স্প্যানিশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত
স্প্যানিশের আয়তন ৫ লক্ষ ৪ হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটার, লোকসংখ্যা ৪ কোটি। সরকারী ভাষা হলো স্প্যানিশী। অধিকাংশ লোক ক্যাথলিক । রাজধানি মাডরিড ।
১৯৭৩ সালের ৯ মার্চ স্প্যানিশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রীয় পরিষদ তিব্বত সমস্যার উপর চারটি মতামত সিদ্ধান্ত নেয়
১৯৫৫ সালের ৯ মার্চ রাষ্ট্রীয় পরিষদের সপ্তম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে তিব্বত সমস্যা নিয়ে চারটি মতামত গৃহিত হয়।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চীনের পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অন্যতম । সংক্ষেপে তিব্বত । অঞ্চলটি তিব্বতজাতিকে কেন্দ্র করে গঠিত এক জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল । তিব্বত চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে এবং ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। তিব্বতের দক্ষিন আর পশ্চিম দিকে মায়ানমার, ভারত, ভূট্টান, সিকিম আর নেপাল প্রভৃতি দেশের সঙ্গে সংলগ্ন । তার মোট সীমান্ত রেখা প্রায় ৪০০০ কিলোমিটার । তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আয়তন ১২.২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার । এটা চীনের মোট আয়তনের ১২.৮শতাংশ ।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গড়পড়তা সমুদ্র পৃষ্ঠ উচ্চতা হলো ৪০০০মিটার বেশী । তিব্বত ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির প্রধান অংশ এবং বিশ্বের ছাঁদ নামে পরিচিত । তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মোট লোকসংখ্যা ২৬ লক্ষ।এর মধ্যে তিব্বতজাতির লোকসংখ্যা ২৫ লক্ষ । এই সংখ্যা তিব্বতের মোট লোকসংখ্যার ৯৬ শতাংশ । তিব্বত চীনের এমন একটি প্রদেশ যার লোকসংখ্যা এবং ঘনত্ব সবচেয়ে কম । তার লোকসংখ্যার গড়পড়তা ঘনত্ব এক বর্গকিলোমিটারে ২ জনের চেয়ে কম ।
ত্রয়দশ শতাব্দীর মধ্যকালে তিব্বত অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয় । এরপর চীনের কয়েক রাজবংশের উত্থান-পতন এবং বহুবার কেন্দ্রীয় প্রশাসনের রদবদল হলেও তিব্বত কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনাধীনে আছে ।
১৬৪৪ সালে ছিং রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ছিং সরকার আরও কড়াকড়িভাবে তিব্বত প্রশাসন করে । ফলে তিব্বতে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাবভৌমত্ব পালন করার কাজ ব্যবস্থাযুক্ত ও আইনগত করা হয়েছে । ১৭২৭ সালে তিব্বতে রাজবংশের কাযালয় খোলা হয় । তারা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তিব্বতের স্থানীয় প্রশাসনপালনে তত্ত্বাবধান করে ।
১৯৪৯ সালে চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় । কেন্দ্রীয় গণ সরকার তিব্বতের ইতিহাস আর বর্তমানের অবস্থা অনুসারে শাস্তিপূর্ণভাবে তিব্বত মুক্ত করার নীতি গ্রহন করে । তিব্বতী জনগণের ইচ্ছানুযায়ী কেন্দ্রীয় গণ সরকার তিব্বতে গণতান্ত্রিক সংস্কার চালায়, সামন্ততান্ত্রিক দাস ব্যবস্থা বাতিল করে । লক্ষ লক্ষ ভূমি-দাস ও দাস মুক্তি পান । ভূমি-দাস মালিকদের ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে তাদের কেনা-বেচা ,হস্তান্তর , বিনিময় বা ঋন দেয়া হবে না,তাদের ভূমি-দাস মালিকের অত্যাচারে পরিশ্রম করতে হবে না এবং এর পর থেকে তারা মানুষের স্বাধীনতা পেয়ে নতুন সমাজের মালিক হন । আরও কয়েক বছরের স্থিতিশীল বিকাশের পর ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
|