ড্রাগন আর দুই শিষ্য ছুটে গেলো উখোং-কে বাঁচাতে । অজ্ঞান উখোং-এর জ্ঞান ফিরে এলো কিছুক্ষণের মধ্যেই । ড্রাগন রাজারা উখোংকে বললো আমাদের সামর্থ শেষ । আমরা আগুন এভাতে পারলাম না । এবার তোমাকে দেবি কুয়ানইন-এর সাহায্য নিতে হবে ।
উখোং অসুস্থ থাকায় পাচিয়ে দেবি কুয়ানইনের কাছে গেলো । আকাশ পথে লাল কুমার দানবটা দেবি কুয়ানইনের রূপ নিয়ে বসে ছিল আগে থেকেই । পাচিয়ে তাকে প্রণাম করে তাদের বিপদের কাথা বললো ।
নকল দেবি বললো সে দানবকে বলবে আচার্যকে ফিরিয়ে দিতে । তারা গুহায় ফিরে এলো । সঙ্গে সঙ্গে খুদে দানবরা পাচিয়েকে বস্তায় পুরে বেঁধে রাখলো । লাল কুমার দানব জানালো তিন দিন পর তাকেও খাওয়া হবে ।
হঠাত্ দুর্গন্ধ পেয়ে উখোং বুঝলো পাচিয়ের কোনো বিপদ হয়েছে । সে শারিরিক কষ্ট সহ্য করে গুহার কাছে এলো । আবার যুদ্ধ হলে অসুস্থ উখোং পারবেনা । জেনে সে এক থলেতে রুপান্তরিত হলো । দানব সেটার মূল্য দিলোনা । এক খুদে দানব থলেটাকে গুহার কোনে ফেলে দিলো । ওখান থেকে উখোং মাছি হয়ে খুঁজতে গেলো পাচিয়েকে ।
এরি মধ্যে দানব ছয়টা খুদে দানবকে বললো , তার বাবা গরু দানবকে নিয়ে আসতে । একসঙ্গে তারা আচার্যের মাংস খাবে । মাছিরুপি উখোং সে কথা শুনে গুহার বাইরে গিয়ে গরু দানবের রূপ নিলো । তারপর গায়ের কয়েকটা লোম তুলে উখোং তৈরি করলো কয়েকটা ছোটো দানব । দানবেরা হাতে ধনুক নিয়ে শিকারের ভান করতে লাগলো ।
লাল দানবের লোকজন গরুদানবকে দেখে বললো , দাদা মশায় , গুরু আমাদের পাঠিয়েছেন আপনাকে নেয়ার জন্য । গুরু সয়ান চুয়ানের মাংস খাবেন । সেই ভোজে আপনাকে অং শ নিতে হবে ।
তারা গুহায় এলে হুং হায়া নকল গরু দানবকে ভক্তির সঙ্গে প্রণাম করলো । সুয়ান চুয়ানকে ধরা এবং তার মাংস খাওয়ার কথা বিস্তারিত জানালো সে ।
গরুদানব বললো , আমার বয়স হয়েছে তাই কদিন থেকে নিরামিস খাচ্ছি । ভাবছি কদিন পর থেকে আবার মাংস খাবো । একথায় লাল দানবের সন্দেহ হলো ।সে জানে তার বাবা মাংস ছাড়া কিছু খায় না । তাহলে একি তার বাবা নয় ?
প রিক্ষা করার জন্য লাল দানব গরু দানবকে তার জন্ম তারিখ জিজ্ঝাসা করলো । নকল গরু দানব বললো যে বুড়ো হওয়ার জন্য কোনো কথা তার মনে থাকে না । তাই সে তার জন্মতারিখ বলতে পারলোনা । তখন দানব নিশ্চিত হলো যে এটা তার বাবা নয় । সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হলো লড়াই । উখোং গুহার বাইরে এসে এক ডিগবাজি খেয়ে গেলো দক্ষিণ সাগরে । সেখানে দেবি কুয়ানইনকে সব বিপদের কথা জানালো । লাল দানব যে দেবির রূপ নিয়ে পাচিয়েকে ঠকিয়েছে , তাও বললো । উখোং দেবির সাহায্য প্রার্থনা করলো সবিনয়ে ।
দেবি রেগে বললেন , আমার রুপ নিয়ে দানব পাচিয়েকে ঠকিয়েছে । এতো স্পর্ধা তার ! দেবি তার হাতের বোতল ছুড়ে ফেললেন । সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উথলে উঠলো এক বিশাল সাগর । আর সেখান থেকে এক কাছিম উঠে এলো । দেখা গেলো তার পিঠে সেই বোতল । দেবি বললেন এই বোতলে আছে পাঁটি হ্রদ আর চারটা সাগরের পানি । তবে এই পানি সাধারণ পানি নয় । এহলো অমৃত । এই অমৃত দিয়ে দানবের আগুন নেভানো যাবে । দেবি পদ্মফুলের উপর বসে চললেন দানব দমন করতে । উখোং মেঘে চড়ে যেতে লাগলো দেবির পিছে পিছে ।
|