আরব লীগের প্রতিষ্ঠা
১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ আরব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিসরের প্রস্তাব অনুসারে মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়া বন্দরে সম্মেলন আয়োজন করেন। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ' আলেক্সান্দ্রিয়া প্রটোকল' প্রণয়ন করে আরব লীগ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক, সৌদি আরব, লেবানন, মিসর, ইয়েমেন প্রভৃতি সাতটি দেশের প্রতিনিধিরা কায়রোয় অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ' আরব লীগ চুক্তি' স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লীগের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করেন।
কুয়েতের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা
১৯৭১ সালের ২২ মার্চ কুয়েতের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
কুয়েত পারস্য উপসাগরের উত্তরপশ্চিম কোণে অবস্থিত, দেশের আয়তন ১৭৮১৮ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা ১৭.৯ লাখ। আয়তনে ছোট হলেও এখানে খুবই সমৃদ্ধ তেলসম্পদ রয়েছে। কুয়েতের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্রুত গতি বিশ্ববাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
কুয়েত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম আরব দেশ, ইসলাম হলো কুয়েতের জাতীয় ধর্ম। রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবী ।
নামিবিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা
১৯৯০ সালের ২২ মার্চ নামিবিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
নামিবিয়ার পুরানো নাম দক্ষিণপশ্চিম আফ্রিকা, আয়তন ৮.২৪ লক্ষ বর্গকিলোমিটার, লোকসংখ্যা ১৮ লাখ। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই কৃষ্ণাঙ্গ ।১৫ থেক ১৮তম শতাব্দিতে নেদারল্যাণ্ড, পর্তুগাল এবং ব্রিটেন পর্যায়ক্রমে নামিবিয়ায় আগ্রাসন চালায় । ১৮৯০ সালে জার্মানি নামিবিয়ার গোটা ভূভাগ দখল করে ফেলে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা সশস্ত্র বাহিনী পাঠিয়ে নামিবিয়া দখল করে এবং ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে অবৈধভাবে এ দেশ গ্রাস করে ।
নুজমার নেতৃত্বে পরিচালিত দক্ষিণপশ্চিম আফ্রিকান গণ সংগঠন ২৩ বছর ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে বর্ণবৈষম্যবাদী শাসনের ওপর প্রচণ্ড আঘাত হানে। আন্তর্জাতিক সমাজ আর বিশেষ করে আফ্রিকান দেশ ও জনগণের সমর্থনে নামিবিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদীদের ৭৫ বছর স্থায়ী শাসন ও অর্থনৈতিক লুণ্ঠনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে।
বিশ্ব পানি দিবস
১৯৯৩ সাল থেক প্রতি বছরের ২২ মার্চকে "বিশ্ব পানি দিবস" বলে ধার্য করা হয়। ৪৭তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী এই দিবস ধার্য করা হয়।
এখন সারা পৃথিবীতে পানির খুব অভাব। ২৮টি দেশে এই অভাবের অবস্থা খুবই গুরুতর। ৩০ বছর পর পানির অভাব-দুর্গত লোকদের সংখ্যা হবে দুই থেকে তিন শো কোটি। অর্থাত পানির তীব্র সংকট ঘটবে।
মানব জাতির বেঁচে থাকার জন্য পানি সমস্যা সমাধান খুবই জরুরী। বিশ্বের অধিক থেকে অধিকতর দেশ ইতিমধ্যেই তত্পর হয়ে উঠেছে এবং পানি সম্পদ সংরক্ষণ ও দূষণ প্রতিরোধের সক্রিয় ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্ব পানি দিবসের সতর্ক বাণী : বিশ্ববাসীগণ, পানি সাশ্রয় করুন, যুক্তিযুক্তভাবে তা ব্যবহার করুন এবং পানি সম্পদ সুরক্ষা করুন ।
|