জার্মানীর রাজধানী বার্লিনে বিপদের স্তর সাধারণ বিপদ, অস্বাভাবিক বিপদ ও গুরুতর বিপদ- এই তিনটি স্তরে বিভক্ত । ভিন্ন বিপদের জন্যে ত্রাণ তত্পরতার উপায়, এবং বিভিন্ন বিভাগের কাজের বন্টন ও শক্তি নিয়োগও আলাদা আলাদা রয়েছে ।
বার্লিন অংগরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ও শৃংখলা ব্যুরোর অধীনে গুরুতর দুর্যোগ প্রতিরোধ বিভাগ রয়েছে । তার কর্তব্য হলো গুরুতর দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং দুর্যোগ দেখা দিলে ত্রাণ ব্যবস্থার বাস্তবায়ণ করা । এই বিভাগের কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা নোবেট স্মিথ চীনের সিন হুয়া বার্তা সংস্থার সংবাদদাতাকে দেয়া একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন , যেসব সংস্থায় ও প্রতিষ্ঠানে সম্ভাব্য বিপদ থাকে , সেসব সংস্থায় ও প্রতিষ্ঠানে ভেতরের ও বাইরের দুটো জরুরীভিত্তিক অগ্রিম পরিকল্পনা থাকতে হবে ।
জরুরীভিত্তিক অগ্রিম পরিকল্পনায় অন্তর্ভূক্ত থাকবে বিপদের সংকেত আবিষ্কার , বিপদ সম্পর্কে রিপোর্ট দেয়া এবং অন্যান্য দফায় কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত ? আগুণ নিবারণের প্রবেশপথ কোথায় ? কি কি প্রস্তুতিমূলক কাজ করা উচিত ? বার্লিনে বিভিন্ন হাসপাতালেও সামগ্রিক জরুরীভিত্তিক অগ্রিম পরিকল্পনা থাকতে হবে যাতে ব্যাপকাকারে লোকজনের হতাহত হওয়ার অবস্থায় ত্রাণ ব্যবস্থা অবলম্বন করা যায় ।
বিভিন্ন ধরণের বিপর্যের মধ্যে সাধারণ বিপদের মধ্যে রয়েছে অগ্নিকান্ড, বিস্ফোরণ , বন্যা প্রভৃতি হঠাত ঘটিত ঘটনা । প্রধানত বার্লিনের পৌর পরিচালনা বিভাগ ও পুলিশ বিভাগ এসব ঘটনার প্রতিকার করে । এজন্যে তাদেরকে প্রতিনিয়তই ত্রাণের কাজে ঝাপিয়ে পড়ার জন্যে প্রস্তুত থাকতে হবে । অবশ্য ভিন্ন বিপর্যয়ের ভিন্ন অবস্থা অনুসারে আনুসংগিক অগ্রিম পরিকল্পনা থাকতে হবে ।
স্মিথ আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন , ত্রাণের সময়ে বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সর্বাদাই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে , পারস্পরিক সমন্বয় রাখতে হবে । সাধারণত অকুস্থলে একটি যুক্ত ত্রাণ সদরদফতর স্থাপন করতে হবে । ত্রাণ পরিকল্পনা অকুস্থলের সদরদফতরের ত্রাণ তত্পরতায় অংশগ্রহণকারী সকল পক্ষের সম্মতি লাভ করতে হবে । যুক্ত সদরদফতরের কর্তব্য হলো বিভিন্ন পক্ষের কর্তব্য ও দায়িত্ব স্পষ্ট করা , ত্রাণ পরিকল্পনা নির্ধারণ করা এবং সময়মত বিপদের মূল্যায়ন করা ও সমাজের কাছে তথ্য প্রকাশ করা ।
গুরুতর দুর্যোগের দরুণ বহু লোকের প্রাণহানি ঘটতে পারে অথবা পরিবেশ ও ব্যবস্থাদি অস্বাভাবিকভাবে ব্যহত হতে পারে । এমন অবস্থায় পৌর পরিচালনা বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের জনবল ও বস্তুগত শক্তি দিয়ে তার প্রতিকার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে । গুরুতর বিপদ প্রতিরোধ সংস্থার মধ্যে রয়েছে বার্লিন অংগরাজ্য কর্তৃপক্ষ এবং তার অধীনস্থ শহর ও এলাকার সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং বার্লিনের দমকল দল , পুলিশ বিভাগ ও অন্যান্য সংস্থা । বিপর্যয় খুব গুরুতর হলে বহিরাগত সমর্থন ও সাহায্যের দরকার পড়লে ফেডারেল ত্রাণ সংস্থা , ফেডারেল সীমান্তরক্ষী ব্যুরো, সেনাবাহিনী ও নিকটবর্তী অন্য অংগরাজ্যও জরুরীভিত্তিক সাহায্য দেবে ।
বার্লিন অংগরাজ্যের মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিভাগের কর্মকর্তা পার আমাদের সংবাদদাতাকে বলেছেন , গুরুতর বিপদ দেখা দিলে এই মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সংগে সংগে ত্রাণ পরিচালনা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে ।
|