v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-02-17 14:59:23    
১৯ ফেব্রুয়ারি

cri
    ** মহা নেতা তেং শিয়াও পিংয়ের মৃত্যু

    ১৯৯৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী চীন গণ প্রজাতন্ত্রের প্রধান নেতা, চীনের সমাজতান্ত্রীক সংস্কার ও উন্মুক্ততা এবং আধুনিকায়নের গঠনকাজের অমর স্থপতি , তেং শিয়াও পিং চিন্তাধারার প্রতিষ্ঠাতা তেং শিয়াও পিং পেইচিংয়ে মারা যান।

    ১৯০৪ সালের ২২ অগাষ্ট তেং শিয়াও পিংয়ের জন্ম হয়। তিনি হলেন চীনের সিছুয়েন প্রদেশের কুয়াংআন জেলার অধিবাসী । ৫ বছর বয়সে তিনি ইস্কুলে ভর্তি হন।প্রাথমিক ইস্কুল পাশ করার পর , তিনি কুয়াংআন জেলার মধ্যমিক ইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯১৯ সালের শরত্কালে তিনি ছুয়াংছিন খন্ডকারীণ কাজ, খন্ডকালীণ পড়াশুনার পদ্ধতিতে ফ্রান্সে পড়াশুনার জন্যে প্রস্তুতিমূলক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯২০ সালের গ্রীষ্মকালে তিনি ফ্রান্সে গিয়ে একই পদ্ধতিতে পড়াশুনা করতে শুরু করেন। ১৯২২ সালে তিনি চীনের সামাজতান্ত্রীক যুব লীগে যোগ দান করেন , ১৯২৪ সালে তিনি চীনের কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগ দান করেন ।

    তিনি " এক চীন দুই ব্যবস্থা" উত্থাপন করেন এবং চীন অবিচলিতভাবে স্বাধীন আর স্বতন্ত্র শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরন করে।এই নীতির মৌলিক লক্ষ্য হলো চীনের স্বাধীনতা,স্বার্বভৌমত্ব ও ভূভাগের অখন্ডতা রক্ষা করা, চীনের সংস্কার , উন্মুক্ততা আর আধুনিক গঠনকাজের জন্য একটি চমত্কার আন্তর্জাতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং বিশ্বশান্তি রক্ষা করা ও অভিন্ন উন্নয়ন তরান্বিত করা । এর প্রধান প্রধান বিষয় হলো :

    শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বাধীন ও স্বতন্ত্রের নীতি অনুসরণ করা, যে কোনও বড় দেশ বা দেশ-গোষ্ঠির সঙ্গে মিত্র না করা,অস্ত্রসজ্জার প্রতিযোগিতায় অংশ না নেওয়া,সামরিক সম্প্রসারন না করা ।

    আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করা, বিশ্বশান্তি রক্ষা করা ,দেশ বড় হোক ছোট হক, শক্তিশালি হোক দুর্বল হোক, গরিব হোক ধনি হোক, সবাই আন্তর্জাতিক সমাজের একই মর্যাদাপ্রাপ্ত সদস্য ।রাষ্ট্রেরাষ্ট্রে পরামর্শের মাধ্যমে শান্তিপূর্নভাবে পরস্পরের দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষ নিস্পতি করা উচিত, বলপ্রয়োগ বা বলপ্রয়োগের দ্বারা হুমুকি প্রদর্শন করা উচিত নয়,যে কোনও ওজুহাতে অন্য দেশের অভ্যতরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় ।

    সক্রিয়ভাবে ন্যায় ও যুক্তিযুক্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি আর অর্থনীতির নতুন শৃঙখলা প্রতিষ্ঠার কাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি আর অন্যান্য গণ-স্বীকৃত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মানদন্ড আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতির নতুন শৃঙখলা প্রতিষ্ঠা করার ভিত্তি হওয়া উচিত।

    পরস্পরের সার্বভৌমত্ব আর ভূভাগের অখন্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন , পারস্পরিক অনাক্রমন, পরস্পরের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা, সমতা আর পারস্পরিক উপকারিতা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতির ভিত্তিতে সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারন করতে চীন ইচ্ছুক।

    সার্বিকক্ষেত্রে বৈদেশিক উমুক্তদ্বার নীতি প্রচলন করে সমতা আর পারস্পরিক উপকারিতার নীতির ভিত্তিতে বিশ্বের সকল দেশ আর অঞ্চলের সঙ্গে ব্যাপকভাবে বানিজ্য আদানপ্রদান,অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি যোগাযোগ করবে এবং অভিন্ন সমৃদ্ধি তরান্বিত করবে ।

    সক্রিয়ভাবে বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তত্পরতা চালানো বিশ্বশান্তি আর অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষা করার দৃঢ শক্তি ।