চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও ৪ এপ্রিল ফিজির নাদিতে আলাদা আলাদাভাবে ফিজির প্রেসিডেন্ট রাটু জোসেফা ইলোইলো এবং প্রধানমন্ত্রী লাইসেনিয়া কারাসের সঙ্গে সাক্ষাত্ ও বৈঠক করেছেন। দু'পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে জড়িত আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে ব্যাপক মতৈক্যে পৌঁছেছে। দু'দেশের সরকার যুক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চীন-ফিজির সম্পর্ক জোরদার করার জন্য দু'দেশের নেতারা চীন-ফিজির গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা, রাজনীতিতে পরস্পরকে সম্মান করা, অর্থনীতিতে পারস্পরিক উপকারিতামূলক সহযোগিতা করা, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়াদিতে পরস্পরকে সমর্থন ও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ফিজি চীনের পুরোপুরি বাজার অর্থনীতির মর্যাদা স্বীকার করে, দেশের সার্বভৌমত্ব সম্মান করা, অভ্যন্তরীন ব্যাপার হস্তক্ষেপ না করা, শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিবাদ মীমাংসা করা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা দু'দেশের সম্পর্কের মূল নীতি এবং এ নীতিতে দুদেশ অবিচল থাকবে, "দুটি চীন" বা "এক চীন এক তাইওয়ান" সৃষ্টির যে কোন অপচেষ্টার বিরোধিতা করবে, স্বাধীন তাইওয়ানের বিরোধিতা করবে, সার্বভৌম দেশকে নিয়ে গঠিত যে কোন আন্তর্জাতিক আর আঞ্চলিক সংস্থায় তাইওয়ানের অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করবে।
চীন পুনরায় ঘোষণা করেছে যে, জাতীয় অর্থনীতি এবং জনগণের জীবনযাত্রা উন্নয়নের জন্য ফিজি সরকারের নেয়া সক্রিয় প্রচেষ্টা চীন সম্মান ও সমর্থন করে ।
|