v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-05 14:16:46    
সুরের ভুবন--শাংহাই লোক সঙ্গীত দলের পরিবেশিত বিদেশী সঙ্গীত

cri

    প্রথমে "আফগানিস্তানের নাচগান" নামে একটি সঙ্গীত শুনবেন আপনারা। সঙ্গীতে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সুরের মাধ্যমে আফগান জনগণের উত্সাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দের আমেজ বর্ণনা করা হয়েছে।

    শাংহাই লোক সঙ্গীত দল ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তা হচ্ছে চীনে সবচেয়ে আগে প্রতিষ্ঠিত বিরাট লোক সঙ্গীত দল। এই দল তার উত্কৃষ্ট গুণমান আর উঁচু শ্রেণীর পরিবেশনার জন্য বিখ্যাত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই দল চীনের সংখ্যালঘু জাতির বাদ্যযন্ত্র দিয়ে চীনের বিভিন্ন জাতির বিভিন্ন শৈলীসম্পন্ন সঙ্গীত পরিবেশন করে। তা ছাড়া, দলটি চীনের জাতীয় বাদ্যযন্ত্র দিয়ে বিশ্বের প্রখ্যাত সঙ্গীত ও বিভিন্ন দেশের লোকগীতি পরিবেশন করে এবং তা দেশী-বিদেশী শ্রোতাবন্ধুদের সমাদর পায়। "পায়রা" নামে এই সঙ্গীত ১৯ শতাব্দীতে স্পেনের লোক সঙ্গীতের সুরকার সেবাস্টিয়ান ইরাদিয়ার কিউবায় রচিত একটি গান। একজন তরুণ যে নিজের জন্মভূমি ছেড়ে দূরদূরান্তে চলে যান এবং তখন তার প্রেমিকার কথা সমসময় তাঁর মনে পড়ে, তাঁর সেই অনুভূতি প্রকাশ পায় গানটিতে। গানটি রচিত ও পরিবেশিত হওয়ার পর মানুষের সমাদর পায় এবং দ্রুত জনপ্রিয় হয়। স্পেন এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের কিউবা, মেক্সিকো,আর্জেনটিনার জনগণ এই গান যার যার দেশের লোকগীতি হিসেবে নির্ধারণ করে। এটাকে লোক অর্কেস্ট্রাল সঙ্গীতে রূপান্তরিত করার পর সঙ্গীতটিতে আনন্দদায়ক আমেজ বাড়ানো হয়েছে এবং সঙ্গীতটি উষ্ণ ও সুন্দর অনুভূতিতে পরিপূর্ণ। আচ্ছা, প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এখন আমরা একসাথে শাংহাই লোক সঙ্গীত দলের পরিবেশিত "পায়রা" নামে এই সঙ্গীত শুনবো।

    শাংহাই লোক সঙ্গীত দলের পরিবেশনা হাল্কা ও দ্রুত। তাদের পরিবেশনায় গিনির জনগণের গভীর উত্সাহ ও হাসি-খুশী মনোভাব প্রকাশ পায়।

প্রতি বছরে এই সঙ্গীত দল বহুবার কন্সার্ট আয়োজন করে। এই দলের সদস্যরা চীনের দশাধিক প্রদেশের ৮০'টিরও বেশি শহর সফর করেন। তাঁরা মাঝে মাঝে চীন সফরকারী বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান ও শিল্পী দলের জন্যে পরিবেশন করেন এবং বিদেশে গিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। ২০০১ ও ২০০৩ সালের বসন্ত উত্সবে ৯০ সদস্য নিয়ে গঠিত এই দল যথাক্রমে দু'বার ইউরোপ সফর করে এবং বিশ্ব সঙ্গীত হল, অর্থাত্ ভিয়েনার সোনালী হলে চীনের বসন্ত উত্সবের কন্সার্ট আয়োজন করে। তা ইউরোপে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই দল যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ ৪০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল সফর করে এবং চীনা-বিদেশী সংস্কৃতির আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এখন আমরা একসাথে এই সঙ্গীত দলের পরিবেশিত "সুন্দর সোলো নদী" নামে একটি সঙ্গীত শুনবো। তা ইন্দোনেশিয়ার একটি গান। সোলো নদী হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম নদী এবং তার উত্পত্তি জাভা দ্বীপের মধ্যাঞ্চলের সোলো অঞ্চলে। সোলো নদীর দু'পারের দৃশ্য খুব সুন্দর, নদীর তীরের জমি খুব উর্বর এবং ফসল ও পণ্যদ্রব্য খুব বৈচিত্র্যময়। তা হচ্ছে জাভার বিখ্যাত "খাদ্যশস্যের গুদাম"। সংশোধিত সঙ্গীতে সাবলীল সুরের মাধ্যমে শান্তভাবে প্রবহমান সুবিশাল সোলো নদী এবং দু'তীরের সুন্দর দৃশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীতে জন্মভূমির প্রতি ইন্দোনেশিয়ার জনগণের অপরিসীম ভালোবাসা প্রকাশ পায়। আচ্ছা, আর কথা বলবো না। সঙ্গীতটি শুনবো আমরা।