চীন, ফ্রান্স, জার্মানী, রাশিয়া, বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং ই ইউ'র কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক কমিশনার ৩০ জানুয়ারী লন্ডনে ইরানের পরমাণু সমস্যা নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলাপ-পরামর্শ করেছেন। তাঁরা কূটনৈতিক উপায়ে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের জন্যে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালাবেন।
বৈঠকের পর জ্যাক স্ট্র বলেছেন, সম্মেলনে যোগদানকারী বিভিন্ন পক্ষ ইরানের পরমাণু পরিকল্পনার উপর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ইরানের উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক আণবিকশক্তি সংস্থার তত্ত্বাবধানে সার্বিকভাবে গবেষণা তত্পরতাসহ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সঙ্গে জড়িত তত্পরতা স্থগিত রাখার আহবান জানিয়েছে।
চীনের প্রতিনিধি দল সূত্রে জানা গেছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি চাওশিং আলাপ -পরামর্শে জোর দিয়ে বলেছেন, সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা ত্যাগ করা উচিত নয়। তিনি আশা করেন, বিভিন্ন পক্ষ ধৈর্ষ ও সহিষ্ণুতা বজায় রেখে পারস্পরিক আস্থা জোরদার করবে এবং দ্বন্দ্ব গভীরতর করার ব্যবস্থা এড়াবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কনডোলিত্জা রাইস বৈঠকের পর বলেছেন, কূটনৈতিক উপায়ে এই সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা আছে। ইরানের পরমাণু সমস্যা নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া হলেও কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অবসান হবে না।
একইদিন ই ইউ'র পক্ষ থেকে বৃটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানী এ তিনটি দেশের কর্মকর্তারা ইরানী কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্রাসেলসে বৈঠক করেছেন। ইরান মনে করে, এবারকার আলাপ-পরামর্শ খুব সক্রিয়। কিন্তু তিনটি দেশ বলেছে, আলাপ-পরামর্শে কোনো বাস্তব অগ্রগতি অর্জিত হয় নি।
|