**মহান বিজ্ঞানী গ্যালিলিও'র জন্ম
গ্যালিলিও ১৫৬৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। ১৫৮১ সালে ইতালির পিস্সা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে তিনি সাধারণ ছাত্রের মতো , শিক্ষক যা বলেন তাই বিশ্বাস করতেন না। তিনি স্বাধীন এবং স্বকীয় পদ্ধতিতে সব কিছু নিয়ে ভাল করে চিন্তা করেন এবং প্রায়ই অধ্যাপকদের কাছে অদ্ভুত ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। সবাই তাকে পাগল বা উদ্ধত ছাত্র বলে মনে করেন।
১৫৮৬ সালে তিনি "স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি (আপেক্ষিক গুরুত্ব) প্রসঙ্গে" নামক গণিতবিদ্যা বিষয়ক এক নিবন্ধ প্রকাশ করে ইতালির গণিতবিদ্যা মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ১৫৯০ সালে তিনি "গ্র্যাভিটি(মাধ্যাকর্ষণশক্তি) প্রসঙ্গে" নামক দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশ করেন। তিনি পদার্থবিদ্যা, গণিতবিদ্যা ও জ্বোতির্বিদ্যা ইত্যাদি বিষয় গবেষণায় বিরাট সাফল্য অর্জন করেন এবং ইউরোপের আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতায় পরিণত হন।
**চীনা ভাষার ধ্বনি চিহ্নের উদ্ভাবন
১৯১৩ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি চীনা ভাষার ধ্বনি চিহ্ন একীকরণ সমিতির উদ্যোগে চীনের প্রথম আইনসংগত ধ্বনি চিহ্নমালার উদ্ভাবন করা হয় ।
১৯১৮ সালে উত্তরচীন সরকারের শিক্ষামন্ত্রণালয় সারা দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধ্বনি চিহ্নমালা প্রকাশ করে । এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ২৪টি ব্যঞ্জনধ্বনি সূচক চিহ্ন এবং ১৬টি স্বরধ্বনিসূচক চিহ্ন। এগুলো আসলে প্রাচীন চীনা ভাষার কতকগুলো সবচেয়ে সরল অক্ষর ।
**বিশ্বের প্রথম কম্পিউটারের উদ্ভাবন
১৯৪৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বের প্রথম ইলেক্ট্রোনিক ডিজিটাল কম্পিউটার "এনিয়াক(ENIAC) যুক্তরাষ্ট্রে তৈরী হয়। এই কম্পিউটার মোট ১৮০০০টি ইলেক্ট্রোনিক টিউব দিয়ে গঠিত, তার ওজন ৩০ টনেরও বেশি, আকার তিনটি ক্লাসরুমের মতো বড়। এই কম্পিউটারে প্রতি সেকেণ্ডে ৫০০০টি যোগ-ধরনের অংক কষা যায়। এই সাফল্য সেই যুগের জন্য খুবই উল্লেখযোগ্য ছিল ।
**চীনা জনগণের বন্ধু মার্কিন সাংবাদিক এডগার স্নোর মৃত্যু
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ওয়েইমিং হ্রদের তীরে সবুজ পাইন ও সিপ্রাস গাছের ছায়ায় রয়েছে একটি সমাধি, যার ফলকে খোদিত আছে মার্শাল ইয়ে চিয়েনইংয়ের স্বহস্তে লিখিত " চীনা জনগণের মার্কিন বন্ধু এডগার স্নোর সমাধি" এই কথার অবিকল প্রতিরূপ। ১৯৭২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি এডগার স্নো মৃত্যু বরণ করেন ।
১৯০৫ সালের ১৯শে জুলাই এডগার স্নো যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অংগরাজ্যের ক্যানসাস শহরের এক ছাপাখানার মালিকের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯২৮ সালে তিনি চীনের সাংহাই আসেন । তিনি সাংহাইয়ের একটি পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং একইসময়ে আবার "শিকাগো ট্রিবিউন" প্রভৃতি পত্রিকার চীনস্থ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। সাংবাদিক হিসেবে তিনি চীনের বিভিন্ন স্থান সফর করে সাক্ষাত্কার নেন এবং সংবাদ ,ভাষ্য ইত্যাদি লিখে প্রকাশ করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি চীনের শান'সি প্রদেশের উত্তরাঞ্চল সফর করেন এবং মাও সেতোং ও চৌ এনলাই প্রমুখ নেতাদের সাক্ষাত্কার নেন । তিনি পরে এর ভিত্তিতে " দি রেড স্টার্স ওভার চায়না" নামে একটি বই লিখে প্রকাশ করেন । বইটির চীনা সংস্করণের শিরোনামের বাংলা অর্থ দাঁড়ায়: " পশ্চিমাঞ্চল ভ্রমণের কাহিনী"। কারণ শান'সি প্রদেশ হলো চীনের উত্তরপশ্চিমাংশের অন্তর্ভুক্ত। তিনি শান'সি প্রদেশ সফর করেই এই বই লিখেছেন। বইটিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র তথা বিশ্বের জন্য চীনের বিপ্লব ও লাল ফৌজের লংমার্চের কথা বর্ণনা করেন। ১৯৪১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান । পরে তিনি অনেকবার চীন সফর করেন এবং চীন সম্পর্কে প্রচুর বিবরণ ও বইপুস্তক লেখেন। তাতে তিনি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও বন্ধুত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে অবদান রাখেন।
|