বিংশ শতাব্দীর ৭০এর দশকে চীন-মার্কিন সম্পর্ক উন্নয়নে পিংপং খেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। চীনের আশা এই কূটনীতি দুরবস্তায় পড়া চীন-জাপান সম্পর্কের উন্নয়নে আবার চমত্কার ভূমিকা পালন করবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার থাং চিয়া শুয়েন ৩ মার্চ পেইচিংয়ে সফররতা জাপানের পিংপং পরিষদের পরিচালক কচি কিমুরার নেতৃত্বাধিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। ১৯৫৬ সালে চীনের পিংপং দল টোকিওতে আয়োজিত ২৩তম বিশ্ব পিংপং চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলো। তা হলো নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর চীন আর জাপানের মধ্যে ক্রীড়া ক্ষেত্রের প্রথম আদানপ্রদান। এই আদানপ্রদানের স্মরণে ৫০ বছর পর জাপানের পিংপং দল চীনে সফরে এসেছে।
জাপানের পিংপং দল দীর্ঘ দিন ধরে দু'দেশের বন্ধুত্ব, বিশেষ করে ক্রীড়া ক্ষেত্রের আদানপ্রদান ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে যে প্রয়াস চালিয়েছে থাং চিয়া শুয়েন তার উচ্চ প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, চীনের সরকার আর জনগণ বরাবরই দু'দেশের সম্পর্কের মূল্যায়ন করে। অনেক সমস্যার সম্মুখীন হলেও চীন পক্ষ জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার মূল নীতি পরিবর্তন করেনি। চীনের আশা জাপানের ক্রীড়া মহল আগের মতো ভবিষ্যতেও দু'দেশের সম্পর্ক আরো সুষ্ঠু ও স্থিতিশীলভাবে উন্নয়নের জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।
কচি কিমুরা বলেছেন, দু'দেশের মৈত্রী দীর্ঘস্থায়ী। ক্রীড়া ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে আদানপ্রদানের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে জাপান পক্ষের আশা এই মৈত্রী নতুন প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করা হবে, তারা দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে আরো অবদান রাখাবে।
|