v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-03-07 15:26:11    
বানর রাজা সুন উখোং(৩৩)

cri
    উখোং মেঘে চড়ে গেলো কুয়ানইন দেবির পরামর্শ নেয়ার জন্য । বাঁশের সাজি হাতে দেবি এলেন । সব শুনে তিনি উখোং-এর সঙ্গে এলেন আচার্যকে রক্ষা করতে ।

    নদির ধারে এসে দেবি সাজিটা নদিতে ফেলে ম্ত্র পড়লেন । একটু পরে দেখা গেলো সাজিতে এক সোনালি মাছ । দেবি বললেন , এই হলো সেই দানব । আমার পদ্ম সরোবরে থাকতো । পালিয়ে এসে এখানে উত্পাত করছে । একে আমি নিয়ে গেলাম । দেবি চলে গেলেন । সবাই প্রণাম করলো দেবিকে ।

    উখোং এবং শিষ্যরা আচার্যকে উদ্ধার করে নদির তিরে এলো। কিন্তু কিভাবে নদি পার হবে তারা ? এমন সময় উঠে এলো এক কচ্ছপ । তার খোল চল্লিশ হাত লম্বা । সে জানালো , মাছ দানবটা নয় বছর যাবত তার "জল কচ্ছপ ভবনটি" দখল করে রেখেছিলো । আজ আপনাদের দয়ায় সে দানব ধরা পড়েছে । তাই কৃতজ্ঞতা জানাতে এলাম । একটু সেবা করবো আপনাদের । আমি আপনাদের পৌঁছে দেবো ।

    সবাই সেই কচ্ছপের পিঠে চড়ে নদি পার হলো নিরাপদে । সব বিপদ কেটে গেলো । আবার শুরু হলো পথ চলা । গন্তব্য হলো পশ্চিম দেশ ভারতবর্ষ ।

    আগাশ গামি নদি পার হয়ে আচার্য ও তার শিষ্য পথ চলছেন অক্লান্তভাবে । একদিন উঁচু এক পাহাড়ের উপর দিয়ে যেতে যেতে নিচে এক গ্রাম দেখা গেলো । আচার্য ঐ গ্রাম থেকে উখোংকে কিছু খাবার জোগাড় করে আনতে বললেন । সবাই ক্ষুধার্ত । কিছু খাওয়া দরকার ।

    উখোং নিচে নামবে এমন সময় দেখলো কালো মেঘের কুন্ডলি । তার কাছে অশুভ মনে হলো ব্যাপারটা । কিন্তু আচার্য ক্ষুধার্ত বলে সে খাবার আনতে গেলো । যাবার আগে গুরু ও গুরুভাইদের চারপাশে গোল দাগ দিয়ে বললো , সে ফিরে না আসা পর্যন্ত কেউ যেনো এই যাদুর দাগ থেকে বাইরে না যায় । তাহলে বিপদ হবে ।

    উখোং এক ডিগবাজি খেয়ে নিচে নামলো । এক বাড়ির সামনে গিয়ে দরজায় টোকা দিতেই বের হয়ে আসলেন এক বৃদ্ধ । আচার্য ও তাদের পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধের কাছে কিছু খাবার চাইলো উখোং । সে বহুদুর থেকে উড়ে এসেছে শুনে বৃদ্ধ তাকে ভুত ভাবলো । এবং লাঠি দিয়ে বানরের মাথায় দিলো এক বাড়ি । বানর তাতে ভয় না পেয়ে বললো , মারুন ক্ষতি নেই । কিন্তু যতোবার মারবেন ততো বাটি ভাত দিতে হবে । বৃদ্ধ আরও ভয় পেয়ে গেলো ।

    উখোং নিজেকে অদৃশ্য করে বুড়োর রান্নাঘরে গিয়ে এক গামলা ভাত নিয়ে চলে গেলো উড়ে ।

    ওদিকে যাদুর ঘেরার মধ্যে বসে থাকতে থাকতে সবাই অস্থির হয়ে পড়লো । একসময় তারা ঐ দাগ থেকে বেরিয়ে পশ্চিমদিকে গেলো । সেদিকে এক বাড়ি দেখে পাচিয়ে ঢুকে পড়লো আগে । বাড়িতে বড়ো বড়ো ঘর কিন্তু কেউ কোথাও নেই । সে পিছনের দিকে এসে দেখলো একটা ঘরে মশারি টাঙানো । সে মশারি তুলে মানুষের মাথায় খুলি ও হাড়গোড় দেখে আঁতকে উঠলো । মশারির এক পাশে তিনটা সুন্দর সিল্কের জামা সেগুলো তুলে নিলো পাচিয়ে । গুরু নিলেন না পরের জিনিস । কিন্তু দুই শিষ্য তা গায়ে পড়ে ফেললো সঙ্গে সঙ্গে ।

    জামার বোতাম লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে তা দড়ি হয়ে গেলো এবং বেঁধে ফেললো শিষ্য দুজনকে । তারা বন্দি হয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়লো নিমেষে । এমন সময় আচার্য দেখলেন যে বাড়িটি উধাও । আসলে একটা গুহা এটা । মোষ দানব মানুষ ধরার জন্যই বাড়িটা তৈরি করেছিলো । কয়েকটা খুদে দানব এসে সুয়ান সুয়াং ও দুই শিষ্যকে ধরে নিয়ে গেলো এক বড়ো দানবের সামনে ।