উখোং একটা লোম ছিড়ে নিজের চেহারা তৈরি করলো । ওটা রেখে সে এক লাফে আকাশে উঠে চিত্কার করে পবন দেবিকে বললো , কেনো সে বাতাস দিচ্ছে ? ব্যস , বাতাস বন্ধ হয়ে গেলো ।
বাঘদানব আর এক মন্ত্র পড়তেই মেঘ এলো । উখোং তাকেও নিরস্ত করলো ।
বাঘদানব তৃতিয় মন্ত্র পড়তেই বজ্র ও বিদ্যুত এলো । উখোং তাদেরও নিরস্ত করলো ।
বাঘদানব চার নম্বর মন্ত্র পড়তেই চার সাগরের ড্রাগনরাজারা ছুটে এলো । উখোং তাদেরও বশে আনলো । সে সবাইকে বললো , যখন সে ডাক দেবে তখন যেনো সবাই সাহায্য করে তাকে ।
বাঘ দেবতা বৃষ্টি নামাতে পারলোনা । মিথ্যে করে বললো , দেবতারা বাড়ি নেই তাই তারা আমার ডাকে সাড়া দিতে পারেনি । ফলে বৃষ্টি নামানো গেলো না ।
উখোং এসে বললো , মিথ্যে কথা । সব দেবতাই বাড়িতে আছেন । সে আচার্যকে মঞ্চে দাঁড় করিয়ে তার ডান্ডা একবার তুললো । অমনি সোঁ সোঁ শব্দ বাতাস বইতে শুরু করলো । দ্বিতিয়বার ডান্ডা তুললে ছুটে এলো মেঘ । তৃতিয়বার ডান্ডা তুললে বিদ্যুত ও বাজ এসে পড়লো । চতুর্থবার ডান্ডা ঘুরালো উখোং । অমনি মুষল ধারে নামলো বৃষ্টি । বজ্র বিদ্যুত ঝড় সহ সে কি বৃষ্টি ! পথ ঘাট মাঠ জলাশয় সব উপচে পড়লো ।
একজন এসে রাজার কাছে আবেদন জানালো বৃষ্টি বন্ধকরার জন্য । রাজা আদেশ দিলেন বৃষ্টি বন্ধ করতে । উখোং পঞ্চমবার ডান্ডা ঘোরালো । অমনি সব শান্ত । আকাশে দেখা গেলো উজ্জ্বল সুর্য । রাজা উখোং-এর ক্ষমতা দেকে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন ।
উখোং বললো এবার ড্রাগনদের ডাকার প্রতিযোগিতা হোক । বাঘদানব চিত্কার করে ড্রাগনদের ডাকতে লাগলো । কেউ এলো না । সাড়াও পাওয়া গেলো না কারো ।
উখোং ডাকলো , আওকুয়াং আপনি কোথায় ? অমনি চার ড্রাগন রাজাকে দেখা গেলো আকাশে । রাজা তাঁদের প্রণাম জানালেন । উখোং তাঁদের ফিরে যেতে বললো বিনয়ের সঙ্গে ।
রাজা উখোং-এর উপর সন্তুষ্ট হয়ে আচার্যের ছাড়পত্রে সিলমোহর দিলেন । এমন সময় বাঘ দানব এসে উখোং-এর সঙ্গে উঁচু মঞ্চে অনড় অবস্থায় ধ্যান করার প্রতিযোগিতা করতে চাইলো । উখোং-এর হলো বিপদ । সে স্বর্গ মর্ত পাতাল ছোটছুটি করতে পারে , কিন্তু চুপ করে বসে থাকা তো সম্ভব নয় তার পক্ষে । ওটা তার ধাতে সয় না । যাই হোক উখোং এক বুদ্ধিবের করলো । সে আচার্যের সঙ্গে রূপ বদল করলো । অতএব আচার্য উখোং-এর রূপ নিয়ে উখোং-এর সাহায্যে উঁচু মঞ্চে বসলেন ধ্যানে ।
বহুক্ষণ কেটে গেলো । কেউ নড়ে না । উখোং লোম তুলে এক পোকা তৈরি করে বাঘদানবের নাকে ঢুকলো । কুট্টুস করে দিলো এক কামড় । বাঘ দানব ব্যথায় উল্টো পড়ে গেলো মাটতে । জয় হলো উখোং-এর ।
এবার গোপনে আলমারিতে পিচ রাখলো হরিণ দানব । উখোং ভেতরে পোকার রূপে গিয়ে পিচ খেয়ে বিচি ফেলে রাখলো । আলমারি খুলে দেখা গেলো ভেতরে পিচ নেই । আছে শুধু বিচি । এবারও তারই জয় হলো ।
আবার আরমারির মধ্যে এক তাও সন্যাসিকে বন্ধ করা হলো । সে আরমারিতে ঢুকে তার চুলকেটে হাতে কাঠের মাছ দিলো । আর তাকে পরিয়ে দিলো বৌদ্ধদের পোশাক । এবারও উখোং-এর জন্য হল ।
|