v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-04-03 13:11:33    
২৬ মার্চ--২ এপ্রিল, ২০০৬

cri
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফর শেষে চিয়া ছিংলিন পেইচিংয়ে ফিরেছেন

চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চিয়া ছিংলিন ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া , মালয়েশিয়া এতিনটি দেশে আনুষ্ঠানিক সফর শেষ করে ২ এপ্রিল বিকালে পেইচিংয়ে ফিরে এসেছেন।

তিনি ২০ মার্চ থেকে এসব দেশে সফর শুরু করেন। সফরকালে তিনি এই তিনটি দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থ জড়িত বিষয়ে নিয়ে গভীরভাবে মত বিনিময় করেছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।

আগামী দু থেকে তিন বছরে বৈদেশিক বানিজ্যের ভারসাম্য অর্জিত হবে

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক-- চীনের গণ ব্যাংকের গভর্ণর চৌ সিয়াও ছুয়ান বলেছেন , আমদানি ও রপ্তানি ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য চীন সরকার অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানো , বাজার উন্মুক্ত করা , মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন আর আমদানি বাড়ানো ইত্যাদি ব্যবস্থানিয়েছে । আগামী দু থেকে তিন বছরের মধ্যে বৈদেশিক বানিজ্যে মোটামুটি ভারসাম্য বাস্তবায়িত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে ।

২৮ মার্চ চীনের গণ ব্যাংক সম্প্রতি ' চীনের উন্নয়ন সংক্রান্ত শীর্ষ ফোরামে' চৌ সিয়াও ছুয়ানের দেয়া ভাষণের আদোপান্ত প্রকাশ করেছে । ফোরামেভাষণ দেয়ার সময় চৌ সিয়াও ছুয়ান উল্লেখ করেছেন , ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চীনের বৈদেশিক বানিজ্যে ভারসাম্য বজায় ছিল । বানিজ্যের অনুকূল উদ্বৃত্ত ছিল ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । গত বছর অনুকূল উদ্বৃত্ত হঠাত্ এক শ' বিলিন মার্কিন ডলার উঠেছে । এর প্রধান কারণ হলো গত বছর আমদানির বৃদ্ধি কমেছে , বিশেষ করে সরঞ্জামের আমদানি কমানো হয়েছে ।

বিশ্ব ব্যাংকঃ চীনের ভবিষ্যত্ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ভাল

৩০ মার্চ বিশ্ব ব্যাংকের প্রকাশিত "পূর্ব এশিয়ার ষাণ্মাসিক অর্থনৈতিক সংস্করণে" বলা হয়েছে, পূর্ব এশিয় অঞ্চলের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পদক্ষেপ এখনো মজবুত । এই অঞ্চল ইউরোপকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে উন্মুক্ত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, চীনের ভবিষ্যত্ অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও মোটের ওপর ভালো।

রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে জোরালো চাহিদায় চীনের অর্থনীতি তেজি হবে। কোম্পানির মুনাফা অর্জন এবং ঋণদান অবস্থা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, পুঁজিবিনিয়োগেও অব্যাহতভাবে সমৃদ্ধ প্রবণতা বজায় থাকবে।

তাইওয়ানের বর্তমান উন্নয়ন দু'তীরের নিবিড় আর্থ-বাণিজ্য সহযোগিতার ফসল

চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র লি ওয়েই ২৯ মার্চ পেইচিংয়ে জোর দিয়ে বলেছেন, যে তাইওয়ানের অর্থনীতির বর্তমান স্থিতিশীল উন্নয়ন দু'তীরের আর্থ-বাণিজ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

তাইওয়ানের তথ্যমাধ্যম বলেছে, তাইওয়ান সরকার সম্প্রতি দু'তীরের আর্থ-বাণিজ্য সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা এবং বাস্তবসম্মতভাবে উম্মুক্ত করার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

লি ওয়েই এ সমন্ধে বলেছেন, দু'তীরের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করা দু'তীরের চীনাদের অভিন্ন আশা আর মৌলিক স্বার্থের অনুকূল। সেজন্যে মূল ভূভাগ অব্যাহতভাবে সক্রিয় ব্যবস্থা নিয়ে তার উন্নয়ন করে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক দিক থেকে, দু'তীরের অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং হস্তক্ষেপ করলে, শেষ পর্যন্ত তাইওয়ানের অর্থনীতি আর নাগরিকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে।

পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটি বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছাসেবকদের স্লোগান সংগ্রহ করছে

পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটি ৩১ মার্চ পেইচিংএ ঘোষণা করেছে, ৩১ মার্চ থেকে সারা পৃথিবী জুড়ে পেইচিং অলিম্পিক গেমস--২০০৮ এর স্বেচ্ছাসেবকদের স্লোগান সংগ্রহ শুরু হবে। ভিন্ন সংস্কৃতিসম্পন্ন লোকজনের কাছ থেকে বোধগম্য বুঝা আর গ্রহণযোগ্যস্লোগানগুচ্ছসংগ্রহ করা হবে। পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি ওয়াং মিং হাও বলেছেন, পেইচিং অলিম্পিক গেমসের স্বেচ্ছাসেবক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের স্লোগান সারা পৃথিবী থেকে সংগ্রহ করা হবে। বর্ণ, পেশা অথবা ধর্মীয় বিশ্বাস নিবির্শেষে পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে আগ্রহীদের বিবেচনা করা হবে। বিদেশে বসবাসরত চীনারা সক্রিয়ভাবে পেইচিং অলিম্পিক গেমসে অংশ নিতে পারবেন বলে তিনি বিশেষভাবে আশা প্রকাশ করেছেন।

এবারকার সংগ্রহ তত্পরতা ২০০৬ সালের ৩১ আগস্ট পযর্ন্ত শেষ হবে। এর আগে অংশ গ্রহণকারীরা ডাক আর ই-মেলের মাধ্যমে স্লোগানগুলো পাঠাতে পারেন। এ সম্বন্ধে বিস্তরিতভাবে জানতে চাইলে পেইচিং অলিম্পিক সাংগঠনিক কমিটির ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইট হল: w w w .Beijing2008.com.

ভারত : চীন-ভারত সম্পর্কের উন্নয়ন আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করবে

ভারত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া বিষয়ক সচিব রাজিব সিক্রি ৩০ মার্চ নয়াদিল্লীতে বলেছেন , চীন-ভারত অংশীদার সম্পর্কের স্থাপন হল এই অঞ্চল তথা সারা বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।

সেদিন অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মায়ানমার ফোরামে ভাষণ দেয়ার সময় সিক্রি উপরোক্ত কথা বলেছেন । তিনি বলেছেন , এই অঞ্চলে ও তার বাইরে চীন ও ভারতের যৌথ উন্নয়নের অনেক সুযোগ আছে । দু'দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অংশীদার সম্পর্কের উন্নয়ন সারা এশিয়া অঞ্চলের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ যুগাবে ।

চীন-নেপালের তৃতীয় সীমানা পরীক্ষা হবে

চীন ও নেপাল এপ্রিল মাসে তৃতীয় যৌথ সীমান্ত পরীক্ষা করবে। দু'পক্ষ প্রধানতঃ সীমারেখার সমস্ত সীমানা চিহ্ন রক্ষা করবে এবং যথাযথভাবে পরিমাপনের কাজ করবে।

 ১ এপ্রিল চীনের তিব্বতের লাসা শহরে অনুষ্ঠিত এক সংশ্লিষ্ট সম্মেলনে জানা গেছে, চীন ও নেপালের সীমারেখার তৃতীয় যৌথ পরীক্ষা সর্বশেষ প্রযুক্তির উপায় দিয়ে সঠিকভাবে সমস্ত সীমানা চিহ্ন পরিমাপন করা হবে। চীন-নেপালের সীমান্ত ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। নতুন যুক্ত পরীক্ষা প্রটোকল খসড়া করা হবে।

 চীন-নেপালের সীমারেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪১৪ কিলোমিটার, তা হিমালয় পর্বতে অবস্থিত। চীন ও নেপালের সরকার ১৯৭৯ সাল এবং ১৯৮৮ সালে দু'বার যৌথ সীমানা পরীক্ষা করেছিলো।

শুল্ক বিষয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মতৈক্য

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ২৭ মার্চ ইসলামাবাদে দু'দেশের শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতায় কিছু মতৈক্য অর্জিত হয়েছে।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী সৈয়দ আসিফ শাহ ও ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী এস.এম.মেনোনের নেতৃত্বে দু'দেশের প্রতিনিধি দল ২৭ মার্চ ইসলামাবাদে যৌথ গবেষণা গ্রুপ সম্মেলন আয়োজন করেছে। সম্মেলনের পর দু'পক্ষ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান ও ভারত শুল্ক সহযোগিতায় চারটি মতৈক্য অর্জন করেছে। এক, দ্বিপাক্ষিক শুল্ক সহযোগিতা চালানোর সম্ভাবনা অন্বেষণ করা। দুই, পণ্য উত্পাদন স্থানের সার্টিফিকেট, আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট আইন ইত্যাদি ক্ষেত্রের তথ্য আদানপ্রদান করা। তিন, দু'দেশের শুল্ক ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে তথ্য বিনিময় করতে উত্সাহ দেয়া। চার, পারস্পরিক প্রযুক্তিগত সহায়তার ক্ষেত্র নির্ধারিত করা।

এ ছাড়া পাক-ভারত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার তৃতীয় দফা সংলাপ ২৮ থেকে ২৯ মার্চ ইসলামাবাদে আয়োজিত হওয়ার কথা।

পাকিস্তান-ভারত আর্থ-বাণিজ্য সহযোগিতা উন্নয়নে মতৈক্য

দু'দিনব্যাপী পাক-ভারত আর্থ-বাণিজ্য সহযোগিতা আলোচনা ২৯ মার্চ ইসলামাবাদে সমাপ্ত হয়েছে। দু'পক্ষ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, দু'দেশ অব্যাহতভাবে আর্থ-বাণিজ্য সহযোগিতা উন্নয়নে একমত হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দু'দেশের সরকার একটি নতুন নৌ-পরিবহণ চুক্তি স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এবং অব্যাহতাভাবে দ্বিপাক্ষিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের আলোচনা এগিয়ে নেবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। দু'পক্ষ পরষ্পের দেশে ব্যাংকিং সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা, ভারত পাকিস্তান থেকে চা আমদানী করা ও দু'দেশের মধ্যে রেল পরিবহণের বাধা দূর করার বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে।

রাশিয়ার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ভারতে পৌঁছেছে

ভারতের হিনদু পত্রিকা বলেছে, রাশিয়ার প্রথম কিস্তির সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম গত সপ্তাহে দক্ষিণ ভারতের হাইদরাবাদ যৌথ পরমাণু জ্বালানি কম্পানিতে পৌঁছানো হয়েছে, তা তারাপুর পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্রের এক আর দুই নম্বর পরমাণু রি-এক্টরের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

যৌথ পরমাণু জ্বালানি কম্পানির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেছেন, এ কিস্তির সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পশ্চিম ভারতের তারাপুর পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। বর্তমানে এ কিস্তির সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বিস্তারিত পরিমাণ জানানো হয় নি। কিন্তু ১৪ মার্চ রাশিয়া তারাপুর পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্রের জন্যে আবার পরমাণু জ্বালানি সরবরাহ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, এবং ৬০টন সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

শ্রীলংকার ক্ষমতাসীন পাটি স্থানীয় নিবার্চনে জয়ী

৩১ মার্চ শ্রীলংকার নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত স্থানীয় নিবার্চনের ফলাফল অনুযায়ী ক্ষমতাসীনঐক্যবদ্ধ গণ মুক্তি সংঘ স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনে মোট ২৬৬টি স্থানীয় সরকার পরিষদের ২২৫টিতে জয়ী হয়েছে। শ্রীলংকার বৃহত্তম বিরোধী পাটি ---ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পাটি ৩৩টি আসন পেয়েছে, তামিল জাতীয় সংঘ পাঁচটি সরকারী পরিষদ আসনে জয়লাভ করেছে।

এবারকার নিবার্চন৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ২৫ হাজার প্রার্থী ২৬৬টি স্থানীয় সরকার পরিষদের প্রায় ৩৬০০টি আসন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নিরাপত্তা আর আইনের তকর্বিতর্কের কারনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ২২টি স্থানীয় সরকার পরিষদ আর দক্ষিণাঞ্চলের৪৬টি স্থানীয় সরকারের পরিষদের নিবার্চন আগামী সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের নতুন সরকার শপথ গ্রহণ

হামাসের গঠিত ফিলিস্তিনের নতুন সরকার ২৯ মার্চ ফিলিস্তিনের জাতীয় ক্ষমতা সংস্থার চেয়ারম্যান আব্বাসের সভাপতিত্বে শপথ গ্রহণ করেছে । নতুন প্রধানমন্ত্রী হানিয়া বলেছেন , তাঁর নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার আব্বাস ও ইসরাইলের আলোচনার বিরোধীতা করবে না ।

আব্বাস একইদিন বলেছেন , তিনি আশা করেন নতুন সরকার যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং শান্তি , আলোচনা ও আন্তর্জাতিক প্রস্তাব অনুযায়ী নীতি প্রণয়ন করবে । তিনি আবার ঘোষণা করেছেন , সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব ও মধ্যপ্রাচ্য "রোডম্যাপের" ভিত্তিতে ফিলিস্তিন ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছুক ।

হানিয়ার বক্তব্য সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে , যুক্তরাষ্ট্র কোনোমতেই হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ করবে না , তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে কোনো সাহায্য দেবে না ।

৬২ তম জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্মেলন দু'সপ্তাহ বিরতির পর ২৭ মার্চ জেনেভায় আবার শুরু হয়েছে, সম্মেলন আড়াই ঘণ্টা পর সমাপ্ত হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা লোইস আর্বর, ৬২ তম জাতিসংঘ মানবাধিকার সম্মেলনের চেয়ারম্যান মানুয়েল রোড্রিগুয়েজ কুয়াড্রোস এবং মানবাধিকার কমিটির বিভিন্ন অঞ্চলের সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন। তাঁরা মানবাধিকার কমিটির প্রতিষ্ঠার ৬০ বছরে বিশ্বে মৌলিক মানবাধিকার বাস্তবায়নে রাখা অবদানের সার সংকলন করেছেন এবং নতুন প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার কাউন্সিলের ওপর তাঁদের আশা বর্ণনা করেছেন।

সম্মেলনে ৬২ তম মানবাধিকার রিপোর্ট আর মানবাধিকার কমিটি বন্ধ করার সংশ্লিষ্ট ধারা গৃহীত হয়েছে। সম্মেলনে মানবাধিকার কমিটির বিভিন্ন কর্তব্য, ব্যবস্থা ও পদ নতুন প্রতিষ্ঠিত মানবাধিকার কাউন্সিলের হাতে হস্তান্তর করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।

৬০ তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের মুখপাত্র প্রাগাটি প্যাস্কাল ২৭ মার্চ বলেছেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সুইডেনের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যান এলিয়াসন অব্যাহতভাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন।

জাপান এককভাবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসরেণ প্রস্তাব দেবে না

জাপানের তথ্যমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, জাতিসংঘে জাপানী প্রতিনিধি ওশিমা কেনজো সম্প্রতি বলেছেন, জাপান এককভাবে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণে প্রস্তাব প্রকল্প উত্থাপন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেছেন, এ প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না থাকরে কারণে জাপান এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বছরে, জাপান, জার্মানী, ব্রাজিল ও ভারত "চার দেশ গোষ্ঠী" গঠন করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশ হতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাদের প্রস্তাব জাতিসংঘের দুই-তৃতীয়াং সদস্য দেশের সমর্থন পায় নি। এ পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়ার জন্যে গত জানুয়ারী মাসে জাপান এককভাবে জাতিসংঘে একটি নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রসারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। কিন্তু তাতে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন মেলে নি।