**নানচিং হত্যাকান্ড"
১৯২৭ সালের ২৩ মার্চ চীনের উত্তরমুখী বাহিনী নানচিং শহরের নিকটে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবাজ বাহিনী নানচিং থেকে সরে যায় । ২৪ তারিখে উত্তরমুখী বাহিনীর অগ্রণীদল যখন নানচিং শহরে প্রবেশ করে, তখন দাংগা-হাংগামা ঘটে । বিকেল ৩টা ৪০ মিনেটে সিয়াকুয়ান নদীর তীরে নোংগর থাকা বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ফ্রান্স, ইতালি ইত্যাদি দেশের সামরিক জাহাজ নিজেদের অধিবাসী ও কনসোলেট রক্ষা করার ওজুহাতে নানচিং শহরের ওপর এক ঘন্টার তীব্র বোমাবর্ষণ করে । ফলে মোট দুই হাজারের বেশী চীনা সৈন্য ও নিরীহ লোক হতাহত হয় এবং অসংখ্য বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয় ।
**জিয়াউল হক পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত
১৯৮৫ সালের ২৩ মার্চ জিয়াউল হক পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেন । ১৯২৪ সালে জেনারেল মোঃ জিয়া হক জন্মগ্রহণ করেন । তিনি ছিলে একজন পেশাদার সৈনিক । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে তিনি মায়ানমার, মালয় ও ইন্দোনেশিয়ায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন । ১৯৪৫ সালে তিনি সামরিক পদমর্যাদা পান । ১৯৫৫ সালে তিনি কোয়েটা স্টার্ফ কলেজে ডিগ্রী লাভ করেন । ১৯৬৩ সালে তিনি পরপর দু'বার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সাজোয়া বাহিনীর কর্মকর্তা ও কম্যান্ড এবং স্টার্ফ প্রধান বিষয়ক কোর্সে যোগ দেন । ১৯৬৪ সালে তিনি কুইত্তা স্টার্ফ কলেজের শিক্ষক হন । ১৯৭৫ সালে তিনি স্থলবাহিনীর দ্বিতীয় আর্মীর সেনাপতি হন । ১৯৭৬ সালে তিনি স্থলবাহিনীর স্টার্ফ প্রধাননিযুক্ত হন ।
১৯৭৭ সালের ৫ জুলাই পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করে এবং সারাদেশে সামরিক আইন শাসন বলবত্ হয় । হক প্রধান আইন-প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৭৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি প্রেসিডেন্ট হন । জিয়াউল হক ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ব্যাপারে স্বাধীন,স্বতন্ত্র ও জোট-নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে । তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান সকল দেশ বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে ইচ্ছুক; "দক্ষিণ এশিয় শান্তি এলাকা" বা দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় "পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত এলাকা" স্থাপনের পক্ষপাতী; ফিলিস্তিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জনগণের সংগ্রামে সমর্থন করে; দৃঢ়ভাবে পরাশক্তির আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনী নীতির বিরোধিতা করে, বাহিনী আফগানিস্তানে হামলা করার জন্যে সোভিয়েট ইউনিয়নের তীব্র নিন্দা করে; ভিয়েতনামের আগ্রসনের বিরোদ্ধে কাম্পুচিয় জনগণের সংগ্রামে সমর্থন করে এবং ভিয়েতনামের প্রতি জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী কাম্পুচিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি জানায় । ১৯৮১ সালে জিয়াউল হক "আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতা বিষয়ক স্বর্ণ পুরস্কার পান ।
**ইয়েলত্সিন রুশ সরকার ভেঙ্গে দেন
১৯৯৮ সালের ২৩ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়েলত্সিন রুশ সরকার ভেঙ্গে দেয়া এবং প্রধানমন্ত্রী,প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরপদ অপসারণ করার কথা ঘোষণা করেন । তাঁর কারণ ছিল: রুশ সরকারের "প্রাণ-শক্তি,"-সক্রিয়তা এবং নতুন চিতাধারা ও উপায়ের অভাব রয়েছে এবং ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক সমস্যা সমাধান করতে পারে নি । একই সঙ্গে ইয়েলত্সিন সাবেক জ্বালানী ও শক্তি মন্ত্রীকে গিলিয়েনকোকে প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন এবং তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন । কয়েক দিন পর ইয়েলত্সিন তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন । ২৪ এপ্রিল রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় দুমা তিনবার ভোটদানের মাধ্যমে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৩৫ বছর বয়স্ক গিলিয়েনকোকে অনুমোদন করে।
|