সাবেক যুগোস্লাভিয়া সমস্যা সম্পর্কে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক ফৌজদারী আদালতের মহাপরিচালক ফাউস্তো পোকার ১৭ মার্চ এক বিবৃতি দিয়েছেন । তাঁর বিবৃতিতে বলা হয়েছে , সাবেক যুগোস্লাভিয়ারপ্রয়াত প্রসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ বিষে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নি ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে , মিলোসেভিচের রক্ত পরীক্ষা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , মিলোসেভিচের রক্তে অতীতের ওষুধপত্রের চিহ্ন রয়েছে , কিন্তু সেই ওষুধ বিষাক্ত হওয়ার পরিমানে পৌঁছায়নি । তাছাড়া তার রক্তে ওষুধ রিফাম্পিনর চিহ্ন দেখা দেয়নি ।
উল্লেখ্য , ১১ মার্চ ৬৪ বছর বয়সী মিলোসেভিচ হেগে জাতিসংঘ কারাগারে মারা যান । হেগ আদালত ১২ মার্চ মিলোসেভিচের লাশ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে । এ থেকে প্রমাণিত হয় যে , মিলোসেভিচ হৃদরোগে মারা যান । কিন্তু মিলোসেভিচ বিষে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বা আত্মহত্যা করে মারা যান ইত্যাদি গল্পগুজব ছড়িয়ে পড়ছিল । ১৩ মার্চ নেদারল্যান্ডের ডাক্তার ডোনাল্ড ইউকেস বলেছেন , মিলোসেভিচ মৃত্যুর দু-সপ্তাহ আগে তিনি তার রক্ত পরীক্ষা থেকে রিফাম্পিনর চিহ্ন দেখেছেন । এই ওষুধ হৃদরোগ ও উচ্চ রোক্ত চাপের ওষুধের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে ।
|