v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-02-17 14:53:57    
১৮ ফেব্রুয়ারি

cri
    ** অন্য দেশগুলোকে সাহায্যদান সম্বন্ধে চৌ এনলাইয়ের আট দফা নীতি উত্থাপন

    চৌ এনলাই ছিলেন চীনের মহান সবর্হারা বিপ্লবী কর্মনায়ক ,রাজনীতিবিদ,সমরবিদ আর কূটনীতিবিদ, চীনা কমিউনিষ্ট পার্টির আর চীন গণ প্রজাতন্ত্রের অন্যতম প্রধান নেতা এবং চীনা গন মুক্তি ফৌজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । তিনি ছিলেন চেচিয়াং প্রদেশের শাওসিংজেলার লোক। ১৮৯৮সালের ৫ মার্চ চিয়াংসু প্রদেশের হুয়াই আন জেলায় তার জন্ম আর ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে তার মৃত্যু হয় ।

    চৌ এনলাই চীনের বহু গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি প্রনয়নে অংশ নিয়েছেন এবং তা কাযর্করী করেছেন । ১৯৫৪ সালে তিনি জেনিভা সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনটিতে ইন্দোচীন সমস্যার সমাধান করা হয়েছে, যার ফলে ভিয়েতনাম (দক্ষিণ ভিয়েতনাম ছাড়া ), লাওস ও কাম্পুচিয়া এই তিনটি দেশের স্বাধীনতা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে । তিনি চীনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র-রাষ্ট্রে সম্পর্কের মানদন্ড হিসেবে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতি উত্থাপন করেন । ১৯৫৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় আফ্রো-এশিয়ার ২৯টি দেশের বান্দোং সম্মেলনে তিনি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করা , উপনিবেশবাদের বিরোধিতা করা , ভিন্ন মত পাশে রেখে অভিন্ন মত অর্জন করা আর আলাপ-পরামর্শ করার প্রস্তাব উত্থাপন করেন । তিনি পরপর ইউরোপ, এশিয়া আর আফ্রিকার ৬জন খানেক দেশ সফর করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক নেতা আর বন্ধুদের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। এবং চীনা জনগন আর বিশ্ব জনগনের বন্ধুত্ব আরো জোরদার করেছেন ।

    ১৯৬৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি এশিয়া-আফ্রিকার ১৪টি দেশ সফরকালে চৌ এনলাই অন্য দেশগুলোকে সাহায্যদান সম্বন্ধে আটদফা নীতি উত্থাপন করেন।

    ** চীনের ইউয়ান রাজবংশের প্রথম সম্রাট হু বিলিয়ের মৃত্যু

    মঙ্গোলীয় জাতির থিয়েমুজেন ১২০৬ সালে রাষ্ট্র গঠন করেন ।১২৭১সালে হুবিলিয়ে ইউয়ান নামে রাষ্ট্রের নামকরণ করেন ।১২৭৯ সালে সুং রাজবংশ উত্খাত করার পর দাতুকে( বর্তমানের পেইচিং ) রাজধানী করা হয়।

    অতীতে মঙ্গোলীয় জাতির অধিবাসীরা মরুভুমির উত্তর দিকে থাকতেন । থিয়েমুজেন বিভিন্ন উপজাতি পরাজিত করে মঙ্গোলিয়াকে একীভূত করেন এবং মঙ্গোলিয়া রাষ্ট্র গঠন করেন ।তিনি নিজেকে চেংগিস খান বলে অভিহিত করেন । এর আগে মঙ্গোলীয় বাহিনী মধ্য এশিয়া , পুর্ব ইউরোপ ও পারস্যে আক্রমণ অভিযান চালিয়েছিল । এশিয়া ও ইউরোপ জুড়ে চেংগিস খানের সাম্রাজ্য হোলিনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে । অনতিকালে তাঁর সাম্রাজ্য কয়েকটি স্বাধীন রাষ্ট্রে বিভক্ত হয় । সেই স্বাধীন রাষ্ট্রগুলো নামে চেংগিস খানকে সম্রাট বলে স্বীকার করত।

    মঙ্গোলীয় শাসকরা নিষ্ঠুরভাবে হান জাতির জনসাধারণকে শোষন ও অত্যাচার করতেন বলে হান জাতির জনসাধারণ তীব্রভাবে মঙ্গোলীয় শাসকদের বিরোধিতা করতেন ।১৩৩৩ সালে সারা দেশে ধর্ম ও গোপন সংগঠনের যোগসুত্রে আবদ্ধ কৃষকদের অভ্যুত্থান সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে ।১৩৫১ সালে হোয়াংহো নদীর সংস্কারকাজে নিয়োজিত কৃষকদের যে মহাবিদ্রোহ ঘটে তার প্রতীক ছিল লাল রুমাল ।১৩৪১ সালে হাওচৌয়ের লাল রুমাল বাহিনীর নেতা জু ইউয়ান চাং উত্তর ও পশ্চিম চীনের উপজাতিকে তাড়িয়ে চীনাজাতির মহিমা পূনরূদ্ধারের শ্লোগান তুলে কৃষক বাহিনী নিয়ে দাতুর উপরে আক্রমন চালান এবং ইউয়ান রাজবংশকে উচ্ছেদ করে মিং রাজবংশ স্থাপন করেন ।

    হু বিলিয়ে ছিলেন ইউয়ান রাজবংশের প্রথম সম্রাট ও চেংগিস খানের নাতি। ১২৯৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।