** পেইচিং দক্ষিণ-দক্ষিণ সম্মেলনে অর্থনীতির উন্নয়নের ডাক
১৯৮৩ সালের ৭ এপ্রিল পেইচিংয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দুই চেয়ারম্যান ----" তৃতীয় বিশ্ব পুরস্কার " নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান ল্যানফার এবং চীনের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর উপদেষ্টা হুয়ান সিয়াং তাদের সারসংকলনে বলেন, উন্নয়নমুখী দেশগুলোর নিজ নিজ দেশের বাস্তবতা অনুসারে তাদের উন্নয়নের রণনীতি প্রণয়ন করা উচিত।এ সব রণনীতি ভিন্ন অঞ্চল তথা ভিন্ন দেশ অনুসারে পৃথক হয়। কিন্তু সকল উন্নয়নমুখী দেশের সাধারণ রণনীতিগত লক্ষ্য অভিন্ন। তা হচ্ছে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনকরা, উত্পাদন বাড়ানো এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করা। এ কয়েকটি দিক পরষ্পরের সঙ্গে জড়িত। এসব লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে হলে স্বধলম্বী হওয়ার নীতি অনুসরণ করতে হবে, সম্ভাব্য সমস্ত শক্তিকে সমাবেশিত করতে হবে এবং জনগণের সৃজনশীলতা করতে হবে।
সম্মেলনের দুই চেয়ারম্যান তাদের সারসংকলনে উল্লেখ করছেন উন্নয়নমুখী দেশগুলো সহযোগিতার মধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক সামর্থ্য জোরদার করলে এবং বিভিন্ন পক্ষের মতাধিষ্ঠান সমন্বিত করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে কোনো মূহূর্তে ঐক্য বান্চাল করার অপচেষ্টার প্রতি সতর্ক থাকলেই কেবল দক্ষিণ-উত্তর আলোচনার অগ্রগতি তরান্বিত করা যায় । সমতা আর পারষ্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা চালানো উচিত। প্রত্যেকটি দেশকে যেমন নিজের নিজের অবদান রাখতে হবে , তেমনি এই সহযোগিতা থেকে লাভকন হতে হবে । এই সহযোগিতা চালানোর উদ্দেশ্য হলো পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমে উন্নয়নমুখী দেশগুলোর অভিন্ন উন্নতি করা যাতে এই দেশগুলো অথনৈতিক স্বাধীনতার মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা সুসংহত করা যায়।
** জর্দানের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত
জর্দান পশ্চিম এশিয়ার অবস্থিত । তার আয়তন ৯১ হাজার ৩৯০ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা প্রায় ৪৩ লক্ষের বেশি । জর্দানের প্রধান জাতি হচ্ছে আরবী , সরকারী ভাষা হচ্ছে আরবী ভাষা। রাজধানী হলো আম্মান।
১৯৭৭ সালের ৭ এপ্রিল জর্দানের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
** বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস নির্ধারিত
১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৪৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং " বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন" গৃহীত হয়, ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এই সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এইদিন " বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস " বলে নির্ধারিত হয়।
১৯৪৮ সালের জুন মাসে প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন ডাকা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদরদফতরকে জেনেভায় রাখা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য হলো: বিশ্ব জনগণের স্বাস্থ্যগত মান উন্নত করা, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যগত কাজকর্মে পরামর্শ ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করা এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা উন্নয়ন করা।
** চীনে প্রথম স্বাস্থ্যকর শহর ঘোষণা
১৯৮৪ সালে চীনের প্রথম স্বাস্থ্যকর শহর --ওয়েইহাইতে গড়ে তোলা হয়।
বিদেশে বসবাসকারী ওয়েইহাই বাসীদের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার,তাদের মধ্যে ৩০ হাজার দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকে। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ওয়েইহাই শহরে দক্ষিণ কোরীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠাগুলোর সংখ্যা ৮০টিও বেশি।
|