v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-01-27 17:13:28    
২৮ জানুয়ারি

cri
    ** চীনের প্রথম আন্তর্জাতিক স্থল অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপন

    ১৯৯৭ সালের ২৮শে জানুয়ারী দীর্ঘ কাল ধরে বেইজিং আর মস্কোর মাধ্যমে উত্তর চীনের হার্বিন শহর এবং রাশিয়ার দূর-প্রাচ্য শহর হাবারোভস্কের মধ্যকার টেলিযোগাযোগ হওয়ার ইতিহাসের অবসান হয়েছে। অপটিকাল ফাইবার ক্যাবলের দ্বারা চীন ও রাশিয়ার মধ্যে অপটিকাল ফাইবার ক্যাবল চালু হওয়ার টেলিভিশন চিত্র সরাসরি প্রতিপক্ষকে পৌছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এতে প্রতিপন্ন হয়েছে যে, চীনের প্রথম আন্তর্জাতিক স্থল অপটিকাল ফাইবার ক্যাবল আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে।

  চীন ও রাশিয়ার অপটিকাল ফাইবার ক্যাবল হাবির্ন থেকে ফু ইউয়ান পার হয়ে চীন ও রাশিয়ার সীমান্তের উসুরি নদী অতিক্রম করে রাশিয়ার হাবারোভস্কে পৌঁছায়। মোট দৈর্ঘ্য ৯৭০ কিলোমিটার, এর মধ্যে চীনের অভ্যন্তরের দৈর্ঘ্য ৮২০ কিলোমিটার। এই ক্যাবলটি নিজ নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা দিয়ে বেইজিং আর মস্কোর সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং আন্তর্জাতিক অপটিকাল ফাইবার ক্যাবলের এক অংশ হিসেবে বিশ্বের অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপটিকাল ফাইবার ক্যাবলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

চীন ও রাশিয়ার অপটিকাল ফাইবার ক্যাবলের নির্মাণ এবং চালু করাটা দু'দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান ত্বরান্বিত করবে এবং চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার বিপুল মাত্রায় উন্নতি করবে।

    ** জাতিসংঘ ২ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার দিয়ে জাতিসংঘ সদর দফতর নির্মাণের সিদ্ধান্ত

    ১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান্ফ্রান্সিস্কোতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সংস্থার অধিবেশনে মিলিত হন। ২৫ জুন অধিবেশনে " জাতিসংঘ সনদ " গৃহিত হয়। ২৬ জুন চীন,ফ্রান্স , সোভিয়েত্ ইউনিয়ন, বৃটেন , যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যান্য স্বাক্ষরদানকারী দেশ দাখিল করে অনুমোদিত হওয়ার পর সনদটি কাযকর হয় এবং জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

    ১৯৪৯ সালের ২৮ জানুয়ারি জাতিসংঘের মহাসচিব টিরিকভে লাই কাচ, এলুমিনিয়াম ও মার্বেল দিয়ে ৩৯ স্তরের উচ্চু ভবন নির্মাণের একটি প্রটোকল অনুমোদন করেন।

    জাতিসংঘের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক শান্তি আর স্থিতিশীলতা রক্ষা করা , বিভিন্ন দেশের জনগণের সমান অধিকার আর আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্বপূর্ণ-সম্পর্ক সম্প্রসারন করা , আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক আর মানবতাবাদী সমস্যা সমাধান করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চালানো এবং গোটা মানবজাতির মানবাধিকার আর মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ত্বরান্বিত করা । ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সংখ্যা ১৯১টিতে দাঁড়িয়েছিল । এর মধ্যে ৪৯টি হলো প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাষ্ট্র। জাতিসংঘের সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রাখা হয়। সুইজারল্যান্ডের জেনিভা, অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা, কেনিয়ার নাইরোবি আর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এর শাখা স্থাপন করা হয়।