মালয়েশিয়ার উচ্চতর সংসদের স্পীকার আবদুল হামিদ ৩০ মার্চ সফররত চীনের জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের চেয়ারম্যান চিয়া ছিংলিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দু'পক্ষ চীন-মালয়েশিয়া সম্পর্ক এবং অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সহযোগিতার উন্নয়নে ব্যাপক মতৈক্যে পৌঁচেছে। মালয়েশিয়ার নিম্ন সংসদের স্পীকার রামলি নগাহ তালিব একই দিন চিয়া ছিংলিনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন।
চিয়া ছিংলিন বলেছেন, চীন ও মালয়েশিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। চীন মালয়েশিয়ার সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা উন্নয়ন করতে ইচ্ছুক, যাতে চীন-মালয়েশিয়া রণনৈতিক সহযোগিতায় অব্যাহতভাবে নতুন অগ্রগতি অর্জিত হতে পারে।
আবদুল হামিদ আর তালিব বলেছেন, চীন মালয়েশিয়ার একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হয়েছে। মালয়েশিয়া চীনের সঙ্গে অব্যাহতভাবে আর্থ-বাণিজ্য, পুঁজিবিনিয়োগ ও পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রের সহযোগিতা উন্নয়ন করতে ইচ্ছুক।
মালয়েশিয়া সরকার বরাবই একচীন নীতিতে অবিচল থাকা এবং তাইওয়ান সমস্যায় চীনকে সমঝোতা আর সমর্থন করায় চিয়া ছিংলিন তার প্রশংসা করেছেন। আবদুল হামিদ আর রামলি নগাহ তালিব বলেছেন, মালয়েশিয়া বরাবরই মনে করে তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং মালয়েশিয়া অব্যাহতভাবে একচীন নীতিতে অবিচল থাকবে।
একই দিন রাতে চিয়া ছিংলিন মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মহলের বন্ধু ব্যক্তিদের তাঁর সম্মানে দেয়া স্বাগত ভোজ সভায় অংশ নিয়েছেন। তিনি তাঁর ভাষণে তাইওয়ান সমস্যা সংশ্লিষ্ট চীন সরকারের নীতি ও অবস্থান আবার জোর দিয়ে বলেছেন। তাঁর ভাষণ মালয়েশিয়ার চীনা বংশোদ্ভতদের মাঝে সক্রিয় প্রভাব ফেলেছে।
|