v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-02-10 13:57:33    
১২ ফেব্রুয়ারি

cri
    ** চীনের ছিং রাজবংশের রাজা সিহাসন থেকে ত্যাগ করেন বলে স্থায়ী সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার সমাপ্ত

    ১৯১২ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চীনের ছিং রাজবংশের রাজা বো ই সিহাসন থেকে ত্যাগ করেন বলে স্থায়ী সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার সমাপ্ত হয়।

    ১৮৪০ সালে আফিম যুদ্ধ বাঁধে , পরবর্তীকালে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি চীনে অনুপ্রবেশ করে ।ছিং রাজদরবার ও বিদেশী হানাদারদের মধ্যে একটির পর একটি অসম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় । তথাকথিত যুদ্ধের ক্ষতিপুরণ করতে ছিং রাজকীয় সরকারকে মোটা অংকের অর্থ দিতে হয়েছে এবং কোনো কোনো স্থানের কর্তৃত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছে ।ছিং রাজকীয় সরকার অনেক বন্দর উন্মুক্ত করতেও বাধ্য হয় । চীন ধাপে ধাপে আধা সামন্ততান্ত্রিক আধা ঔপনিবেশিক দেশে পরিণত হয় । ছিং রাজত্বকালের শেষভাগে রাজনৈতিক ব্যবস্থা কলুষিত হয়ে উঠে । রাজপরিবারের চিন্তাভাবনা জড়তাক্লিষ্ট, আত্মমর্যাদাবোধহীন দুর্বল ছিং রাজবংশ হাঁপাতে হাঁপাতে পতনোন্মুখ হতে থাকে ।জনসাধারন দুর্বিসহ দুংদুর্দশায় অতিষ্ঠ হয়ে একটির পর একটি সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদ বিরোধী আন্দোলন চালান ,যেমন থাইপিংথিয়ানগুও আন্দোলন ও নিয়ান বাহিনীর বিদ্রোহ । সর্বনাশের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য শাসক শ্রেণীর ভেতরে কতকগুলো সংস্কারও সাধিত হয় ,যেমন ,বিদেশের আধুনিক অস্ত্র কেনার পদক্ষেপ নেয়া হয় এবং চান্দ্রিক উসি বত্সরে আইন সংস্কারের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ।রাজদরবার থেকে সমাজের নীচু স্তর পর্যন্ত সংস্কার চালানোর উদ্দেশ্য ছিল চীনকে সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতার পথে নিয়ে যাওয়া । কিন্ত সংস্কার সবই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।অসংখ্যদেশপ্রেমিক দুর্যোগের কবল থেকে চীনা জাতিকে রক্ষা করার জন্য রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন । চীনের আধুনিক ইতিহাসে দেমপ্রেমের অভুতপুর্ব উত্তাল জোয়ার প্রবাহিত হতে থাকে ।১৯১১সালে সিন আই বিপ্লব ঘটে ,ছিং রাজবংশকে উচ্ছেদ করা হয় , দু সহস্রাধিকবত্সর স্থায়ী সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান ঘটায় চীনের ইতিহাস একটি নতুন যুগে প্রবেশ করে ।

    **প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষা সম্বন্ধে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংস্কার

    ১৯৭৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় " দৈনিক প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষা পরিকল্পনা প্রন্তাব" প্রকাশিত হয়।

    চীনে প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষা ছেলেমেয়েদের ছয় বছর বয়স থেকে শুরুহয় । চীনের বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারেরাষ্ট্র বয়সী ছেলেমেয়েদের বাধ্যতামূলক শিক্ষা দেয়। ছেলেমেয়েদের কোনো বেতন দিতে হয় না, কিন্তু কিছু পাঠ্যবইয়ের খরচ ও আনুষংগিক খরচ হিসেবে প্রতি বছর প্রায় কয়েক শো ইউয়ান রেনমিনপি দিতে হয়। চীনের অধিকাংশ প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষার মেয়াদ ছয় বছর। প্রধান পাঠ্যবিষয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে চীনাভাষা, গণিত, বিজ্ঞান, বিদেশীভাষা, চরিত্র, সংগীত, ক্রীড়া ইত্যাদি। সাম্পতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে চীনে মোট চার লক্ষেরও বেশি প্রাইমারী স্কুল আছে। এই সব স্কুলে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের মোট সংখ্যা বারো কোটি। সমবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে এদের অনুপাত আটানব্বই শতাংশেরও উপরে।চীনের অধিকাংশ নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার মেয়াদ তিন বছর। প্রধান পাঠ্যবিষয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে চীনা ভাষা, গণিত, বিদেশী ভাষা, পর্দাথবিদ্যা, রসায়ন, মতার্দশ ও চরিত্র, তথ্য ইত্যাদি। সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে চীনে মোট ষাট হাজারেরও বেশি নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল আছে। এই সব স্কুলে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের মোট সংখ্যা ছয় কোটি। সমবয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হওয়া ছেলেমেয়েদের অনুপাত হয়েছে নব্বই শতাংশেরও বেশী। চীনের অধিকাংশ নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সরকারী ।