**চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, কুওমিনতাং পার্টি ও যুক্তরাষ্ট্রের "বাহিনী সংস্কার কার্যক্রম" স্বাক্ষরিত
১৯৪৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী চাং চিচোং, চৌ এনলাই,মার্শেল চীনের ছোংছিংতে যৌথভাবে "বাহিনী সংস্কার কার্যক্রম" স্বাক্ষর করেন এবং ভাষণ দেন ।
মার্শেলবলেছেন, এই কার্যক্রম হল চীনের আশা । অল্প সংখ্যক ব্যক্তি এই কার্যক্রমের বিরোধিতা করে । ওরা অধিকাংশ চীনাদের শান্তি এবং সমৃদ্ধি ও অস্তিত্বের অধিকার বাস্তবায়নের ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করে । "বাহিনী সংস্কার কার্যক্রমে" লিপিবন্ধ করা হয় যে, আগামী ১২ মামের মধ্যে সারাদেশের বাহিনীকে ১০৮টি ডিভিশনের মধ্যেকমানো হবে, চীনের কুওমিনতাং পার্টির ৯০টি ডিভিশন ছাড়া বাকী সৈন্যদের ভঙ্গে দেয়া হবে এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ১৮টি ডিভিশন ছাড়া বাকী সৈন্যদের ভেঙ্গে দেয়া হবে । ১২ মাসের পর ৬ মাসের মধ্যে কুওমিনতাং পার্টির বাহিনীকে ৫০টি ডিভিশনের মধ্যে কমানো হবে এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বাহিনীকে ১০টি ডিভিশনে কমানো হবে । তাছাড়া, কার্যক্রমে দু'পার্টির বাহিনীর অবস্থানের সম্বন্ধে স্পষ্ট বিধি প্রণয়ন করা হয় ।
** জাপান আন্তর্জাতিক লীগ থেকে পরিত্যাগ করে
১৯৩৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক লীগ সর্বসম্মতিক্রমে জাপানের নিন্দা করার পর জাপানের প্রতিনিধি দল আন্তর্জাতিক লীগের সম্মেলন বর্জন করেন ।
সম্মেলনে ম্যানচুরিয়ার ওপর লিতুন তদন্ত গ্রুপের রিপোর্ট গৃহীত হয় , রিপোর্টে প্রকাশ্যে মানচুরিয়ার সার্বভৌমত্ব চীনের অধীনে থাকার " কথা ঘোষণা করা হয় । রিপোর্টে বলা হয় যে, মানচুকুও ছিল জাপানের পুতুল সরকার এবং বিবৃত করা হয় যে,জাপানের আচরণ আত্মরক্ষা নয় , চীনের ভুখন্ডেজাপানী বাহিনীর মোতায়ন আন্তর্জাতিক লীগের সংশ্লিষ্ট চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
রিপোর্টে জাপানের কাছে তার বাহিনী প্রত্যাহার এবং চীনে জাপানের বিশেষ স্বার্থ সংরক্ষণের মানচুরিয়া স্বায়ত্তশাসিত এলাকা প্রতিষ্ঠা করা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় । রিপোর্টে আরো বলা হয় ,যুক্তরাষ্ট্র,সোভিয়েট ইউনিয়ন ইত্যাদি প্রধান সদস্য দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক লীগের একটি পরামর্শ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয় ।
একই সঙ্গে জাপানী বাহিনী রেহো প্রদেশে সামরিক অভিযান চালিয়ে ৪টি শহর দখল করে নেয়।
** নাসের মিশরের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত
১৯৫৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী কর্ণেল নাসের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে মিশরের প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন । যখন তিনি সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যেভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন পাগলের মত জনতা প্রেসিডেন্ট ভবনের বারান্দায় উঠে তাঁকে আলিঙ্গন করে । নাগিবের হাত থেকে রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের করার পর নাসেরের প্রথম প্রধান বিজয় ছিল আলোচনার মাধ্যমে ব্রিটিশ বাহিনীকে সুয়েজ চানেল এলাকা থেকে প্রত্যাহার করানো । কঠিন দর-কষাকষির পর জুলাই মাসে ২০ মাসের মধ্যেব্রিটিশ বাহিনীকে প্রত্যাহারের খসড়া চুক্তি স্বাক্ষিত হয় । অথচ বৃটেনের বেসরকারী ঠিকাদাররা চ্যানেল এলাকায় একটি ঘাঁটি বজায় রাখবে যাতে মধ্য-প্রাচ্যের নিরাপত্তা ব্যহত করার অবস্থা রোধ করা যায় ।
চুক্তি অনুযায়ী বৃটিশ সরকার সৈন্য প্রত্যাহার সম্পন্ন করে । কিন্তু মিশরের খাঁটি জাতীয়তাবাদীরা মনে করেন, "বিনাশর্তে সৈন্য প্রত্যাহার " ছিল একমাত্র গ্রহণযোগ্য সমাধান-পদ্ধতি। শীঘ্রই নাসের আর তাঁর সহকর্মীরা আক্রমণের মুখে পড়ে । অক্টোবর মাসে চরম মুসলিম ব্রাদার্স সমিতি নাসেরকে হত্যা করার চেষ্টা করে ,কিন্তু তারা সফল হয় নি ।
|