** ব্রিটিশ ফীল্ড মার্শ্যাল মোন্টগোমারির মৃত্যু
বার্নার্ড মোন্টগোমারি, ১৮৮৭ সালের ১৭ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেছেন, উত্তর আইরিশ বংশোদ্ভূত। তিনি লন্ডণের সেইন্ট পলস্ স্কুল এবং স্যান্টহার্স্টের সামরিক ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করেছেন। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে দক্ষতা এবং বীরত্বের জন্য তাঁর সুনাম ছড়িয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথম দিকে তিনি ডিভিশন কমান্ডার হয়ে ফ্রান্সের যুদ্ধ মাঠে লড়াই করেন। ১৯৪২ সালে তিনি উত্তর আফ্রিকা গিয়ে ব্রিটিশ অষ্টম বাহিনীর কমান্ডার হন। এল আলামেইন সামরিক অভিযানে তিনি এলভিন রোম্মেলকে মিশর থেকে বহিস্কার করেন। ১৯৪৩ সালের মে মাসে জার্মানীর বাহিনীকে তিউনিসিয়ায় আত্মসমর্পন করতে বাধ্য করেন। ১৯৪৪ সালে মিত্র বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়ে ফ্রান্সে প্রবেশ করেন। একই বছরের ৬ই জুন তিনি মিত্র বাহিনীকে নোর্মান্ডি প্রবেশের আদেশ দেন। মার্শ্যাল হিসেবে পদোন্নতি পাবার পর তিনি ব্রিটিশ এবং ক্যানাডার বাহিনীর ইউনিটকে নেতৃত্ব দিয়ে ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চল, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস এবং জার্মানীতে বীর বিক্রমে অগ্রযাত্রা করেন। ১৯৪৫ সালের ৪ঠা মে জার্মানীর উত্তরাঞ্চল বাহিনী তাঁর কাছে আত্মসমর্পন করে। ১৯৪৬ সালে তাঁকে ভাইকাউন্ট উপাধি দেয়া হয়।১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি চীফ অফ দি ইম্পীরিয়্যাল জেনারেল স্টাফ হন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিম ইউরোপীয়ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হন। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি নেটোর বাহিনীর ডেপুটি সুপ্রীম কমান্ডার পদে বহাল ছিলেন।
** শেনচৌ তিন নম্বর চালকহীন নভোযান উতক্ষেপন করেছে।
১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর, ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারী, ২০০২ সালের ২৫ মার্চ, ২০০২ সালের ৩০ ডিসেম্বর চীন পর পর চার বার সাফল্যের সঙ্গে শেনচৌ এক থেকে চার নম্বর চালকহীন নভোযান উতক্ষেপন করেছে।
২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর চীন সাফল্যের সঙ্গে প্রথম মনুষ্যবাহী নভোযান শেনচৌ-৫ উতক্ষেপন করেছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, চীন পৃথিবীতে সোভিয়েট ইউনিয়ন অর্থাত্ রাশিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রেরপর তৃতীয় স্বাধীনভাবে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান তত্পরতা পরিচালনাকারী দেশে পরিণত হয়েছে।
চীনের সর্বপ্রথম নভোচারী হলেন ইয়াং লি ওয়ে। তিনি ছিলেন চীনের একমাত্র মহাকাশযানের অভিজ্ঞতা অধিকারী নভোচারী। এখন তিনি হচ্ছেন নভোচারী ব্যবস্থার উপ-পরিচালক , বিশেষ করেন ভোচারীদের প্রশিক্ষণ এবং নির্বাচনের কাজের দায়িত্ব বহন করেন।
বিশ্বের মনুষ্যবাহী মহাকাশযান উত্ক্ষেপণের তৃতীয় দেশ হিসেবে চীন সবসময় সক্রিয়ভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মহাকাশ আদান-প্রদান ও সহযোগিতা জোরদার করছে। চীন পর পর দশ বারোটি দেশ ও সংস্থার সঙ্গে সরকারী অথবা সংস্থার মধ্যে মহাকাশ সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং মহাকাশ সহযোগিতা ব্যবস্থা স্থাপন করেছে । চীন ই ইউ'র সঙ্গে 'গালিলেও পরিকল্পনা' বাস্তবায়ন করছে । চীন অধিকতরভাবে এশিয়া আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে মহাকাশ প্রযুক্তি উন্নয়ন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ত্বরান্বিত করেছে। চীন ব্রাজিল, আর্জেনটিনা , নাইজেরিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করেছে এবং নতুন সাফল্য অর্জন করেছে । চীন জাতি সংঘের ৩য় মহাকাশ সম্মেলনের বিভিন্ন প্রস্তাব বাস্তবায়নের সংশ্লিষ্ট তত্পরতা অংশ নিয়েছে।
|