v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-01-26 17:15:50    
২৭ জানুয়ারী

cri
    ** চীন -ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন

    ফ্রান্সের পুর্ণ নাম ফ্রান্স প্রজাতন্ত্র। ইউরোপের পশ্চিমাংশে য্রান্স অবস্থিত। এর আয়তন ৫ লক্ষ ৫১ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার। ২০০৪ সালের ১লা জানুয়ারী পর্যন্ত ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যা ৬ কোটি ২০ লক্ষে পৌঁছেছে। ফরাসী জাতি মোট জনসংখ্যার তুলনায় প্রায় ৯০ শতাংশ। শতকরা ৭৯ ভাগের অধিবাসী ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী।রাজধানী প্যারিস।

    ফ্রান্স হচ্ছে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর অন্যতম। কৃষি এবং শিল্প উভয়ই উন্নত। প্রধানতঃ শক্তিসম্পদ এবং শিল্প কাঁচামাল আমদানি করে।

     প্রধান রপ্তানী দ্রব্য হচ্ছে যন্ত্রপাতি, মোটর গাড়ি, রাসায়নিক দ্রব্য, ইস্পাত, কৃষিজাত দ্রব্য, খাদ্য, গোলাবারুদ , সৌন্দর্যবর্ধক দ্রব্য ইত্যাদি।

 

     পঞ্চম শতাব্দীতে ফ্রান্ক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৭৮৯ সালে বুর্জোয়া বিপ্লব ঘটে । এর পর যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালের পর যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৬৪ সালের ২৭ জানুয়ারী চীনের সঙ্গে ফ্রান্সের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ** সুং ছিয়েং লিংয়ের জন্ম

    ১৮৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারী চীনের শাংহাই শহরে সুং ছিয়েং লিংয়ের জন্ম হয়। তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ , সমাজিক কর্মনায়ক এবং চীনের প্রধান শীর্ষনেতাদের অন্যতম । ১৯১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি নারীবিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক হন । ১৯১৫ সালে তিনি সুন চুং সানের সঙ্গে বিয়ে করেন । ১৯২৫ সালে সুন চুং সান মৃত্যু হবার পর , তিনি অব্যাহতভাবে রাশিয়া ও কমিউনিষ্ট পার্টির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং শ্রমিক আর কৃষকদের সাহায্য করার নীতিতে অবিচল থাকেন । ১৯২৭ আর ১৯২৯ সালে তিনি আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী লীগের অনারারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং বিশ্বের ফ্যাসিবাদ বিরোধী কমিটির প্রধান নেতাদের অন্যতম হলেন । ১৯৩১ সালে তিনি স্বদেশে ফিরে আসার পর সমাজ-কল্যানের কাজ করেন ,জাপানী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ও দেশ মুক্ত করার তত্পরতায় প্রতিরোধ অংশ নেন ,এবং জাপানের সঙ্গে আপোস করা এবং স্বদেশে জনগণের বিরুদ্ধে অত্যাচার করার নীতি অনুসরণের জন্যে কুওমিন্টাং পার্টির নিন্দা করেন। ১৯৩২ সালের শেষ দিকে তিনি "চীনের গণতান্ত্রিক অধিকারের নিষ্চয়তা বিধান লীগ " প্রতিষ্ঠা করে গণতান্ত্রিক অধিকার লাভের সংগ্রামে বিপ্লবীদের উদ্ধাব করেন । ১৯৩৩ সালে তিনি দূর প্রাচ্য সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আর যুদ্ধ বিরোধী লীগের চীনা শাখার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চীনের জাপানী আগ্রাসনের প্রতিরোধ যুদ্ধ ঘটার পর , তিনি হংকংয়ে " চীন রক্ষা লীগ "প্রতিষ্ঠা করে অনেক ওষুধ আর সরঞ্জান সংগ্রহ করে চীনা জনগণের জাপানী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে সাহায্য করেন ।

    ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চীনের জাপানী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ জয় হবার পর ,তিনি মার্কিন জনগণের কাছে চিয়াং কাই শেকের বাধানো গৃহ মার্কিন সরকারের সমর্থন রোধ করার আহবান জানান। একই সময়ে ,তিনি "চীনের কল্যান তহবিল "প্রতিষ্ঠা করে নারী আর শিশুদের কল্যান সংক্রান্ত কাজ করেন । নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর তিনি চীনের কেন্দ্রীয় গণ সরকারের ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন , তার পর যথাক্রমে চীনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট , জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্টেন্ডিং কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান, নিখিল চীন নারী ফেডারেশনের অনারারী চেয়ারম্যান আর চীন জনগণের শিশু রক্ষা জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন।