v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-02-27 10:35:17    
২০--২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০৬

cri
ছেন সুইপিয়েনের একায়ন কার্যক্রম বর্জন তার নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী তত্পরতার পরিচায়ক

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির তাইওয়ান বিষয়ক অফিস এবং রাষ্ট্রীয় পরিষদের তাইওয়ান কার্যালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ২৬ ফেব্রুয়ারী ছেন সুইপিয়েনের "রাষ্ট্রের একায়ন সমিতি" ও " রাষ্ট্রের একায়ন কার্যক্রম" বর্জন সম্পর্কে বলেছেন , ছেন সুইপিয়েনের আচরণ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , তিনি নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী তত্পরতার ষড়যন্ত্র করছেন, বিশেষ করে তিনি তথাকথিত সংবিধান সংশোধন করে আইনের দিক থেকে স্বাধীনতাইওয়ানপন্থী প্রয়াসের পথ সুগমের অপপ্রয়াস চালাছেন ।

দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেছেন , সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ছেন সুইপিয়েন বারবার ঘোষণা করে বলেছেন যে , তিনি রাষ্ট্রেরএকায়ন সমিতি এবং রাষ্ট্রের একায়ন কার্যক্রম বর্জন করবেন এবং তিনি পরিকল্পনা তৈরী করে তা বাস্তবায়িত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । ছেন সুইপিয়েনের স্বাধীন তাইওয়ান পন্থী প্রয়াসের বিচ্ছিন্নতাবাদী তত্পরতা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে । এটা অবশ্যই তাইওয়ান প্রণালীঅঞ্চলে গুরুতর সংকট ডেকে আনবে এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে । এথেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , স্বাধীন তাইওয়ান পন্থী প্রয়াস তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ক্ষুন্ন করার বৃহত্তম কারণ । বাস্তব ঘটনাও প্রমাণ করেছে যে , ছেন সুইপিয়েন সত্যিই তাইওয়ান দ্বীপের , দুপারের সম্পর্ক এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের ঝামেলা সৃষ্টিকরেছেন ।

চীন "বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইন" সংশোধন করে গ্রামাঞ্চলের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে

চীনের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ২০ বছর ধরে বলবত হওয়া " বাধ্যতামুলক শিক্ষা আইন" সংশোধনের কাজ শুরু করেছে যাতে শিক্ষক ও শিক্ষার অর্থের দিক থেকে সর্বপ্রথমে গ্রামাঞ্চলের চাহিদা মেটানোর নিশ্চয়তা বিধান করা যায় ।

চীনে এখন ৯ বছরব্যাপী বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রয়েছে । গত কয়েক বছরে চীনের শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে শিক্ষাগত মানের ব্যবধান বেড়ে চলেছে । কিছু কিছু স্কুল ইচ্ছামত নানা ধরণের ফি আদায় করছে । এর প্রতিকার হিসেবে এবারকার অধিবেশনে পেশকৃত " বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনের এক সংশোধনী খসড়ায় স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে . বাধ্যতামূলক শিক্ষার সময়পর্বে সংশ্লিষ্ট গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলো ও দুর্বল শিক্ষাগত সামর্থ্যসম্পন্ন স্কুলগুলোতে বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে হবে । সরকারকে গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকতার জন্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছাত্র ও শিক্ষকদের উত্সাহিত করতে হবে । সংশোধনী খসড়ায় স্কুলগুলোর ফি আদায়ের ওপর বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে ।

ওয়েন চিয়া পাও: বাণিজ্যিক ঘুষদানের প্রবণতা রোধ করতে হবে

চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও ২৪ ফেব্রুয়ারী পেইচিংয়ে জোর দিয়ে বলেছেন , বাণিজ্যিক ঘুষদান রোধের কাজকে এই বছরের দুর্নীতি দমন কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গ্রহণ করতে হবে ।

শুক্রবার চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের দুর্নীতিমুক্তি সংক্রান্ত এক কর্ম সম্মেলনে ওয়েন চিয়া পাও এই কথা বলেছেন । তিনি বলেছেন , গত কয়েক বছরে বাণিজ্যিক ঘুষদান তত্পরতা কতিপয় পেশা ও ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়ছে । তাতে দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অপরাধ দেখা দিয়েছে । ঘুষদানের তত্পরতা এখন চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে একটি বিরাট ক্ষতিকর উপাদানে পরিণত হয়েছে বলে তা রোধ করতে হবে ।

ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন , চীন প্রধানত প্রকল্পাদি নির্মাণ , ভূমি বিক্রয় , ওষুধ কেনাবেচা , সরকারী ক্রয় এবং শক্তি সম্পদের উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ঘুষদান তত্পরতা রোধ করবে ।

দারিদ্র্য বিমোচনে চীনের সাফল্য আন্তর্জাতিক সমাজের প্রশংসা পেয়েছে

বিশ্ব ব্যাঙ্কের গভর্নর পল উলফোভিজ মনে করেন, চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের গতি এতো দ্রুত, আকার এতো বিরাট যে তা মানবজাতির ইতিহাসে বিরল ।

  "বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন অভিযান" এর চীনা ভাষার সংস্করণ প্রকাশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ২৩ ফেব্রুয়ারী পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উলফোভিজ এই বইয়ের প্রস্তাবনায় চীনের দারিদ্র্য বিমোচনের সাফল্যের যথাযথ প্রশংসা করেছেন।

  বিশ্ব ব্যাঙ্ক সারা বিশ্বের ১০৬টি দারিদ্র্য বিমোচনের উদাহরণ নিয়ে এই "বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন অভিযান" বইটি রচনা করেছে। বইয়ের মধ্যে চীন সংক্রান্ত অধ্যায় বিগত বিশাধিক বছরে দারিদ্র্য বিমোচন ক্ষেত্রে চীনের অর্জিত সফল অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে।

  জানা গেছে, চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তদ্বার নীতি চালু হওয়ার বিশাধিক বছরে চীনের গ্রামীন দরিদ্র জনসংখ্যা ৩০ কোটি থেকে নেমে ২ কোটি ৬০ লাখ হয়েছে। পরবর্তী পাঁচ বছরে চীন অব্যাহতভাবে গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র লোকসংখ্যা কমানোকে দারিদ্র্য বিমোচনের প্রধান কাজ হিসেবে ধার্য করবে।

গত বছরে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মুনাফা ২৪% বাড়িয়েছে

২০০৫ সালে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৯০৪.৭ বিলিয়ন ইউয়ান মুনাফা হয়েছে, আগের চেয়ে ২৫% বেড়েছে, আবার রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের নতুন উচ্চ ফলপ্রসূতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

চীনের উপ অর্থমন্ত্রী চু চিকাং বর্ণনা করে বলেছেন, গত বছরে বিভিন্ন কারণে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মুনাফা দ্রুত বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। তার প্রধান প্রধান কারণ হল, শিল্প প্রতিষ্ঠানের বৈদেশিক পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে উন্নয়ন এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন বিঘ্নিত করার কোনো কোনো ব্যবস্থা ও বাধা ক্রমে ক্রমে দূর করা হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা উন্নয়ন করা, পরিচালনা জোরদার করা, উত্পাদন খরচ আর ব্যয়ভার কমানো, অভ্যন্তরীন নিহিত শক্তি কাজে লাগানো ইত্যাদি ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যয় কমিয়েছে এবং ফলপ্রসূতা বাড়িয়েছে।

তিব্বতী সংস্কৃতির ওয়েবসাইট চালু

তিব্বতী সংস্কৃতির ওয়েবসাইট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে । এই ওয়েবসাইটে সার্বিকভাবে বর্তমান তিব্বতের সামাজিক রীতিনীতি , সংসকৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সম্পর্কে তথ্য দেয়া হবে এবং তুষারাচ্ছন্ন তিব্বতের রং ও রহস্য ফুটিয়ে তোলা হবে ।

জানা গেছে , চীনের তিব্বতী সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে এই ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে । ওয়েবসাইটে তিব্বতের খবর , তিব্বত বিদ্যার গবেষণা , ধর্মীয় জগত , এক নজরে তিব্বত ও তিববত শ্রবণের মত ২০টি কলাম রাখা হয়েছে । এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নেট নাগরিকরা সবসময় পরিবর্তনশীল খবর জানতে পারবেন এবং তিব্বতের সাংস্কৃতিক পুরাকীর্তি নিসর্গ ও এখনকার তিব্বতীদের চালচলন সম্পর্কে রংবেরংয়ের চিত্র উপভোগ করতে পারবেন এবং তিব্বত গণ বেতারের তিব্বতী ও চীনা ভাষার অনুষ্ঠান শুনতে পারবেন ।

চীনে 'মুশাররফের পরিচিতি' নামক চীনা সংস্করণের গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠান আয়োজন

চীন সফররত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ২০ ফেব্রুয়ারী পেইচিংয়ের তিয়াও ইয়্যু থাই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে 'মুশাররফের পরিচিতি' নামক চীনা সংস্করণের গ্রন্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ।

অনুষ্ঠানে এই গ্রন্থের লেখক ইয়াং তাও চিন সহস্তে মুশাররফকে এক কপি গ্রন্থ আর দুই ঈগল সংবলিত চীনের একটি ঐতিহ্যিক চিত্র উপহার দিয়েছেন । এতে মুশাররফ খুব ধন্যবাদ জানিয়ে একটি জবাবী উপহার দিয়েছেন এবং পাকিস্তান সফরের জন্য তিনি আন্তরিকতার সংগে ইয়াং তাও চিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ।

মুশাররফের আশাঃ পাকিস্তানের শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার আনুষ্ঠানিক সদস্য হওয়া

চীন সফররত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ২০ ফেব্রুয়ারী বলেছেন, পাকিস্তান শাংহাই সহযোগিতা সংস্থাকে উচ্চ গুরুত্ব দেয়। পাকিস্তান এই সংস্থার আনুষ্ঠানিক সদস্য হওয়ার আশা প্রকাশ করেছে, যাতে এই সংস্থার কাঠামোতে বিভিন্ন সহযোগিতায় আরো বেশি যোগ দিতে পারে।

তিনি পেইচিংয়ে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার মহাসচিব চাং তে কুয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে এই কথা বলেছেন। বর্তমানে পাকিস্তান হচ্ছে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থার পর্যবেক্ষক দেশ।

চাং তে কুয়াং বলেছেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসদমন , দেশের অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি আরো বলেছেন, শাংহাই সহযোগিতা সংস্থাও পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতাকে গুরুত্ব দেয়।

সিছুয়ান -পাঞ্জাব প্রাদেশিক মৈত্রী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত

চীনের সিছুয়ান প্রদেশ ও পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ ২২ ফেব্রুয়ারী প্রাদেশিক মৈত্রী সম্পর্ক সমঝোতা স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেছে। সফররত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পেরভেজ মুশারাফ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

তিনি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেছেন, সিছুয়ান প্রদেশ পশ্চিম চীনে প্রবেশের দরজা। সিছুয়ান প্রদেশ আর পাঞ্জাব প্রদেশের নদী ও বিশ্ববিদ্যালয় খুবই বিখ্যাত। দু'পক্ষের মৈত্রী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা খুবই উপযুক্ত। তিনি আশা করেন, সিছুয়ান প্রদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের আর্থ-বাণিজ্য সহযোগিতা আরো জোরদার হবে।

হামাস শর্তসাপেক্ষে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে চায়

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়াহ মার্কিন "ওয়াশিংটন পোস্টকে" সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় বলেছেন , হামাস শর্তসাপেক্ষে ইসরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করবে এবং ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি বাস্তবায়ন করতে ইচ্ছুক ।

সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় হানিয়াহ বলেছেন , যদি ইসরাইল ফিলিস্তিনীদেরকে যথেষ্ঠ অধিকার দেয় , ১৯৬৭ সালে তৃতীয়বার মধ্য-প্রাচ্য যুদ্ধের আগে নির্ধারিত যুদ্ধবিরতি লাইনকে সীমান্ত হিসেবে নিয়ে সেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকার করে , জর্দান নদীর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম থেকে সরে যায় এবং আটক ফিলিস্তিনীদের মুক্তি দেয় , তাহলে হামাস ইসরাইলকে স্বীকার করবে , তার সঙ্গে সংলাপ করার বিষয় বিবেচনা করবে এবং ধাপে ধাপে শান্তি বাস্তবায়ন করবে ।

হানিয়াহ আরও বলেছেন , হামাস ফিলিস্তিনের জাতীয় ক্ষমতা সংস্থার স্বাক্ষরিত সংশ্লিষ্ট চুক্তি পরিক্ষা করবে । তিনি জোর দিয়ে বলেছেন , ইহুদিদেরকে হামাস ঘৃণা করে না , তারা শুধু নিজের ভূভাগ চায় ।

ইরাকে ধর্মীয় পবিত্র স্থানে বিস্ফোরণ ঘটনার প্রতিক্রিয়া

ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় পবিত্র স্থান আলি-হাদি মসজিদে ২২ ফেব্রুয়ারী এক বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটেছে, ফলে এই মসজিদের সোনালী ছাদ গুরুতরভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়ারসঞ্চার করেছে।

  ইরাকের প্রেসিডেন্ট জালাল তালাবানি উল্লেখ করেছেন, আক্রমণকারী এই ঘটনা কাজে লাগিয়ে ধর্মীয় সংঘর্ষ ঘটানোর অপচেষ্টা করেছে। ইরাক সরকার শিয়া সম্প্রদায়ের পবিত্র মাজার মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে। ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাফারি ঘোষণা করেছেন, ইরাক এর জন্য দেশব্যাপী তিন দিন শোক পালন করবে।

  শিয়া-মুসলমানের আধ্যাত্মিক নেতা আলি আল-সিস্তানি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে এই অপরাধের নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছেন। সুন্নি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় দলের মুসলিম প্রবীন ইমাম এসোসিয়েশনের মুখপাত্র আল-খুবেইসি এই বিস্ফোরণ ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা করার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে, বিদেশী দখলদার বাহিনীর এই ঘটনার দায়িত্ব বহন করা উচিত।

  জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ, বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রএকই দিনে আলাদা আলাদাভাবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং ইরাকের জনগণকে পরিস্থিতি আরো অবনতি এড়ানো জন্য সংযম অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সুদানের সংসদ দারফুরে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করার বিরুদ্ধে

সুদানের সংসদ ২২ ফেব্রুয়ারী ঘোষণা করেছে, আফ্রিকান ইউনিয়নের বাহিনী স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্যে দারফুর অঞ্চলে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষী বাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

একই দিন সুদান সংসদ বলেছে, সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাম আকোল আজাওয়িন স্থানীয় উত্তেজনাসংকুল পরিস্থিতি প্রশমিত করার জন্যে আফ্রিকান ইউনিয়ন বাহিনীর সাফল্যের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দারফুরে আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষী বাহিনী পাঠানো নিয়ে আলাপ-পরামর্শ করা হচ্ছে। কিন্তু আইনের দিক থেকে, নিরাপত্তা পরিষদ আফ্রিকান ইউনিয়নের নিরাপত্তা আর শান্তি কাউন্সিলের সম্মতি না পাওয়ার অবস্থায়, এ প্রশ্নের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।

সংসদের সদস্যরা জোর দিয়ে বলেছেন, সুদানের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষা করা উচিত। তাঁরা আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আফ্রিকান ইউনিয়েনকে আর্থিক অসুবিধা সমাধানের জন্যে সাহায্য দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।