v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-03-02 09:57:26    
৩ মার্চ

cri
    ** ফ্রান্সের লেখিকা ডুরাসের মৃত্যু

    ১৯১৪ সালের ৪ এপ্রিল মার্গুরিট ডুরাস জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর পিতামাতা উডয়ই শিক্ষক, পিতার অকাল মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবারের জীবন দিন দিন কষ্ট হয়ে পড়ে। ১৯১২ থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত তিনি মস্কোর খনি ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করেন। এই ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হওয়ার পর তিনি কমিউনিস্ট পার্টি বিষয়ক কাজ করেন। ১৯২৬ সাল থেকে তিনি সাহ্যিতকর্ম সৃষ্টির কাজে লিপ্ত ছিলেন।১৯৯৬ সালের ৩ মার্চ তিনি রোগে আক্রান হয়ে মারা যান।

    ** "৮৬৩ পরিকল্পণা" প্রণীত

    ১৯৮৬ সালের ৩রা মার্চ নাম করা বিজ্ঞানী ওয়াং তা হোং, ওয়াং গান ছাং, ইয়াং চিয়া ছি, ছেন ফাং ইয়ুন মিলিতভাবে আলোচনা করার পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে "বিশ্বের নৈতিক উচ্চ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অনুসন্ধান সংক্রান্ত প্রস্তাব" উত্থাপিত করেছেন ।

    ৫ই মার্চ তেং সিয়াও পিং এই প্রস্তাবের উপর গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিকল্পনা অনুসারে বিশেষজ্ঞ এবং পন্ডিতরা ধারাবাহিক অধিবেশনে চীনের উচ্চ-প্রযুক্তিগত বিকাশের রণনীতির উপর সার্বিক আলোকপাত করেন এবং "উচ্চ প্রযুক্তিগত গবেষণা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা অর্থাত্ ৮৬৩ পরিকল্পনা সংক্রান্ত খসড়া কর্মসূচী তৈরী করেন। "৮৬৩ নং পরিকল্পনায়" চীনের বিকাশের ওপর গুরুত্বপুর্ণ প্রভাব বিস্তারকারী জীব , মহাশূন্য, তথ্য, লেজার , স্বয়ংক্রিয় , শক্তিসম্পদ, নতুন উপকরণ এই সাতটি উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্র বাছাই করা হয়েছে। এই সাতটি ক্ষেত্রে ১৫টি প্রধান বিষয় এবং প্রায় এক হাজার বিষয় নির্ধারিত হয়েছে। পাঁচ শতাধিক সংস্থার প্রায় দশ হাজার বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ গবেষণার কাজে অংশ নিয়েছেন।

    ** সুই কুয়াংফিংয়ের মৃত্যু

    সুই কুয়াংফিংয়ের আরেক নাম হলো চিংসুং। তিনি চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের ফানইউ-এর অধিবাসী। ১৮৯৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী কুয়াংচৌ-এ তাঁর জন্ম হয়। ১৯৪৯ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি চীনের জনগণের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের প্রথম জাতীয় কমিটির অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং চীনের রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের জাতীয় কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৬০ সালের অক্টোবরে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দান করেন।

    ১৯৬৮ সালের ৩ মার্চ তিনি পেইচিংয়ে মারা যান।

    ** চীনের সুই রাজবংশের শুরু

    ৫৮১ খ্রীষ্টাব্দে সম্রাট ইয়াং চিয়ান সুই রাজবংশ স্থাপন করেন ।৬১৮ খ্রীষ্টাব্দে সুই রাজবংশের সম্রাট ইয়াংকুয়াংকে ফাঁসি দেয়া হয় । মাত্র ৩৭ বছর স্থায়ী সুই রাজবংশ ছিল একটি স্বল্প আয়ুর রাজবংশ । সম্রাট ইয়াং চিয়ানের অবদান ছিল সর্বাধিক ।তিনিই উত্তর চৌ রাজবংশীয় আমলের শাসনপদ্ধতি বাতিল করে দেশকে তিনটি প্রদেশে বিভক্ত করেন এবং ছটি পরিষদ নিয়ে রাজসভা গঠন করেন । তিনি যে নতুন আইন প্রনয়ন করেন তা দক্ষিণ আর উত্তর রাজত্বকালের আইনের মত নিষ্ঠুর নয় । সেই সময়ে চীনে যে মহাখাল খনন করা হয়েছিল তার অর্ধেক অবদান ছিল সম্রাট ইয়াংকুয়াংয়ের ,যদিও দক্ষিণ চীন ভ্রমনের জন্য তিনি মহাখাল খননের আদেশ দিয়েছিলেন । এই ছাড়া তার চরিত্র সম্পর্কে জনসাধারণের ভালো ধারণা ছিল না । উপরন্তু তাঁর নিষ্ঠুর আচরণ ইতিহাসে ছিল কুখ্যাত । তিনি যে মাত্রাতিরিক্ত রাজকর সংগ্রহ করেন তাতে জনসাধারনের মধ্যে দারুন ক্ষোভ সৃষ্টি হয় ,এর কুফল হিসেবে তাঁকে ফাঁসী দেয়া হয় জিয়াংতু শহরে ,সেই সংগে সুই রাজবংশের বিলুপ্তিও ঘটে ।