v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-02-21 15:49:36    
বানর রাজা সুন উখোং (৩১)

cri
    তিনবার হেরে গিয়ে হরিণ দানব এবার উখোং-এর সঙ্গে অন্য রকম প্রতিযোগিতা করতে চাইলো । সে নিজের মাথা কেটে আবার জোড়া লাগাবে , হৃদপিন্ড কেটে ফেলে আবার তা বুকে বসাবে এবং ফুটন্ত তেলে স্নান করবে । উখোং আনন্দের সঙ্গে রাজি হলো এই প্রতিযোগিতায় ।

    প্রথমে উখোং-এর মাথা কাটা হলো । তা আবার গজালো । তারপর রাজগুরুর মাথা কাটা হলো । উখোং এক কুকুর তৈরি করলো নিমেষে । কাটা মাথাটা নিয়ে সে চলে গেলো । অমনি তার দেহ পড়ে গেলো মাটিতে । সবাই দেখলো , সেখানে পড়ে আছে একটি হলুদ বাঘের প্রেতাত্মা ।

    এবার হরিণ দানবের হৃদপিন্ড কাটার প্রতিযোগিতা । উখোং পরিক্ষার পাশ করলো । প্রথমে কাটা হলো হরিণ দানবের হৃদপিন্ড । উখোং-এর কারসাজিতে এক ঈগল ছোঁ মেরে তা নিয়ে গেলো । দেখা গেলো মরে পড়ে আছে এক বিকট হরিণের প্রেতাত্মা ।

    এবার ছাগল দানব উখোংকে ডাকলো ফুটন্ত তেলে সাঁতার কাটার প্রতিযোগিতায় । উখোং ফুটন্ত তেলের কড়াইতে নেমে মনের আনন্দে সাঁতার কাটতে লাগলো । ছাগল দানব ফুটন্ত তেলের কড়াইতে নামামাত্র পুড়ে মরে গেলো । দেখা গেলো এক রামছাগলের প্রেতাত্মা ।

    সবাই দেখলো তিন রাজগুরু ছিলো পশুদানব । রাজা আচার্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানালেন । এবং রাজ্যে যতো বৌদ্ধ মন্দির আছে সেগুলো পুনণির্মানের আদেশ দিলেন । ভক্তির সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করলো বহু লোক । শান্তি ফিরে এলো রাজ্যে ।

    ছে ছি রাজ্য থেকে বিদায় নিয়ে আচার্য আবার পথে পা রাড়ালেন । তাঁকে যেতে হবে অনেক দুরের দেশ ভারতবর্ষে ।

    আচার্য ও তিন শিষ্য এগিয়ে যাচ্ছেন পশ্চিম দেশের পথে । চলতে চলতে একদিন বিরাট এক নদির সামনে এলেন তাঁরা । উখোং এক ডিগবাজি খেয়ে উপরে ওঠে দেখলো যে নদি খুবই চওড়া । এর নামও লেখা আছে : "আকাশ গামি নদি" ।

    এমন সময় দুরে কাঁসর ঘন্টা শোনা গেলো । আওয়াজ শুনতে শুনতে তাঁরা এসে পড়লো এক গ্রামে । সেখানে এক বিশাল বাড়িতে প্রচুর আয়োজনের সঙ্গে উত্সবের মতো পুজা হচ্ছিল । দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন এক বৃদ্ধ । আচার্য তাঁর কাছে নিজের পরিচয় এবং উদ্দেশ্যের ঘটনা বলে আশ্রয় চাইলেন ।

    বৃদ্ধ আচর্যের তিন শিষ্যকে দেখে আঁতকে উঠলেন । আচার্য তাঁকে আশ্বাস দিলেন যে ওরা খুবই গুনধর এবং নিরাপদ । এমন সময় আর এক বৃদ্ধ এলেন ।

    অবশেষে আশ্রয় এবং নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা হলো । পাচিয়ে প্রায় নাক ডুবিয়ে খেলো । ও আবার খিদে সহ্য করতে পারেনা মোটেই । আচার্য জানতে চাইলেন উত্সবের কারণ কি ?

    বৃদ্ধ জানালেন , তাঁর নাম ছেন ছেং । তার ভাই এর নাম ছেন ছিং । ছেন ছিং বললেন , বাড়িতে আজ শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান ছিলো । এই গ্রামের নাম ছেন চিয়া । আকাশগামি নদির ধারে যে মন্দির আছে সেখানে থাকে এক দানব । তার নাম লিংকান । প্রতি বছর সেই মন্দিরে একটি কিশোর এবং এক কিশোরিকে উত্সর্গ করতে হয় । না হলেই সর্বনাশ । এবার উত্সর্গ পাঠানোর দায়িত্ব আমাদের । তাই বড়োই বিপদ সামনে ।

    ছেন ছিং কেঁদে ফেললো । তাদের দুই ভাই-এর দুটি মাত্র ছেলে মেয়ে । ছেলে ছেন কুয়ান পাওএর বয়স আট , মেয়ে য়ি ছেনচিনের বয়স এগারো । তারা তো মরবে , তাই তাদেরই শ্রাদ্ধ করা হচ্ছিলো । আবার কাঁদতে লাগলো ছেন ছিং । উখোং বালক ছেন কুয়ান পাওকে দেখতে চাইলো । তারপর অবিকল তার রূপ নিয়ে দুজনে নাচতে লাগলো তিড়িং তিড়িং করে । আবার নিজের রূপে ফিরে এসে সে বৃদ্ধকে বললো , আজ ছেলের রূপ নিয়ে সেই যাবে উত্সর্গ হিসেবে ।

    ছেন ছেনও তার মেয়েকে বাঁচানোর আবেদন জানালো । উখোং পাচিয়েকে সেই মেয়ের রূপ দিলো । প্রথমে পেটটা একটু মোটা হলো তার । পরে উখোং-এর মন্ত্রে সে হলো ছিপছিপে কিশোরি ।