v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-02-07 15:08:31    
বানর রাজা সুন উখোং (২৯)

cri
    শুনেই উখোং-এর মাথা গরম হলো । কিন্তু সে তা প্রকাশ করলো না । তাও দুজনকে বললো , তার এক কাকা পর্যটনে বেরিয়েছিলেন । সে এদের দলে আছে কিনা তা খুঁজতে চায় উখোং ।

    উখোং বৌদ্ধ সন্যাসিদের দলে তার কাকাকে খোঁজার ছল করে কথাবার্তা বললো । সে জানতে পারলো যে দু হাজার শ্রমনের মধ্যে দেড়হাজার শ্রমন কষ্টে মারা গেছে । আর ওরা অনেক চেষ্টা করেও মরতে পারছে না । স্বপ্নে মহাজ্ঞানি সুন উখোং তাদের বাঁচার কথা বলেন । ওদের সঙ্গে কথা বলার পর উখোং তাও দুজনকে বললো , বৌদ্ধ সন্যাসিরা সবাই তার আত্মিয় । ওদের ছেড়ে দিতে হবে । তাও দুজন রাজি হলো না । উখোং তখন রাগ সামলাতে পারলো না । ডান্ডার আঘাতে তাদের মেরে ফেললো ।

    বৌদ্ধ শ্রমনরা ওতে খুব ভয় পেলো । তখন সুন উখোং নিজের রুপে ফিরে এসে সকলকে অভয় দিলো । ওদিকে উখোং-এর দেরি দেখে আচার্য শহরের দিকে এগোলেন । শহরের প্রাচির দরজার সামনেই দেখতে পেলেন উখোং ও বৌদ্ধ সন্যাসিদের । উখোং-এর কাছে সব ঘটনা শুনে আচার্য আতঙ্কিত হলেন । বৌদ্ধ সন্যাসিরা আচার্যদের চি ইউয়ান মন্দিরে আশ্রয় নিতে বললো ।

    সন্ধ্যায় গানের আওয়াজ শুনে উখোং আকাশে উঠে দেখলো তাও সন্যাসিরা মন্দিরের পাশে মন্ত্র পড়ছে । পাশেই প্রচুর খাওয়ার আয়োজন । উখোং মন্ত্র পড়ে ঝড় বৃষ্টি আনলো । হঠাত্ এরকম আবহাওয়া দেখে সবাই ভয়ে পালিয়ে গেলো । এই সুযোগে বেদির উপর থেকে তিনটা মুর্তি সরিয়ে ফেললো উখোং । তারপর গোগ্রাসে খেতে লাগলো তারা ।

    পলাতক তাও সন্যাসিরা ফিরে এসে দেখলো মন্দিরে ফলের খোসা আর বিচি পড়ে আছে । খাবার দাবার কিছুই নেই । আর বেদির তিনটি ভিন্ন চেহারার মুর্তি । যা তারা আগে দেখেনি । আসলে ওরা হলো উখোং , পাচিয়ে আর ভিক্ষু শা ।

    তিন তাও সন্যাসি প্রণাম করে দেবতাদের কাছ থেকে পরমায়ু বটিকা চাইলো । উখোং বড়ো পাত্র আনতে বললো তাদেরকে । তারা বড়ো গামলা হাড়ি ও বোতল এনে হাজির করলো । উখোং বাইরে অপেক্ষা করতে বললো তাদের । ওরা চলে গেলো বাইরে । উখোং পাচিয়ে আর ভিক্ষু শা তখন প্রস্রাব করে পাত্রগুলো ভরলো । তাওরা সবাই সেগুলো অমৃত মনে করে খেয়ে ফেললো । এবার উখোং তার পরিচয় দিয়ে মুহূর্তে দুই গুরুভাইকে নিয়ে মিলিয়ে গেলো শুন্যে । তাও গুরু তিন জন তখন ঘটনা বুঝতে পেরে গর্জাতে লাগলো রাগে ।

    পরদিন আচার্য গেলেন রাজসভায় তাঁর ছাড়পত্র নিয়ে । সঙ্গে তিন জন শিষ্যকে নিলেন । ওদেরকে বৌদ্ধ জেনে তাও রাজা সকলকে বন্দি করতে বললেন ।

    এমন সময় তিন রাজগুরু এলো রাজার কাছে নালিশ জানাতে । তারা উখোংদের দেখেই চিনতে পারলো ।

    অন্যদিকে এলো কয়েকজন কৃষক । তাদের প্রার্থনা , বৃষ্টি নামানো হোক । ক্ষেত শুকিয়ে খাঁ খাঁ । কোনো ফসল নেই মাঠে । তাদের অনুরোধ রাজগুরুরা যেনো বৃষ্টি নামানোর জন্য মন্ত্র পড়েন ।

    রাজা বললেন , তাও আর বৌদ্ধ সন্যাসিদের মধ্যে বৃষ্টি নামানোর প্রতিযোগিতা হবে । উখোং সঙ্গে সঙ্গে বললো , সে এই প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি ।

    উঁচু এক মঞ্চ তৈরি হলো । গুরুরূপি বাঘ দানব মঞ্চে উঠে মন্ত্র পড়লো । তখন বাতাস বইতে শুরু করলো জোরে ।