v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-01-23 16:38:00    
সাইন্স ম্যাগাজিনে ২০০৫ সালের দশটি শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি

cri
    ১. বিবর্ধনের ক্ষেত্রের গবেষণা। ডার্ভিনের বিবর্ধন তত্ব প্রকাশিত হওয়ার পর দেড় শ'বছর পার হয়ে গেছে। তবুও বৈজ্ঞানিকরা এখনো জীবের বিবর্ধনের নতুন খুঁটিনাটি বিষয় আবিষ্কার করতে পারেন। তাতে প্রমাণিত হয় যে, এখনো বিবর্ধনের গবের্ষণার বাস্তব তাত্পর্য আছে।

    ২. উপগ্রহের ক্ষেত্রের অগ্রগতি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পৃথক পৃথকভাবে চাঁদ, বুধগ্রহ, শুক্রগ্রহ, মঙ্গলগ্রহ, ধূমকেতু, উপ-গ্রহ ও শনিগ্রহকে লক্ষ্য করে নভোযান উতক্ষেপন করেছে। মানব জাতির উতক্ষেপিত নভোযান সৌরজগতের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে লক্ষনীয় অগ্রগতি হলো এই যে, নাসার উতক্ষেপিত হুইগেনস নামক ইক্সপ্লোরির শনিগ্রহের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ ছয় নম্বর উপগ্রহে অবতরণ করেছে।

    ৩.বৃক্ষ সম্পর্কিতগবেষণা ক্ষেত্রের সাফল্য। বৈজ্ঞানিকরা গাছপালার ভেতরের ফুল ফুটা, মৌসুমোচিত বিকাশের সঙ্গে জড়িত চাবিকাঠি স্থানীয় উপাদান আবিষ্কার করেছেন।

    ৪. নিউট্রন গ্রহের সংঘাতের পর্যবেক্ষণ। বৈজ্ঞানিকরা আবিষ্কার করেছেন, মিল্কি ওয়েই ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি সংক্ষিপ্ত তবে প্রবল রেডিয়েট ইমপালস ঘটেছে। তা খুব সম্ভবত গামা রশ্মির এক বিস্ফোরণ। এই ঘটনা দুটি পুরনো নিউট্রন গ্রহ বা একটি নিউট্রন গ্রহ ও একটি কৃষ্ণ-বিবরের মধ্যে এক দ্রুত সংঘাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ৫. রোগের সঙ্গে মস্তিষ্কের জড়িত। সার্কিটের সংযোগের আবিষ্কার। বৈজ্ঞানিকরা আবিষ্কার করেছেন ভ্রূণের বিকাশের সময়ে মস্তিষ্কের স্নায়ুর সার্কিটের ভুল সংযোগের দরুণ , ভগ্নমনস্কতা এবং পড়তে অক্ষম রোগীদের দেখা দিয়েছে। বা বিশেষ অসুবিধা এগুলো রোগের মূল্য হলো

    ৬. পৃথিবীর জন্ম সম্পর্কিত নতুন ধারণা। বৈজ্ঞানিকরা অতি যত্নভাবে পৃথিবীর পাথর ও সৌরজগতের প্রাচীনকালের পতার্থ তুলনা করে আবিষ্কার করেছেন, তাদের গঠনের মধ্য বিরাট পার্থক্য রয়েছে। এই আবিষ্কার পৃথিবীর জন্ম সম্বন্ধে নতুন তর্ক-বিতর্কের উদ্রেক করেছে।

    ৭. সেলের আয়নের চ্যানল সম্পর্কিত গবেষণার অগ্রগতি। বিজ্ঞানীরা সেলের কালিউম আয়নের চ্যানেলর একটি সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি প্রকাশ করেছেন। এগুলো চ্যানেল হলো সেলে কালিউম আয়নের আসা যাওয়ার পথে প্রহরীর দায়িত্ব নেয়। তা স্নায়ু ও পেশির নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    ৮, আবহাওয়া পরিবর্তনের নতুন প্রমান। বৈজ্ঞানিকরা আবহাওয়ার গরমায়নের সঙ্গে মানবজাতির তত্পরতার এবং জড়িত হওয়ার আরো বেশি প্রমান আবিষ্কার করেছেন। যেমন সমুদের গভীর স্তরের পানি গরম হয়ে যাচ্ছে, প্রবল ঘূর্ণঝড় বার বার বয়ে যায়, আর্কটিক মহাসাগরের বরফ কমে যাচ্ছে এবং পাখিদের প্রবাসের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটছে।

    ৯. সেলের সংকেত প্রেরণের কাঠামো সম্পর্কিত গবেষণার অগ্রগতি। সেল কিভাবে আশেপাশের রাসায়নিক ও পরিবেশমূলক সংকেতে সাড়া দেয়, বিজ্ঞানীরা যে সম্পর্কে কিছু নতুন কাঠামো আবিষ্কার করেছেন এবং সেলের বিলুপ্তি সম্পর্কিত সংকেতের নেটওয়ার্ক অনুসন্ধান করেছেন।

    ১০. ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক তাপ-আণবিক পরীক্ষামূলক রিএক্টর(ITER)ফ্রান্সে স্থাপন করা হবে। তাতে আন্তর্জাতিক তাপ-আণবিক পরীক্ষামূলক রিএক্টর স্থাপনের জায়গা-নির্বাচনের তর্কবিতর্কের অবসান ঘটেছে।

    "সাইন্স" পত্রিকায় আবার ২০০৫ সালে বিজ্ঞান ক্ষেত্রের বৃহত্তমনিষ্ফলতাও নির্বাচন করেছে। তা হলো মার্কিন উচ্চ-শক্তি অণু ক্ষেত্রের গবেষণা। যুক্তরাষ্ট্র দুটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা বাতিল করেছে এবং একটি অণু-কলিডির বন্ধ করে দেয়ার কথা বিবেচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রকল্পগুলোর ব্যর্থতার দরুণ পৃথিবীর অন্য দেশের অণু ক্ষেত্রের গবেষণাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে পত্রিকায় আরো বলা হয়েছে, বিশ্বের বিজ্ঞানীরা একটি আন্তর্জাতিক স্ট্রেট-লাইন কলিডির নির্মানের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তা ভবিষ্যতে অণু গবেষণা ক্ষেত্রের একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা হতে পারে।

    "সাইন্স" পত্রিকায় আগামী বছরে বিশ্বের গবেষণা ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্বন্ধেও ভবিষ্যতবাণী উচ্চারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বার্ড-ফ্লুর ওষুধ ও টিকার গবেষণা, মানব জাতির আর.এন.এ.'য়ের বাধাদানের ব্যবস্থা, উচ্চ তাপমাত্রায় সুপার-কনডাক্টের গবেষণা, অণুজীবের বিবর্ধন এবং নিউট্রন গ্রহের সংঘাতের পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি।