** লেবানন আর ইজরাইলের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষ
১৯৯৬ সালের ৮ এপ্রিল লেবাননের দক্ষিণাংশের একজন নাগরীক ইজরাইলের মাইন বিস্ফোরণে আহত হলে দু দেশের মধ্যে গুরুতর সামরিক সংঘর্ষ শুরু হয়।
৯ এপ্রিল ভোরবেলায় লেবাননের হিন্জবুল্লাহ গেরিলারা ইজরাইলের উত্তরাংশে দুটো রকেট নিক্ষেপ করে। তবে সঙ্গে সঙ্গে ইজরাইলের সৈন্যবাহিনী লেবাননের দক্ষিণাংশে পাল্টা গোলাবর্ষণ করে।
১১ আর ১২ তারিখে ইজরাইল লেবাননের দক্ষিণাংশ এবং বৈরুতের দক্ষিণ উপকন্ঠের হিন্জবুল্লাহ গেরিলা ঘাঁটির উপর বিরাটাকারের বিমান আক্রমণ চালায়। ১৯৮২ সালে লেবানন যুদ্ধ হওয়ার পর এটা ছিল বৈরুতে ইজরাইলের প্রথম বিমান আক্রমন। এই বিমান আক্রমনে ২০জন নিহত এবং ৫০জনের বেশী আহত হয়।লেবাননের গেরিলা ইজরাইলের উত্তরাংশে রকেট উত্ক্ষেপন করলে বেশ কয়েকজন লোক হতাহত হয়। বিশ্ব সমাজ সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের উদ্দেশ্যে লড়াই অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানায় ।
১৮ এপ্রিল জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত ১০৫২ নম্বর প্রস্তাবে সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের উদ্দেশ্যে বৈরী তত্পরতা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। ২৬ এপ্রিল বিভিন্ন পক্ষের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে লেবানন এবং ইজরাইলের মধ্যে যুদ্ধ-বিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।
** কোফি আন্নানের জন্ম
১৯৩৮ সালের ৮ এপ্রিল কোফি আন্নানের জন্ম হয়।
১৯৯৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাতে সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে তখনকার শান্তিরক্ষা বিষয়ক উপমহাসচিব কোফি আন্নানকে নতুন মেয়াদের জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ করার জন্য সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । ১৭ তারিখে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কণ্ঠভোটে গৃহীত একটি প্রস্তাবে সাহারা মরুভুমির দক্ষিণ দিকের ঘানার নাগরিক কোফি আন্নানকে আগেকার মহাসচিব বুট্রোস ঘালির স্থলে জাতিসংঘের সপ্তম মহাসচিব নিযুক্ত করা হয়, অতএব বিশ্বের এই বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ৫১ বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো একজন কৃষ্ণাঙ্গকে তার সর্বোচ্চ পদে নিযুক্ত করা হল ।
ছোটবেলা থেকেই ঐতিহ্যিক শিক্ষাদীক্ষায় শিক্ষিত কোফি আন্নান চালচলন বা হাবভাবে খুবই সুমার্জিত , লোকদের সঙ্গে খুব খোলাখুলীভাবে আন্তরিক ব্যবহার করেন । মহাসচিব নির্বাচিত হবার সময়ে তাঁকে খুব শান্ত দেখাচ্ছিলো । তিনি তখন বলেছেন, " এটা তেমন কিছু নয়, তবে আমি খুবই ভাগ্যবান ।" জাতিসংঘের ভেতরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভাল, কর্মীদের মনে তিনি এমন ছাপ রেখেছেন যে, " তিনি দায়িত্বের প্রতি খুব বিশ্বস্ত "। তাঁর আছে অসাধারণ সামর্থ্য, তিনি কাজে বস্তুনিষ্ঠ, জাতিসংঘের কূটনীতিকদের মধ্যে তিনি বেশ উচ্চ পর্যায়ের সম্মান ও খ্যাতি অর্জন করেন ।
** ভূতাত্ত্বিক মু সিচির মৃত্যু
১৯৮৭ সালের ৮ এপ্রিল চীনের চিয়াং সু প্রদেশের ফেং জেলায় বিখ্যাত ভূতাত্বিক মু সিচি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
১৯৪৩ সালে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম যৌথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করেন। চীনের কেন্দ্রীয় ভূতত্ত্ব তদন্ত বিভাগের প্রধান , চীনের বৈজ্ঞানিক কলেজের মূলভূভাগের প্রাচীর প্রাণী বিভাগের অধ্যাপক, উপ-প্রধান এবং চীনের প্রাচীন প্রাণী কমিটির উপ-প্রধান ছিলেন ।
|