** নয়া চীনের আধুনিক বস্ত্র শিল্পের প্রধান স্থপতি ছিয়েন চি কুয়াংয়ের মৃত্যু
১৯৯৪ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী নয়া চীনের আধুনিক বস্ত্র শিল্পের প্রধান সৃপতি ছিয়েন চি কুয়াং পেইচিংয়ে মারা যান , মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়ছিলো ৯৪ বছর।
ছিয়েন চি কুয়াং ছিলেন চে চিয়াং প্রদেশের জু চি জেলার অধিবাসী । মহা বিপ্লেবের প্রথমকালে চাং ছিউ রেন ও সিয়ূন চুং হুয়ার চীনের চে চিয়াংয়ের কমিউসিষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাহায্যে তিনি সক্রিয়ভাবে বিপ্লব কাজকর্মে অংশ নেন । ১৯২৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি চীনের কমিউনিষ্ট পার্টিতে যোগ দেন । সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আর গঠনকাজে তিনি নিরলস প্রয়াস চালিয়ে চীনের সর্বযারা বিপ্লবী ব্রতে তাঁর জীব ন দান করেছেন ।
মুক্তি যুদ্ধের সময়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আদেশক্রমে তিনি হংকং গিয়ে অর্থনৈতিক কাজকর্ম করেন এবং হুয়া রুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন । এসময়ের মধ্যে তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে গোপনভাবে পর্যায়ক্রমে লি চি সেন , সেন চিউন রু , হুয়াং ইয়ান পেই, কুও মোও রুও প্রমূখ বিখ্যাত দেশপ্রেমিকদের চীনের মুক্ত অঞ্চলে পাঠানোর ব্যাপারে সাহায্য করেন ,যাতে তাঁরা চীনের কমিউনিষ্ট পার্টি নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক পরামর্শ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিতে পারেন।
ছিয়েন চি কুয়াং ছিলেন চীনের কমিউনিষ্ট পার্টির ৮ম , ৯ম ,১০ম , একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি এবং ত্রয়োদশ আর চর্তুদশ জাতীয় কংগ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি । তাছাড়া তিনি দ্বিতীয় ও তৃতীয় জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রতিনিধিও ছিলেন।
**চীনের প্রথম ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত
১৯০৫ সালে চীনের প্রথম ব্যাংক তা ছিং ব্যাংক হলো পেইচিংয়ে খেলা হয় । ইতিহাসে তাকে " হু বু ব্যাংক" বলা হয়। ১৯০৮ সালে এই ব্যাংক আবার " তা ছিং ব্যাংকে " পরিনত হয়। তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাণিজ্য ব্যাংকের দ্বিমুখী ভূমিকা পালন করতে পারে।
১৮৪০ সালে আফিম যুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে চীনে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অনুপ্রবেশের পর চীনের তত্কালীন ছিং রাজদরবার বিদেশী হানাদারদের সঙ্গে একটির পর একটি অসম চুক্তি স্বাক্ষর করে । চু ক্তিগুলো অনুসারে ছিং রাজকীয় সরকারকে যুদ্ধের ক্ষতিপুরণ হিসেবে মোটা অংকের অর্থ দিতে হয়েছে এবং কোনো কোনো স্থানের কর্তৃত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছে ।ছিং রাজকীয় সরকার অনেক বন্দর উন্মুক্ত করতেও বাধ্য হয় । চীন ধাপে ধাপে আধা সামন্ততান্ত্রিক আধা ঔপনিবেশিক দেশে পরিণত হয় । ছিং রাজত্বকালের শেষভাগে রাজনৈতিক ব্যবস্থা কলুষ্যিত এবং চিন্তাভাবনা জড়তাক্লিষ্ট হয়ে উঠে। আত্মমর্যাদাবীহীন দুর্বল ছিং রাজবংশ হাঁপাতে হাঁপাতে পতনোন্মুখ হতে থাকে ।জনসাধারন দুর্বিসহ দুংদুর্দশায় অতিষ্ঠ হয়ে একটির পর একটি সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদ বিরোধী আন্দোলন চালান । যেমন থাইপিংথিয়ানগুও আন্দোলন ও নিয়ান বাহিনীর বিদ্রোহ । ১৯১১ সালে সিন আই বিপ্লব ঘটে এবং ছিং রাজবংশের উচ্ছেদ হয় । তখন থেকে দু সহস্রাধিক বত্সর স্থায়ী চীনের সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসা ন ঘটে এবং চীনের ইতিহাস একটি নতুন যুগে প্রবেশ করে ।
১৯১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শাংহাইয়ে ছিং রাজবংশের সরকারের আর্থিক সংস্থা --- তা ছিং ব্যাংক অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সে ইয়াত সান জুংশান ও অর্থ মন্ত্রী ছেন চিনথাওয়ের অনুমোদন ক্রমে প্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের আর্থিক সংস্থায় পরিনত হয় এবং তার নাম করণ হয় চীনা ব্যাংক।৫ ফেব্রুয়ারি এই ব্যাংকের কাজ শুরু হয়।
|