v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-06 10:18:58    
ডঃ জাহানারা বেগমের সাক্ষাত্কারঃ

cri

ডঃ জাহানারা বেগমের সাক্ষাত্কারঃ

*প্রশ্নঃ আপনাকে স্বাগতম! আপনার পুরনো জায়গায় পরিচিত জনদের মাঝে এসে কেমন লাগছে?

 

*উত্তরঃ দশ বছর পর আবার পেইচিংয়ে এসে মনে হচ্ছে আমি নিজের বাড়িতে এসেছি। জার্মানীতে গেলে আমার মনে হয় অন্য জায়গায় গিয়েছি। পেইচিং আমার প্রিয় জায়গা। আমি তোমাদের সবাইকে পেয়ে খুব খুশী হয়েছি। সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, প্রীতি ও অভিনন্দন।

*প্রশ্নঃ আপনার প্রভাব এখনো আমাদের বেতারে আছে। যেমন আপনার লেখা বানর রাজা সুন উ খোং এখন সাপ্তাহিক গল্পের আসরে প্রচারিত হয়। এ ব্যাপারে আপনার অনুভূতি কি?

*উত্তরঃ আমি খুব সম্মানিত বোধ করছি। এক সময় আমি নিজে পড়তাম সুন উ খোং-কারণ আমি মনে করি বাংলাদেশের শিশু-যুবা-কিশোরদের তা জানা দরকার। আমি স

ত্যি খুব খুশী যে এখনো তা প্রচারিত হচ্ছে। একটা সুসংবাদ হচ্ছে, বাংলাদেশের একটি সংগঠন স্কুলে বই সরবরাহ করে। সে সংগঠন এই বইটির ১০০ কপি কিনে ১০০ টি স্কুলে দিতে যাচ্ছে। তারা চায় চীনের কাহিনী বাংলাদেশের সর্বত্র প্রচার পাক।

* প্রশ্নঃ আপনার পুরনো কর্মস্থল এই চীন বেতারের কথা কি মনে পড়ে আপনার?

*উত্তরঃ ছাত্র-ছাত্রীদের কথা খুব মনে পড়ে। কাজের পরিবেশের ছবি মাঝে মধ্যেই আমার মনে দোলা দেয়। অনুবাদ হচ্ছে, সম্পাদনা হচ্ছে, চা খাওয়া হচ্ছে, নানান বিষয়ে আলাপ হচ্ছ। সবই মনের পর্দায় ভেসে ওঠে।

*প্রশ্নঃ শুনেছি, খুনমিংয়ে ইউন্নান বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল অধ্যাপিকার সঙ্গে আপনাদের কথা হয়েছে। সে সম্বন্ধে আমাদের কিছু বলুন।

*উত্তরঃ খুনমিংয়ে একটি জাতিতত্ত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা বিভিন্ন জাতির শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা খুবই মেধাবী। তারা আমাদের নিজ নিজ জাতির পরিচয় তুলে ধরেছেন। গান শুনিয়েছেন। আমরাও আমাদের লোকগীতি শোনালাম। মনে হচ্ছে, তারা এখানে যেমন সংখ্যালঘূ জাতিগোষ্ঠীর জন্যে বিশেষ বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে, সে রকম আমরা নিজেদের দেশে পারিনি। ওখানে আমাদের মধ্যে বিশেষ করে বিভিন্ন জাতির সম্প্রীতিময় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান করার উপায় এবং মহিলাদের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আর তা হয়েছে হাসি-গান-নাচের মধ্যে দিয়ে চমত্কার পরিবেশে।

*প্রশ্নঃ আরেকটা মজার বিষয় আমরা জেনেছি। তা হলো আপনারা সংখ্যালঘূ জাতির কিছু হস্তশিল্প কারখানায় গিয়েছিলেন। কেমন লাগলো?

*উত্তরঃ খুবই ভালো লেগেছে। আমরা ওদের কাজকর্ম ও দেখেছি। সেখানেও আমাদের স্বাগত জানানোর জন্যে নাচ-গান হলো। আমরাও নেচেছি, গেয়েছি। ওদের হাতের কাজগুলো খুবই সুন্দর। আমরা কিছু কিনেছি ঘরে রাখার জন্যে। তিনটে পাহাড়ী জাতির এলাকায়ও গিয়েছিলাম। আমরা আগ্রহভরে তাদের জীবন দেখলাম। তারা নিজেদের গণ্ডীতেই থাকতে পছন্দ করে। আমার ভালো লাগলো যে এই একবিংশ শতাব্দির অত্যাধুনিক যুগে এখনো তাদের এই জীবনযাত্রার রীতিনীতি বজায় রয়েছে এবং সরকার তাদের দেখে-শুনে রাখছে।

*প্রশ্নঃ আপনার পরিচিত জায়গায় এসে কোনো পরিবর্তন চোখে পড়েছে?

*উত্তরঃ অসংখ্য উঁচু দালান আমার চোখে পড়লো। আগে এতো উঁচু দালান ছিলোনা। পেইচিংয়ে এতো সাবওয়ে ছিলোনা। সময়ের অভাবে সাবওয়েতে ঘোরা হয়নি। তবে আমি আবার আসবো। আমি তো চীনে বারবার আসবো। এখানে আমার ছেলে-মেয়েরা আছে--ছাত্র-ছাত্রী মানেই তো ছেলে-মেয়ে। তারা আছে, আমার নাতী আছে। আমি চীনে বারবার আসবো।

*প্রশ্নঃ বাংলাদেশের একজন সিনিয়র ও বিখ্যাত অধ্যাপক হিসেবে আপনি বলুনঃ চীন আর বাংলাদেশের প্রতিভাধর নারীদের মধ্যে কি কি শিক্ষনীয় জিনিস আছে? বা কি কি পার্থক্য আছে?

*উত্তরঃ আমি কোনো পার্থক্য দেখিনা। একটা কথা আছেঃ All great men think alike অর্থাত্ সব বড় মানুষ এক রকম চিন্তা করে। আমরা যারা কাজ করি, তাদের ভাষা, দেশ আলাদা হতে পারে, কিন্তু আমাদের চরিত্র এক। তবে এখন নারীরা অনেক কাজের সুবিধা পাচ্ছেন। সেটা অনেক খোলামেলা। তাদের দেখে খুব যোগ্য বলে মনে হয় আমার। চীনের নারীদের রাজনৈতিক গুনাবলী দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আমার সেটি নেই। আমি শুধু লেখালেখি নিয়েই থাকি। এ বছর আমার ৬৯ তম বই বেরিয়েছে।