**১৯৬৯ সালের ৬ এপ্রিল চাং জিচোং মৃত্যুবরণ করেন । চাং জিচোং চীনের আহুই প্রদেশের ছাও জেলার অধিবাসী ছিলেন । তাঁর সাবেক নাম পেনইয়াও । তিনি বাওতিং সামরিক স্কুল থেকে পাশ করেন । ১৯২৬ সালে তিনি উত্তরমুখী যুদ্ধে যোগ দেন । ১৯২৮ সাল থেকে তিনি চীনের কুওমিনতাং পার্টির পঞ্চম বাহিনীর সেনাপতি হন, চতুর্থ রুডবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কেন্দ্রীয় স্থলবাহিনীর কর্মকর্তা স্কুলের প্রধান শিক্ষক, নবম গ্রুপ বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হন এবং সোংহু জাপ-প্রতিরোধযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন । তারপর তিনি হুনান প্রদেশের গর্ভনর, কুওমিনতাং সরকারের সামরিক কমিটির রাজনৈতিকমন্ত্রী ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেন । তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে কুওমিনতাং পার্টির আলোচনা এবং শান্তিপূর্ণভাবে দেশ প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতী ছিলেন ।
নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর তিনি পর পর উত্তরপশ্চিম চীনের সামরিক ও রাজনৈতিক কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান, চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় কমিশনের ভাই -চেয়ারম্যান এবং কুওমিনতাং বিপ্লবী কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন ।
**৬ই এপ্রিল, ১৯১৯:ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী হরতাল অনুষ্ঠিত
বিশ্বব্যাপী বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেরণায় বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে উত্তাল জোয়ার দেখা দেয়।ভারতে ঔপনিবেশিক শাসন টিকিয়ে রাখার জন্য বৃটিশ ঔপনিবেশিকরা এক দিকে ভারতের উচ্চ স্তরের ব্যক্তিদের কাছে টোনে আনার চেষ্টা করে , অন্য দিকে গণ বিপ্লবী আন্দোলন নিমর্মভাবে দমন করার চেষ্টা করে।১৯১৯ সালের মার্চ মাসে জনসাধারণকে দমন করার উদ্দেশ্যে প্রণীত "রৌলাট আইন" ভারতের জনসাধারণের মাঝে প্রবল প্রতিবাদের আগুণ জাগিয়ে তুলে ।গণ বিপ্লবী সংগ্রামের দ্রুত বিকাশ ভারতের জাতীয় বুর্জোয়া শ্রেণীকেউদ্বুদ্ধ করে।মহাত্মা গান্ধী এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক কতৃর্পক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার অধিষ্ঠানের পরিবর্তন করে।এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্যে তারা ভারতের জনসাধারনের প্রতি ৬ এপ্রিল হরতাল এবং অনশন ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানায়।তবে এর সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সহিংস তত্পরতা গ্রহণ না করারও আহ্বান জানায়।এতে বুর্জোয়া শ্রেণীর দ্বিমুখী প্রকৃতি প্রতিফলিত হয়।কিন্তু ভারতীয় জনগণ কংগ্রাসের নিষেধাজ্ঞা ও বাধা ভেঙ্গে দিয়েছেন।১৯১৯ সালের ১০ এপ্রিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা পাঞ্জাবের অমৃতসরে জাতীয় আন্দোলনের দুজন কর্মনায়ককে গ্রেফতার করে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ৩০ হাজার লোক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন । সেদিন বিক্ষোভকারীরা ব্রিটিশ সৈন্যদের তাড়িয়ে দিয়ে অমৃতসর দখল করে।সে দিন রাতে ব্রিটিশ সৈন্যরা আবার এই নগরে প্রবেশ করেন।১৩ই এপ্রিল হাজার হাজার জনতা অমৃতসরের এক চত্বরে সমাবেশিত হয়।বৃটিশ সৈন্যরা চত্বরের প্রস্থান পথের গতিরোধ করে।এবং ১০ মিনিট ধরে মেশিনগান দিয়ে নিরস্ত্র জনতাদের উপর নিবির্চারে গুলিবর্ষন করে।কর্তৃপক্ষেরবহুলাংশে কমিয়ে আনা পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, গুলিবর্ষনে- প্রায়৪০০ জন লোক নিহত এবং ১২০০ জন আহত হন ।তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এই সংখ্যা এর কয়েকগুন বেশী হতে পারে। ইতিহাসে এটি বৃটিশ উপনিবেশবাদীদের সৃষ্ট জঘন্য " অমৃতসর হত্যাকান্ড বলে পরিচিত ।"
**১৯০৯ সালের ৪ এপ্রিল মার্কিন অনুসন্ধানী ফিলী উত্তর মেরুতে পৌঁছে বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছেন যিনি উত্তর মেরু জয় করেন । উত্তর মেরু এলাকা খুবই ঠাণ্ডা, সারাবছর গোটা অঞ্চল তুষারাচ্ছন্ন । ১৬ শতাব্দীর থেকে অনেক দেশের অনুসন্ধানীরা উত্তর মেরু গিয়ে অনুসন্ধান করেন । তবে কেউই উত্তরমেরুতে পৌঁছতে পারেন নি । মার্কিন অনুসন্ধানী ফিলী পরপর ২২ বছর চেষ্টার পর প্রথম তিনবার ব্যর্থ হয়ে চতুর্থবার উত্তরমেরু জয় করেন ।
|