নিজের শরীরে সুস্থ অবস্থা বজায় রাখতে হবে , শরীর চর্চার লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে হবে ।
নিজের শরীরের বৈশিষ্ট্য অনুসারে স্থিতিশীলতাবজায় রাখার ভিত্তিতে তীব্র প্রতিদ্বন্দিতামূলক তত্পরতা এড়াতে হবে ।
শরীর চর্চার নিরাপত্তা ও নির্ভরশীলতা নিশ্চিত করতে হবে , বিপদের সম্ভাবনা এড়াতে হবে ।
বেশির ভাগ লোকের কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় ক্রীড়া দফা বাছাই করতে হবে । যাতে খেলার আনন্দ ও কৌতুহল এক সংগে উপভোগ করা যায় । নিত্য ব্যবহার্য ক্রীড়া দফা ।
ছিকোং নামে শরীর চর্চার পদ্ধতি । এতে আধুনিক মানসিক চিকিত্সা পদ্ধতি , শরীর চর্চা পদ্ধতি , প্রাকৃতিক চিকিত্সা পদ্ধতি , তথ্য চিকিত্সা পদ্ধতি ইত্যাদি বহুমুখী ভূমিকা রয়েছে । এতে মানুষের উদ্যমশীলতা সৃষ্টি করা যায় এবং মানসিক ভারসাম্য , ধারনা আর শরীর চর্চার মাধ্যমে প্রকৃতি ও সামাজিক পরিবেশের সংগে মানুষের খাপ খাওয়ার ক্ষমতা উন্নত করা যায় ।
হাঁটাঃ প্রতি-দিন বেশী বেশী হেঁটে চলতে হবে । হাঁটার জন্য বয়স , স্বাস্থ্য আর খেলার মাঠের দিক থেকে কোনো বিশেষ চাহিদা নেই । হাঁটার দৈর্ঘ্যকতটুকু হবে , তা নিজের ক্ষমতা অনুসারে বাছাই করতে হবে । হাঁটার স্বাধীনতাও বেশী । অল্প সময়ে লাগিয়ে সিঁড়ি বেয়ে হেটে উঠা নামা করা যায় এবং বাসা থেকে অফিস আর অফিস থেকে বাসায়ও হেঁটে আসা-যাওয়া করা যায় ।
টেবিল টেনিসঃ টেবিল টেনিস খেলায় সারা শরীরের সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের চর্চা করা যায় । ফলে গোটা দেহের ব্যায়াম হয় ।
বিলিয়্যাড্স্ খেলাঃ এটা একটা আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় বিনোদন ক্রীড়া । এতে বুদ্ধি ও শক্তি আর শরীর চর্চা ও আমোদ প্রমোদের সমন্বয় করা যায় ।
ব্যাডমিন্টনঃ সকলের জন্য উপযোগী ।কতটুকু খেলতে হবে , তা নিজেই ঠিক করতে পারেন।
নৃত্যঃ এটা এমন একটি শরীর চর্চা , যাতে মানসিক স্বাস্থ্যআর ভাল শরীর গঠন করা যায় ।
পর্যটনঃ এতে ভাল মন ও জীবনযাপনের বৈচিত্র্যের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় । এটা কৌতুল মেটানো ও স্বাস্থ্য রক্ষার অনুকুল । সপ্তাহান্তেআশেপাশের জায়গায় একবার ভ্রমণ করা যায় এবং বছরে দূর-দূরান্তে একবার ভ্রমন করা যায় ্ ।
সাইকেলে চড়া ঃ এটা হচ্ছে শরীর চর্চার এক বৈজ্ঞানিকপদ্ধতি। কিন্তু এতে সড়ক দুর্ঘটনার আশংকা থাকতে পারে এবং সাবধান হতে হয়।
সাঁতার কাটা ঃ এটা একটা শরীর চর্চার উত্তমপদ্ধতি, যা প্রৌঢ় ও বয়স্কদের জন্য উপযোগী । ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে সাঁতার কাটা উপযোগী । ঠান্ডাজলে মানুষের ত্বক বেশী চর্চা করা যায় । রক্তের আরো ভাল সঞ্চালন করা যায় ।
জলের চাপে মানুষের হৃদয় ও ফুসফুসের ভূমিকাও উন্নত করা যায় ।
প্রৌঢ় ও বয়স্কদের সাঁতার কাটার সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার উপর বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত । এক সংগে অনেক মানুষ থাকলে ভালো । একা একা সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে । । সাঁতার কাটার আগে তিন থেকে পাঁচ মিনিট ঠান্ডাপানিতে গোসল বা মাসাজ করা প্রয়োজন। যাতে শরীরের ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধ করা যায় । সাঁতার কাটার সময়ে যে কতটুকু করতে হবে , তা নিজের শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করে ।
দূর পাল্লার দৌড়ঃ এটা এক ধরনের আপাদমস্তক ক্রীড়া দফা । তা চালাবার জন্য কোনো সরন্জাম লাগে না । দৌড়ার সময়ে দেহের বাভিন্ন জায়গা আর অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজ জোরদার হয় , ফুসফুসের কাজও বেড়ে যায়। এতে হৃদয় আর মস্তিষ্কের রক্তশিরার ব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় । মেদ শরীরের উত্তাপে রুপান্তরিত হয় । ফলে মানুষের শরীরের সৌন্দর্য বাস্তবায়িত করা যায় ।
দৌড়ানোর সময়ে যেহেতু শরীর চর্চার উপর বেশী মনোযোগ দেয়া হয় , সেহেতু মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করা যায় । ঘুমও ভাল হতে পারে । বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজও উন্নত হতে পারে ।
দৌড়ানোর সময়ে শরীর বেশী ঘামার দরুণ শরীরে ক্যান্সার রোগ হতে পারে এমন বর্জ্য পদার্থও শরীর থেকে বেরিয়ে যায় । তা ছাড়া দৌড়ে মানুষ দীর্ঘায়ুও হতে পারে ।
|