক্ত রাষ্ট্র" অর্থাত্ "দক্ষিণ জোট" গঠনের কথা ঘোষিত হয়। পরে ভারজিনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, টেনেসি এবং আরকানসাস এই চারটি অংগ্যরাজ্যও এই জোটে যোগ দেয়। রিচমণ্ড শহরকে তাদের রাজধানী হিসেবে ধার্য করা হয়। ১২ এপ্রিল এই জোটের বাহিনী সামস্টার কেল্লার(দুর্গের) ওপর গোলাবর্ষণ করে এবং এটাই উত্তর-দক্ষিণ যুদ্ধের শুরু।
চীনের তাওধর্ম সমিতি প্রতিষ্ঠিত
১৯৫৭ সালের ১২ এপ্রিল চীনের তাওধর্ম সমিতি পেইচিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তাও ধর্ম চীনের নিজস্ব ধর্ম এবং তা চীনেই উদ্ভূত এক রকম ধর্ম। এটা চীনের প্রাচীন কালে চীনা দেবদেবী উপাসনা করার এক রকম ধর্ম। লাওজি বা লাওসিয়াসকে তাওধর্মের ধর্মগুরু বলে গণ্য করা হয়।
চীনের তাওধর্ম সমিতির উদ্দেশ্য ও কর্তব্য হলো; সারা দেশের তাও ধর্মাবলম্বীদের ঐক্যবদ্ধ করা, তাওধর্মের উত্কৃষ্ট ঐতিহ্যকে উত্তরাধিকারসূত্রে গ্রহণ করা এবং তা আরও বিকশিত করা; গণ-সরকারের নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে মাতৃভূমির সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়নের গঠনমূলক কাজে অংশ নেয়া, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতার নীতি কার্যকরীকরণে সরকারকে সহায়তা দেয়া, তাওধর্ম গবেষণার কাজ চালানো এবং বিশ্ব শান্তি সংরক্ষণ করা।
বোআও এশিয়া ফোরামের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন
২০০২ সালের ১২ এপ্রিল বোআও এশিয়া ফোরামের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন চীনের হাইনান দ্বীপের ওয়ানছুয়েন নদী তীরে বোআও নামক স্থানে উদ্বোধনহয়। তখনকার চীনা প্রধানমন্ত্রী চু রোংচি সম্মেলনে মূল বক্তব্য রাখেন । চীন , জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যাণ্ড ইত্যাদি ৪৮টি দেশ আর অঞ্চল থেকে আসা সরকারী কর্মকর্তা , বিশেষজ্ঞ এবং শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী সহ মোট দু হাজার লোক এই বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা, এবং বিশেষ বিশেষ দেশের অর্থনীতির বিশ্লেষণ, এশিয়া অঞ্চলের অবাধ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং তার ভবিষ্যত্ , এশিয়ার মুদ্রা ও আর্থিক সহযোগিতা, টেকসই উন্নয়ন, গণমাধ্যমের বিশ্বায়ন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
|