v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-03-28 15:24:40    
বানর রাজা সুন উখোং (৩৪)

cri
    নদির দেবতাকে সঙ্গে এনে বানর হুঙ্কার দিয়ে দানবকে ডাকলো । দানব যেই তার বেড়ি নিয়ে গুহা থেকে বের হলো অমনি হোয়াংহো নদির দেবতা মন্ত্রপঠ করে জলস্রোত ধাবিত করলেন চিনতৌ গুহার দিকে । দানব তার বেড়ি ছুঁড়ে গুহার দরজা বন্ধ করে দিলো । ভেতরে পানি আর ঢুকতে পারলো না ।

    আগুন পানি কোনো কিছু দিয়েই দানবকে দমন করতে না পেরে উখোং তেড়ে গেলো নিজেই । গুহার দরজায় দাঁড়িয়ে দানবকে গালাগাল দিয়ে ডাকতেই সে বেরিয়ে এলো । দুজনে অস্ত্র ফেলে শুরু করলো ঘুষাঘুষি । উখোং লোম ছিঁড়ে একদল বানর তৈরি করলো । তারাও দানবের উপর লাফিয়ে পড়ে ঘুষি মারতে লাগলো । দানব অস্থির হয়ে তার বেড়ি ছুঁড়লো । সবাই বন্দি হলো । জয় হলো দানবের ।

    উখোং পড়লো মহা চিন্তায় । দেবতারা দানবের বেড়িটা চুরি করতে বললেন উখোংকে । উখোং মাছি হয়ে গুহার মধ্যে ঢুকে তার ডান্ডা খুঁজে পেলো প্রথমেই । অমনি নিজের রূপে এসে সে ডান্ডা ঘোরাতে লাগলো বোঁ বোঁ করে । শুরু হলো যুদ্ধ । গুহার বাইরে সারাদিন যুদ্ধ হলো । কেউ কাউকে হারাতে পারলো না । সুর্য অস্ত গেলো । দানব ক্লান্ত হয়ে গুহার ভেতর ঢুকলো তখন ।

    উখোং এক মাকড়সার রুপ নিয়ে গুহার ভেতর ঢুকলো । হাতে বেড়ি পড়ে ঘুমাচ্ছিলো দানব । তাই সে বেড়ি খুলতে পারলোনা । হঠাত্ অগ্নিদেবের ড্রাগন ও ঘোড়ার আওয়াজ পেলো সে । সে নিজের রূপে এসে মন্ত্র পড়ে পেছনের ঘরের তালা খুললো । সেখানে দেখলো দেবতাদের সব অস্ত্র এবং একগুচ্ছ লোক পড়ে আছে । উখোং লোম দিয়ে বানর তৈরি করলো । তারা দেবতাদের অস্ত্রসস্ত্র বাইরে নিয়ে এলো । তারপর গুহায় আগুন ধরিয়ে দিলো উখোং ।

    দেবতারা যার যার অস্ত্র হাতে নিলেন । সকাল বেলায় দানবের সঙ্গে শুরু হলো আবার লড়াই । একপক্ষে দানব অন্যপক্ষে উখোং ও দেবতারা । তুমুল লড়াই-এর মধ্যে দানব আবার তার বেড়ি ছুড়ে সব অস্ত্র গ্রাস করলো । এবারও জয় হলো দানবের ।

    উখোং এবার তথাগত বুদ্ধের কাছে লিংশান পর্বতে গেলো । সে দানবের জন্ম বৃত্তান্ত জানতে চাইলো । তথাগত বৃদ্ধ সব কথা শুনে উখোং-এর সঙ্গে আঠারোজন অর্হত্কে (বাঘ দমন কারি শক্তিশালি ব্যক্তি) পাঠালেন । তাদের সঙ্গে দিলেন স্বর্ণ-সিঁদুর । উখোং অর্হত্দের নিয়ে মন্ত্র মেঘে চড়ে মুহূর্তে চলে এলো চিনতৌ পর্বতে ।

    আবার যদ্ধ শুরু হলো দানবের সঙ্গে । অর্হত্রা স্বর্ণ সিঁদুর ছুঁড়ে মারতে লাগলো । কিছু সিঁদুর দানবের চোখে পড়তেই সে প্রায় অন্ধ হয়ে গেলো । তবু বেড়ি ছুঁড়ে সব সিঁদুর গ্রাস করলো সে । অর্হতদের কাছে বুদ্ধের উপদেশ ছিলো । সে কথা শুনে উখোং গেলো লাউজির তুসিও প্রাসাদে । লাওজি সব শুনে বুঝলেন যে তার যাঁড়টিই খোঁয়াড় থেকে পালিয়ে গিয়ে উত্পাত করছে । বেড়িটা তাঁরই । যাঁড়ই তা চুরি করে নিয়ে গেছে ।

    লাওজি একটি কলাপাতার পাখা হাতে নিয়ে চিনতৌ পর্বতে এলেন । দানব বেরিয়ে হলো যুদ্ধ করতে । লাওজি কলাপাতার পাখা নাড়লেন । অমনি বেড়িটি দানবের হাত থেকে সাঁ করে বেরিয়ে লাওজির হাতে এলো । লাওজি আর একবার পাখা নাড়লেন । দানব সঙ্গে সঙ্গে মোষের রূপে ফিরে এলো । লাওজি মোষের পিঠে চেপে বিদায় নিলেন ।

    উখোং গুহায় ঢুকে খুদে দানবদের মেরে দেবতাদের সব অস্ত্র কেড়ে নিলো । তারপর উদ্ধার করলো আচার্য ও দুই গুরু ভাইকে । গুহার মধ্য থেকে বেরিয়ে এলো সকলে । আবার শুরু হলো যাত্রা । শ্রান্তি ক্লান্তি সব ভুলে এগিয়ে যেতে লাগলো সবাই পশ্চিম দেশের দিকে ।