v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-03-29 09:54:39    
২৯ মার্চ

cri
    **ব্রেজনেভ শীর্ষ সোভিয়েত নেতা হন

    ১৯৬৬ সালের ২৯ মার্চ সোভিয়েত কমিউনিষ্ট পার্টির ২৩তম জাতীয় কংগ্রেসে লেওনিদ ব্রেজনেভ সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হন।

    এই কংগ্রেসে উদ্বোধনী ভাষণ দেয়ার সময়ে ব্রেজনেভ ভিয়েতনামের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন নীতির নিন্দা করেন।

    ব্রেজনেভ ছিলেন ট্রেড ইউনিয়নের নেতা, পরে তিনি সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরে দ্রুত পদোন্নতি লাভ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সোভিয়েত স্থল বাহিনীর মেজর জেনারেল নিযুক্ত হন। তিনি খ্রুশ্চেভের অধীনে কাজ করেছিলেন।

    **এনা লুইস স্ট্রং-এর মৃত্যু

    ১৮৮৫ সালে এনা লুইস স্ট্রং-এর জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি সংবাদদাতা এবং বিশেষ সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন এবং সারা জীবনে মোট ৩০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেন ।

    স্ট্রং সারা জীবন সত্যানুসন্ধানের চেষ্টা করেন এবং বিপ্লবের প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন । সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তিনি প্রায় ৩০ বছর যাবত বসবাস করেন। এই সময়পর্বে তিনি স্পেন, চীন, মেক্সিকো, পোল্যাণ্ড ইত্যাদি দেশ সফর করেন এবং উত্সাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে সেই সব দেশের জনগণের বিপ্লবী সংগ্রাম সম্পর্কে খবর ও বিবরণ প্রকাশ করেন। ১৯২৫ সালে তিনি প্রথম বার চীন সফর করেন এবং ১৯৭০ সালে পেইচিংয়ে মারা যান। এই সময়পর্বে তিনি মোট ছয় বার চীন সফর করেন এবং তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি চীনেই অতিবাহিত করেন। স্ট্রং উত্সাহের সঙ্গে চীনা জনগণের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রাম সমর্থন করেন। চীন বিপ্লবের প্রতিটি সন্ধিক্ষণে তিনি চীনে আসেন , চীনা জনগণের সঙ্গে একত্রে শ্বাসপ্রশ্বাস করেন এবং সুখদু:খের সমভাগী হন। ফলে তিনি চীনা জনগণের বন্ধুত্ব ও সম্মান লাভ করেন এবং চীনা বিপ্লবের প্রত্যক্ষদর্শী হন।

    ১৯৭০ সালে এনা লুইস স্ট্রং পেইচিংয়ে মারা যাওয়ার পর তাঁকে পেইচিংয়ের পাপাওশান বিপ্লবী শহীদদের গণ- সমাধিস্থানে সমাহিত করা হয়। তাঁর কবরের ফলকে কুও মোরুও'র স্বহস্তে লেখা " প্রগতিশীল মার্কিন লেখক এবং চীনা জনগণের বন্ধু" এই কথাটির অবিকল প্রতিরূপ খোদিত রয়েছে।

    **ভিয়েতনামের মার্কিন আগ্রাসন প্রতিরোধযুদ্ধের চূড়ান্ত সমাপ্তি

    ১৯৬৪ সালের আগষ্ট মাসে মার্কিন নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার ভিয়েতনামের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ করে এবং ভিয়েতনামী বাহিনী এই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রচারণা শুরু করে যে, মার্কিন নৌবাহিনী " প্ররোচনার" সম্মুখীন হয়েছে। কয়েক দিন পর যুক্তরাষ্ট্র আবার ঘোষণা করে যে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ভিয়েতনামের টর্পেডো বোটের হামলায় আক্রান্ত হয়েছে। এই ঘটনার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামের উত্তরাংশের ওপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ শুরু করে এবং তার ভিয়েতনামবিরোধী আগ্রাসী যুদ্ধ ভিয়েতনামের উত্তরাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত করে। ১৯৬৫ সালের মার্চে মার্কিন স্থল বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে তার ভিয়েতনাম আগ্রাসনযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে এবং এই যুদ্ধকে একটি 'বিশেষ যুদ্ধ ' থেকে একটি ' আংশিক যুদ্ধের' পর্যায়ে উন্নীত করে। ভিয়েতনামী জনগণও ব্যাপকভাবে মার্কিন হামলা বিরোধী জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে ভিয়েতনামের দক্ষিণাংশের সৈন্যবাহিনী ও জনগণ বসন্তকালীন আক্রমণ শুরু করে এবং ৪৫ দিনে মোট ১.৫ লাখ শত্রুসৈন্য নিধন করে । ১৯৬৯ সালে ভিয়েতনামের দক্ষিণাংশের পাঁচ ভাগের চার ভাগ ভূখন্ড মুক্ত হয়, ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত আঞ্চলিক যুদ্ধ ব্যর্থ হয়। ১৯৭৩ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র অবশেষে যুদ্ধ শেষ করে ভিয়েতনামের শান্তি পুন:প্রতিষ্ঠার 'প্যারিস চুক্তি' স্বাক্ষর করে। এটিই ভিয়েতনামের মার্কিন হামলা প্রতিরোধের জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের নিশ্চিত বিজয় অর্জনের নিদর্শন। এটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের অন্যতম এবং ছোট ও দুর্বল দেশ বৃহত্শক্তির আগ্রাসন ব্যর্থ করার আরও একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।