v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-03-22 21:35:30    
চীনের বিখ্যাত সিরিংক্স বাদক হু থিয়েনছুয়েন

cri
    সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, সুদূর পেইচিং থেকে আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের সুরের ভুবন পরিবেশন করছি আমি আপনাদের বন্ধু লিলি। আজকের অনুষ্ঠানে আমি প্রথমে চীনের বিখ্যাত সিরিংক্স বাদক হু থিয়েনছুয়েনকে আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো।

    সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা এখন যে সঙ্গীত শুনছেন তা হচ্ছে হু থিয়েনছুয়েনের পরিবেশিত সিরিংক্স সঙ্গীত "ফিনিক্স পাখি ডানা মেলে"। সঙ্গীতে উত্তর চীনের আঞ্চলিক অপেরার সুর নেয়া হয়েছে এবং পরিবেশনের বৈচিত্র্যময় কলাকৌশল মাধ্যমে প্রাণবন্তভাবে চীনের প্রাচীন কিংবদন্তীর এক ধরণের পাখি ফিনিক্স পাখির ডানা মেলার নয়ণাভিরাম দৃশ্য বর্ণনা করা হয়। সঙ্গীতে জীবনের প্রতি মানুষের সুন্দর শুভেচ্ছা ও প্রতীক্ষা প্রকাশ করা হয়।

    হু থিয়েনছুয়েন উত্তর চীনের শানসি প্রদেশের একটি লোক-শিল্পী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১০ বছর বয়সে তিনি বাবার কাছে চীনা সানাইসহ চীনের জাতীয় বায়ুচালিত বাদ্যযন্ত্র শিখতে শুরু করেন এবং এই যন্ত্র বাজানোর অনেক কলাকৌশল ও লোক সঙ্গীত আয়ত্ত করেন। নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর হু থিয়েনছুয়েন চীনা গণ মুক্তি ফৌজের গণ-নিরাপত্তা বাহিনীর সাংস্কৃতিক দলে একজন বাদক হিসেবে চাকরি করেন।

    সিরিংক্স হচ্ছে চীনের এক রকম প্রাচীন বায়ুচালিত বাদ্যযন্ত্র। তার ধ্বনি খুব মিষ্টি, কিন্তু আওয়াজ ছোট। ইতিহাসে সিরিংক্স প্রধানত লোকসঙ্গীত পরিবেশনের সময়ে সমবেতভাবে বাজানো হয়। একক বাদ্যযন্ত্র হিসেবে তার ব্যবহার খুব কম। "ফিনিক্স পাখি ডানা মেলে" নামক সিরিংক্স সঙ্গীত ব্যাপক শ্রোতাদের প্রশংসা পায় এবং শুধুই একটি প্রসঙ্গবাদ্যযন্ত্র হিসেবে এর ব্যবহারের ইতিহাস শেষ হয়। ১৯৫৭ সালে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ বিশ্ব তরুন প্রীতি সম্মিলনীতে হু থিয়েনছুয়েন এই সঙ্গীত দিয়ে লোক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক পান।

    হু থিয়েনছুয়েন অব্যাহতভাবে সিরিংক্সবাজানোর নতুন নতুন কলাকৈশল উদ্ভাবন করার সঙ্গে সঙ্গে সিরিংক্সের গঠন কাঠামোর সংস্কার করার প্রচেষ্টাও করেন। তিনি সিরিংক্সের আওয়াজ আরো বড় এবং ধ্বনি আরো স্থিতিশীল ও সুগভীর করার জন্যে বহু ধরণের সিরিংক্স তৈরী করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি দক্ষিণ-পশ্চিম সংখ্যালঘু জাতির বাউ নামক এক রকম বায়ুচালিত বাদ্যযন্ত্রের সূরের নিয়ম অনুসারে সাফল্যের সঙ্গে বাউ সিরিংক্স উদ্ভাবন করেন। এখন আমরা একসাথে অন্য একজন সুরকারের সঙ্গে তাঁর যৌথভাবে রচিত বাউ সিরিংক্সের একক বাদ্যযন্ত্র সঙ্গীত " আনন্দদায়ক গান" শুনবো। সঙ্গীতের সুর মনোগ্রাহী ও নমনীয়। সঙ্গীতে উত্সবে ই জাতির তরুণ-তরুনীদের গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাচ করার দৃশ্য বর্ণনা করা হয়। আচ্ছা, চলুন, একসঙ্গে সঙ্গীত উপভোগ করা যাক।

    আজকের বাকী সময় আমি চীনের একজন বীণাবাদক চাওছোংকে শ্রোতাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো। চাওছোং একটি সঙ্গীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই মায়ের কাছে বীণা শিখেন এবং বাবার কাছে পিয়ানো শিখেন। ২০০০ সালে তিনি চীনের কেন্দ্রীয় সঙ্গীত ইন্সটিটিউট থেকে স্নাতক হওয়ার পর জাতীয় সঙ্গীত দলে একক বাদকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এখন আমার সঙ্গে তাঁর পরিবেশিত ইতালির একটি সঙ্গীত শুনবেন। সঙ্গীতের সুর সুন্দর ও আবেগপূর্ণ। বিশ্বে এটি খুব প্রচলিত। সঙ্গীতে জন্মভূমি ও প্রিয়জনের প্রতি মানুষের অনুভূতি ফুটিয়ে তোলা হয়।

    চাওছোং বহুবার চীনের বিভিন্ন ধরণের লোক বাদ্যযন্ত্রী প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পান এবং চীনের "সঙ্গীতপ্রেমী" সঙ্গীত দলসহ অনেক বিখ্যাত সঙ্গীত দলের সঙ্গে সহযোগিতা করেন এবং তা ব্যাপক ইতিবাচক মূল্যায়ন পায়। তিনি বহুবার যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান, গ্রীস, মিসর ইত্যাদি দেশ সফর করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দেশী-বিদেশী সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান তত্পরতায় অংশ নেন। তাঁর চমত্কার পরিবেশনা স্থানীয় দর্শকশ্রোতাদের সমাদর পায়। সুপ্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, এখন আমরা একসাথে তাঁর পরিবেশিত " মমতাপূর্ণ চুম্বন" নামে একটি বীণাসঙ্গীত শুনবো। তা মেক্সিকোর একটি বিখ্যাত প্রেমের গান অনুসারে রচিত হয়। সঙ্গীত ল্যাটিন আমেজে পরিপূর্ণ। আচ্ছা, এখন সঙ্গীত শোনা যাক।