v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-11 17:05:09    
বানর রাজা সুন উখোং (৩৬)

cri
    উখোং উড়ে গেলো বৃদ্ধার কাছে । দড়ি ও বালতি চেয়ে নিলো তার কাছ থেকে । সঙ্গে নিলো ভিক্ষু শাকেও । আবার তারা এলো ঝরণার কাছে ।

    তাও ঋষি ইচ্ছানন্দ আবারও উপঢৌকন চাইলেন । নইলে ঝরণার পানি দেবেন না তিনি । অতএব আবার যুদ্ধ শুরু হলো । ঐ সুযোগে ভিক্ষু শা পাত্র ভরে ঝরণার পানি নিলো । সে চিত্কার করে তা উখোংকে জানিয়েও দিলো ।

    উখোং ইচ্ছানন্দকে এক ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিলো । তারপর গুরুভাইকে সঙ্গে করে উড়ে এলো বৃদ্ধার বাড়ি । বলে গেলো , তোর আয়ু কয়েকবছর বাড়িয়ে দিলাম ।

    পাচিয়ের অবস্থা কাহিল । সে তারম্বরে কাঁদছিল । উখোং তা নিয়ে একটু রসিকতাও করলো । বললো , ওঁয়া ওঁয়া কখন হবে ? পাচিয়ে কেঁদে উঠলো উখোং-এর দিকে তাকিয়ে ।

    ঝরণার পানি খেয়ে আচার্য এবং পাচিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলো দ্রুত । কেটে গেলো বিপদ । হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো সকলে । বৃদ্ধা জাউ রান্না করে সবাইকে খেতে দিলেন । পাচিয়ে কুড়ি বাটি জাউ খেলো একাই । যাই হোক , সুস্থ হয়ে পরদিন আবার দলবল সহ আচার্য পশ্চিম দেশের পথে পা বাড়ালেন । যতোই বাধা বিপদ আসুক থেমে থাকার উপায় নেই আচার্যের । ঘোড়ার পিঠে উঠলেন আচার্য । পাচিয়ে ধরলো লাগাম । ভিক্ষু শা কাঁধে নিলো মালপত্র । আর উখোং আগে আগে পথ দেখিয়ে চলতে লাগলো ।

    সন্তান দাত্রি নদির তির থেকে প্রায় চার ক্রোশ পথ যাওয়ার পর আচার্যরা পশ্চিম লিয়াং রাজ্যের সিমানায় এসে পৌঁছুলেন । সামনেই পড়লো এক শহর । লোকালয়ের শব্দও পাওয়া গেলো । শহরের নাম , পশ্চিম লিয়াং নারি ভুমি ।

    শহরে ঢুকে আচার্য দেখলেন যে কোথাও কোনো পুরুষ নেই । সবাই মেয়ে এবং সুন্দরি । যেনো স্বর্গের দেবি কিন্নরি । সবারই মাথায় খোঁপা আর পরনে বর্ণালি পোশাক । শহরে চারজন অচেনা পুরুষ দেখে প্রথমে তারা সকলে খুব অবাক হলো । তারপর হো হো করে হাসতে লাগলো । পাচিয়ে তার কান নাড়িয়ে ভয় দেখালো ওদের । মেয়েরা পালিয়ে গেলো ছুটে ।

    এক মহিলা সরকারি কর্মচারি আচার্যের সামনে এসে বললো , বিনা অনুমতিতে এই শহরে প্রবেশ নিষেধ । আর প্রবেশ করলেও পুরুষ অতিথি শালায় গিয়ে নাম লেখাতে হবে প্রথমে ।

    আতিথিশালায় গেলো সবাই । সেখানে পৌঁছে , দেখা গেলো যে অতিথিশালার কর্মচারিরাও সবাই মহিলা । সেখানে দরজার উপর লেখা আছে , "পুরুষ স্বাগত নিবাস" । এক মহিলা জানালো , সে এই রাজ্যের রানিকে আচার্যদের খবর জানাবে । রাণিই বলবেন যে ছাড়পত্র জমা নেয়া এবং ফেরত দেয়া যাবে কি না ।

    রাণি খবর শুনে বললেন , বহু বছর যাবত এ রাজ্যে কোনো ছেলে নেই । এখন সুয়ান চুয়াং এসেছেন , আমি তাঁকে বিয়ে করতে চাই । তাহলে আমাদের সন্তানরা বংমানুক্রমে রাজত্ব করবে ।

    রাণির আদেশে এক মহিলা ঘটক নিয়ে কয়েকজন কর্মচারি এলো অতিথিশালায় । তারা রাণির ইচ্ছের কথা জানালো আচার্যকে । আচার্য বললেন , অসম্ভব । আমি সন্যাসি । বিয়ে করা আমার বারণ । কিন্তু তারা নাছোড় বান্দা । কোনো কথাই শুনতে চায় না । তাছাড়া রাণির ইচ্ছে মানেই তো হুকুম । সেটা কেউ অমান্য করতে পারবে না ।