আয়ারল্যান্ড পশ্চিম ইউরোপের দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড দ্বীপে অবস্থিত। পশ্চিম দিকে অটলান্টিক মহাসাগর, পূর্ব দিকে আয়ারল্যান্ড সাগর ও ব্রিটেন। উত্তরপূর্ব দিকে ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড অঞ্চল। আয়ারল্যান্ডের মোট আয়তন ৭০ হাজার ২৮২ বর্গ কিলোমিটার। জন সংখ্যা ৩৯.২ লক্ষ। আয়ারল্যান্ডের জনগণের মধ্যে ৯১.৬ শতাংশ ক্যাথলিক খ্রীষ্টান । অন্যান্য জনগণ প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রীস্টান ।
আয়ারল্যান্ড একটি সুন্দর দেশ, পরিবেশ চমত্কার। তাই আয়ারল্যান্ড অটলান্টিক মহাসাগরের একটি পান্না বলেও সুপরিচিত। তার রাজধানী ডাবলিনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ডাবলিন একটি সরল ও মনোহর শহর। ওখানে অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিক আছেন।
আগে আয়ারল্যান্ড কৃষি ও পশুপালন- প্রধান দেশ ছিল। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে আয়ারল্যান্ড বৈদেশিক মুক্তদ্বার নীতি প্রবর্তন করেছে। ষাট দশকে তার অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন অর্জিত হয়েছে। গত শতাব্দীর আশি দশক থেকে আয়ারল্যান্ড নতুন উচ্চ প্রযুক্তির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে। এর সঙ্গে সঙ্গে তার পুঁজি বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ বিদেশের প্রচুর পুঁজি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে, ফলে আয়ারল্যান্ডের কৃষি ও পশুপালন-প্রধান অর্থনীতি ধাপে ধাপে মেধাশক্তি প্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ১৯৯৫ সাল থেকে আয়ারল্যান্ডের জাতীয় অর্থনীতি অব্যাহতভাবে দ্রুত উন্নতি লাভ করেছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে আয়ার্যান্ড অর্থনীতি উন্নয়নের সবচেয়ে দ্রুত দেশে পরিণত হয়েছে। তাই আয়ারল্যান্ড "ইউরোপের ছোট বাঘ" নাম পেয়েছে।
১৯৭৯ সালের ২২ জুন চীন ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করেন। ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর চীনের প্রধানমন্ত্রী চু রোং চি আয়ারল্যান্ডের আমন্ত্রণে আয়ারল্যান্ড সফর করেন। ২০০৩ সালের অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট চীন সফর করেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশ আর্থ-বাণিজ্য, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রের সহযোগিতা সম্পর্ক ব্যাপক উন্নয়ন অর্জন করেছে। ২০০২ সালে দু'পক্ষের মোট বাণিজ্যের মূল্য ১.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়। ২০০৩ সালে দু'পক্ষের বাণিজ্যের মোট মূল্য ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
|