** জু রং জি চীনের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত
১৯৯৮ সালের ১৭ই মার্চ চীনের নবম জাতীয় গণ কংগ্রেসের পঞ্চম পুর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভোটদানের মাধ্যমে জু রং জি চীন গণ প্রজাতন্ত্রের প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হন। অধিবেশনের কার্যনিবার্হী চেয়ারম্যান হু চিন থাও সভাপতিত্ব করেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পর, গোটা হল করতালিতে মুখরিত হয়।
অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়সূচী অনুযায়ী, অধিবেশনে চীনের প্রেসিডেন্টের মনোনয়ন প্রধান মন্ত্রীর পদ- প্রার্থীর ওপর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় । চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যানের মনোনয়ন অনুযায়ী চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান, সামরিক কমিটির সদস্য পদের প্রার্থীর ওপর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তা ছাড়া, চীনের সর্বোচ্চ গণ আদালতের প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত হন এবং সর্বোচ্চ গণ- অভিসংশক নিবার্চিত হন।
সেবারকার অধিবেশনে চাং ওয়াননিয়ান, ছিহাও থিয়েন চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
ফু ছিয়েন ইউ, ইউ ইয়ুনপো, ওয়াং কে এবং ওয়াং রি লি চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হন।
শিও ইয়াং চীনের সর্বোচ্চ গণ আদালতের প্রধান বিচারপতি নির্বাচিত হন, হ্যান সু পিন চীনের সর্বোচ্চ অভিশংসক নির্বাচিত হন।
** মেই লানফাং প্রথম পেইচিং অপেরা " মুলান ছুংচুন" এ অভিনয় করেন
চীনের পেইচিং অপেরা "প্রাচ্যের অপেরা" বলে অভিহিত । তা পুরোপুরিই চীনা সংস্কৃতির মূল্যবান মুক্তা। পেইচিংয়ে এর জন্ম হয়েছে বলে পেইচিং অপেরা নামে পরিচিত । পেইচিং অপেরা " মুলান ছুংচুন" মোট ২৯ অংশ আছে এবং দুই বার শেষ করা যায়।১৯১২ সালের ১৭ মার্চ শিল্পী মেই লানফাং পেইচিং ছিয়ানমেনের বাইরে পেইচিং অপেরা " মুলান ছুংচুন" প্রথমবার অভিনয় করেন।
মেই লানফাং ছিলেন সারা বিশ্বে চীনের সবচেয়ে পরিচিত পেইচিং অপেরার অন্যতম শিল্পী । তিনি ৮ বছর বয়সে পেইচিং অপেরা শিখতে শুরু করে এবং ১১ বছর বয়সে মঞ্চে উঠে অভিনয় করেন । পঞ্চাশাধিক বছরের অভিনয়ের ইতিহাসে মেই লানফাং "তান" ভূমিকার গাওয়া , আবৃত্তি , নাচ , সংগীত , পোষাক , মেক আপ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সৃজনশীল উন্নতি সাধন করেছেন এবং নিজের বিশেষ শিল্পশৈলী গড়ে তুলেছেন। ১৯১৯ সালে মেই লান ফাং চীনের পেইচিং অপেরা দল নিয়ে জাপানে গিয়ে অভিনয় করেছিলেন । এটা ছিল বিদেশে চীনের পেইচিং অপেরার প্রথম অভিনয় । ১৯৩০ সালে মেই লানফাং আবার পেইচিং অপেরা দল নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অভিনয় করেন এবং বিরাট সাফল্য অর্জন করেন । ১৯৩৪ সালে তিনি আমন্ত্রণক্রমে ইউরোপ সফর করেন এবং ইউরোপের অপেরা মহলের গুরুত্ব লাভ করেন । তারপর পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান পেইচিং অপেরাকে চীনের অভিনয়-অপেরা হিসেবে অভিহিতকরতে শুরু করেন ।
চীনে সংস্কার আর উন্মুক্ততার নীতি চালু হওয়ার পর পেইচিং অপেরার নতুন বিকাশ হয়েছে । উত্কৃষ্ট ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা হিসেবে পেইচিং অপেরা চীন সরকারের কাছ থেকে বিরাট সমর্থন লাভ করেছে । আজ সারা বছর পেইচিংয়ের সুবৃহত ছাং আন থিয়েটারে বিভিন্ন পেইচিং অপেরা মঞ্চস্থহয় । প্রতি বছর অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পেইচিং অপেরা অনুরাগীদের প্রতিযোগিতা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের পেইচিং অপেরা অনুরাগীদের আকর্ষণ করে । তাছাড়া পেইচিং অপেরা অন্যান্য দেশের সংগে আদান-প্রদানের ক্ষেত্রেএকটি সংরক্ষিত অনুষ্ঠানও বটে ।
|