১৫৯৭ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় বীর ছি চিকুয়াং-এর মৃত্যু
চীনের মিং রাজবংশের চিয়াচিং আমলে( অর্থাত্ ১৫২২-১৫৬৬ সাল) জাপানী জলদস্যুরা বারংবার চীনের দক্ষিণপূর্ব উপকূলীয় এলাকার ওপর হামলা চালিয়ে লুটপাট করতো। চীনা সেনাপতি ছি চিকুয়াং-এর নেতৃত্বে চীনের স্থানীয় জনগণ বীরত্বের সঙ্গে জাপানী জলদস্যুদের আক্রমণ প্রতিরোধ করেছেন।
সেনাপতি ও সমরবিদ ছি চিকুয়াং ছিলেন শানতোং প্রদেশের লাই-উ জেলার অধিবাসী। ১৫২৮ সালের ১২ই নভেম্বর এক সেনাপতির পরিবারে তাঁর জন্ম। ছোটবেলা থেকেই তিনি সমরবিদ্যা চর্চা শুরু করেন এবং বীর সেনা হবার জন্য সংকল্পবদ্ধ হন। সেনাপতি নির্বাচনের রাজকীয় পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। ছি চিকুয়াং একজন বীর সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধে অমর কীর্তি স্থাপন করেছেন, একই সময়ে তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট অস্ত্র আবিষ্কারক ও বিশেষজ্ঞ। তিনি অনেক অস্ত্র আবিষ্কার করেছেন। ১৫৮০ সালে তিনি স্থল মাইন আবিষ্কার করেছেন, এটা ইউরোপীয়দের মাইন আবিষ্কারের প্রায় ৩ শো বছর আগে ।
তিনি যুদ্ধফ্রণ্টে ৩০ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন, এর মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ সময় জাপানী জলদস্যুদলের বিরুদ্ধে যুদ্ধফ্রণ্টে কাটিয়েছেন। তিনি ১৫৮৭ সালের ২৫ জানুয়ারি মৃত্যু বরণ করেন।
১৯৪৯ সালের ২৫ জানুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ৫টি পূর্ব-ইউরোপীয় দেশ নিয়ে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সাহায্য কমিটি গঠিত হয়
১৯৪৯ সালের ২৫ জানুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ৫টি পূর্ব-ইউরোপীয় দেশ নিয়ে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সাহায্য কমিটি গঠিত হয়। সেই দিন সোভিয়েত ইউনিয়ন , বুলগেরিয়া, হাংগেরি , পোল্যাণ্ড, রোমানিয়া আর চেকোস্লোভাকিয়া এই ছটি দেশের প্রতিনিধিরা মস্কোয় একটি সম্মেলণে মিলিত হন এবং পারস্পরিক অর্থনৈতিক সাহায্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই কমিটির সদরদফতর মস্কোয় স্থাপিত হয়। পরে তত্কালীন পূর্ব জার্মানি , মঙ্গোলিয়া, কিউবা এবং ভিয়েতনামও পর্যায়ক্রমে এই কমিটিতে যোগ দেয়। পারস্পরিক অর্থনৈতিক সাহায্য কমিটির উদ্দশ্য সমতা আর পারস্পরিক উপকারিতার ভিত্তিতে পরস্পরকে অর্থনৈতিক সাহায্য করা, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা চালানো এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করা । ১৯৮৯ সালে পূর্ব ইউরোপের রাজনৈতিক অবস্থার তীব্র পরিবর্তন ঘটার ফলে পারস্পরিক অর্থনৈতিক সাহায্য কমিটি ভেঙ্গে যায়।
১৯৭৪ সালের ২৫শে জানুয়ারী সর্বহারাশ্রেণীর বিপ্লবী ওয়াং চিয়া শিয়াং -এর মৃত্যু
১৯৭৪ সালের ২৫শে জানুয়ারী ওয়াং চিয়া শিয়াং পেইচিংয়ে পরলোকগমন করেন । মৃত্যুর সময়ে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর । ওয়াং চিয়া শিয়াং ১৯০৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। চীনের আনহুই প্রদেশের জিং জেলার এই মহান ব্যক্তি, চীনের সর্বহারাশ্রেণীর বিপ্লবী ছিলেন। ১৯২৮ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন। জুন ঈ অধিবেশনে তিনি দৃঢ়ভাবে মাও সেতোংকে সমর্থন করেন। অধিবেশনের পর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির তিন জন নির্দেশক গ্রুপের সদস্য হন। নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হবার পর তিনি সোভিয়েট ইউনিয়নে চীনের প্রথম রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। এর পর তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সম্পাদক প্রভৃতি পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি চীনের পার্টি, বাহিনী এবং কূটনীতির জন্য গুরুত্বপুর্ণ অবদান রেখেছেন।
১৯৮৩ সালের ২৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও নেদারল্যাণ্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরী জ্বোতির্বিদ্যা উপগ্রহ উতক্ষেপণ
১৯৮৩ সালের ২৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও নেদারল্যাণ্ডের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের যৌথ উদ্যোগে গবেষণা চালানো ও ডিজাইন করার ফলে তৈরী ইন্ফ্রা-রেড জ্বোতির্বিদ্যা উপগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের রকেট যোগে ফান্ডেনবার্গ বিমানঘাঁটি থেকে উতক্ষেপণ করা হয়, তা ৯০০ কিলোমিটার উঁচু মহাকাশের সূর্যসমলয় কক্ষপথে স্থাপিত হয়।
মহাকাশে এই উপগ্রহ আবিষ্কার করেছে যে, মঙ্গলগ্রহ ও বৃহস্পতি(জুপিটার) গ্রহের কক্ষপথের মাঝে বিদ্যমান রয়েছে তিনটি অতিক্ষুদ্র ধূলিকণার বলয় (পার্টিকলস বলয়), গ্রহসমূহের মধ্যকার মহাকাশে ভাসমান থাকা ধূলিকণার পাতলা মেঘ এবং ৫টি নতুন ধুমকেতু । আরও আবিষ্কার করেছে যে, ছায়াপথের কেন্দ্র দেখতে গ্যাস ও ধূলোর মতো ।
|