v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-01-23 13:29:13    
১৬-২৩,জানুয়ারী,২০০৬

cri
    **চীনের প্রথম পৃথিবীর চক্রাকারে সমুদ্র অভিযান শেষ

    চীনের "তাইয়াং এক নং" বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ জাহাজ প্রায় ৩০০ দিনের যাত্রার মাধ্যমে চীনের প্রথম পৃথিবীর চক্রাকারে সমুদ্রে বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের নানান কর্তব্য সম্পন্ন করে ২২ জানুয়ারী প্রারম্ভ-স্থান ---চীনের পূর্বাঞ্চলের ছিংতাও বন্দরে ফিরে এসেছে।

    এবার "তাইয়াং এক নং" নামে পৃথিবীর চক্রাকারে সমুদ্র বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ অভিযান প্রশান্ত মহাসাগর, অটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর এই তিনটি মহাসাগর অতিক্রম করেছে, যুক্তরাষ্ট্রআর জার্মানীর সমুদ্র গবেষণা সংস্থা সহ বিশাধিক দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থার শতাধিক বিজ্ঞানি এই পর্যবেক্ষণ অভিযানে অংশ নিয়েছেন।

    জানা গেছে, এবারকার পর্যবেক্ষণ অভিযান সমুদ্রের তলদেশের সম্পদের জরীপ, কঠোর পরিবেশে জীববিদ্যাগত অবস্থা তদন্ত প্রভৃতি ক্ষেত্রে লক্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

    **বসন্ত উত্সব উপলক্ষে মূল ভূভাগ ও তাইপেইয়ের মধ্যে চার্টার ফ্লাইটযাতায়াচ শুরু করে

    তাইওয়ান প্রণালীর দুপারের বসন্তউত্সবকালীন ভাড়াটে বিমান তাইওয়ানের " চায়না এয়ার কোম্পানি"র ফ্লাইট ২০ জানুয়ারী বিকেল তিন টা ১০ মিনিটে তাইপেইয়ের থাও ইউয়ান বিমান বন্দরে প্রত্যাবর্তন করেছে ।

    বিমানটি একই দিন সকাল ৮টায় তাইপেই থেকে সাংহাইর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় । বিমানটির বেশির ভাগ যাত্রী মূলভূভাগে আত্মীয়স্বজনকে দেখতে বা পর্যটন করতে আসেন । ১২টায় ফিরতি ফ্লাইটে তাইওয়ানে ফিরে গিয়ে বসন্ত উত্সব উদযাপনেচ্ছু তাইওয়ানী ব্যবসায়ী ও প্রথমবার অনুমতি প্রাপ্ত তাইওয়ানী ছাত্রছাত্রীরা ছিলেন ।

    জানা গেছে , ২০ জানুয়ারী থেকে ৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দুপারের ৬টি করে বিমান কোম্পানি মোট ৩৬টি আসা-যাওয়া চার্টার ফ্লাইটের কর্তব্য পালন কররবে ।

    **চীনের আশাঃ পঞ্চম দফা ছ'পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলন যথাশীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে

    চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে মুখপাত্র খুংছুয়েন বলেছেন ,যাতে পঞ্চম দফা ছ'পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্মেলন যথাশীঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে পারে , তার জন্যে কোরীয়উপদ্বীপের পরমানু সমস্যা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাবে বলে চীন আশা করে ।

    ১৯ জানুয়ারী পেইচিংয়ে এক তথ্য জ্ঞাপন সভায় খুং ছুয়েন বলেছেন , চীন মনে করে যে , ছ'পক্ষীয় বৈঠকের ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে না । শান্তিপূর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে কোরীয়উপদ্বীপের পরমানু সমস্যার সমাধান করতে হবে , উপদ্বীপের পারমানবিক অস্ত্রমুক্তকরনেরলক্ষ্য ও নীতি পরিবর্তন করতে হবে না । চেয়ারম্যান দেশ হিসেবে চীন বরাবরই এর জন্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে এবং অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালাবে ।

    খুং ছুয়েন বলেছেন , যাতে পঞ্চম দফা ছ'পক্ষীয় বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক যথাশীঘ্রই অনুষ্ঠিত হয়, তার জন্যে বিভিন্নপক্ষ মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালাবে বলে চীন আশা করে ।

    **৮০ শতাংশ চীনা পণ্যভোগী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর আশাবাদী

    মাস্টারকার্ড আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রকাশিত পণ্যভোগীর আস্থার সূচক অনুযায়ী, ৮০ শতাংশের বেশি চীনা পণ্যভোগী খুবই আশাবাদী, দেশের জীবনের মান, অর্থনীতি এবং স্থায়ী আয়ের প্রতি তাঁদের আস্থার সূচক নিরন্তরভাবে বেড়ে যাচ্ছে।

    মোট ৫৪০০ জন পণ্যভোগী এই বারকার জরীপে অংশগ্রহন করেছেন। জরীপের বিষয়বস্তুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে কর্মসংস্থান, অর্থনীতি, স্থায়ী আয়, শেয়ার বাজার এবং জীবনের মান এই পাঁচটি বিষয়। জরীপের ফলাফল থেকে জানা গেছে, অন্যান্য আস্থার সূচকের তুলনায় পণ্যভোগীরা কর্মসংস্থানের প্রতি আস্থার সূচক একটু নিম্ন আছে, তবুও ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি, শেয়ার বাজারের প্রতি আস্থার সূচক কিছুটা বেড়েছে।

    **ভারত-পাক যৌথ ঘোষণা: শান্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে

    ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা নয়াদিল্লীতে যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করে বলেছেন যে, দু'পক্ষ অব্যাহতভাবে ভারত-পাক শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।

    ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা যৌথ ঘোষণায় বলেছে, শান্তি ও নিরাপত্তা প্রশ্নে দু'পক্ষ দু'দেশের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে অব্যাহতভাবে পারমাণবিক সংঘাত এড়ানোর বিষয়ে আলাপ-পরামর্শ করতে রাজী হয়েছে। দু'পক্ষ নৌ-পরিবহনের নিরাপত্তা সুরক্ষা চুক্তি এবং দু ভারত-পাক বাস্তব নিয়ন্ত্রণ রেখার আশেপাশে নতুন সামরিক চৌকি না স্থাপনের চুক্তি সম্পাদন করেছে।

    খবরে প্রকাশ, একই দিন ভারত ও পাকিস্তান অব্যাহতভাবে কাশ্মির সমস্যার সমাধানের জন্যে একটি গ্রহণযোগ্য উপায় অন্বেষণ করতে রাজী হয়েছে। তা ছাড়া, দু'পক্ষ করাচী ও মুম্বাইয়ে কন্সুলেট প্রতিষ্ঠা করবে।

    **এ বছরে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামে চীন ও ভারতের উন্নয়ন আলোচিত হবে

    বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ক্লাওম কোয়াব ১৮ জানুয়ারী জেনিভায় ঘোষণা করেছেন, এই ফোরামের ২০০৬ সালের বার্ষিক সম্মেলন ২৫ থেকে ২৯ জানুয়ারী পর্যন্ত সুইজার্ল্যান্ডের দাভোসে আয়োজিত হবে। চীন ও ভারতের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাব এবারকার সম্মেলনের একটি প্রধান আলোচ্যবিষয়।

    কোয়াব বলেছেন, চীন ও ভারতের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন ছাড়াও, সম্মেলনে বিশ্ব অর্থনীতি, বিশ্ব বাণিজ্য, শক্তিসম্পদ ও তেলের পরিসেবা ইত্যাদি আলোচ্যবিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা এই সুযোগে একটি ছোট্ট মন্ত্রী সম্মেলনের আয়োজন করবে, যাতে দোহা আলোচনার উন্নয়ন সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।

    **ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় সড়ক চালু

    ২০ জানুয়ারী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় সড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে ।

    ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ , পাকিস্তানের লাহোর থেকে ভারতের পান্ঞ্জাব প্রদেশের অমৃত্সরগামী পাকিস্তানের প্রথম বাস ২০ জানুয়ারী দুপুর বেলায় ভারতের বাস্তব সীমারেখার ওয়াগাহ্ স্টেশনে পৌঁছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে প্রবেশ করেছে । এথেকে প্রমানিত হয়েছে যে , ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৃতীয় সড়ক পরিবহন চালু হয়েছে । ২৪ জানুয়ারী ভারতের প্রথম বাস অমৃত্সর থেকে যাত্রা করবে ।

    দুদেশের জনগণের মধ্যেকার আদানপ্রদান জোরদার করার জন্যে ভারত ও পাকিস্তান সরকার গত ডিসেম্বর মাসে সড়কটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

    **পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মার্কিন বাহিনীর প্রতি পাকিস্তানের নিরীহ জনগণের হতাহত এড়ানোর তাগিদ জানিয়েছেন

    ২১ জানুয়ারী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মুশারাফ বলেছেন, পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ জানিয়েছে , যাতে পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলের ওপর মার্কিন বাহিনীর বিমান হামলা চালিয়ে নিরীহ জনগণকে হতাহত করার র্ঘটনা এড়ানো যায়।

    এটা হচ্ছে ১৩ জানুয়ারী আফগানিস্তানস্থ মার্কিন বাহিনীর পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলের ওপর বিমান হামলা চালিয়ে নিরীহ পাকিস্তানী হতাহত ঘটনার বিরুদ্ধে মুশারাফের প্রথমবার প্রকাশ্য মতাধিষ্ঠান ।

    ২২ জানুয়ারী পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের তথ্য থেকে জানা গেছে, ২১ জানুয়ারী মুশারাফ সফররত মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বুর্নসের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেছেন, "বাজুর অঞ্চলের ঘটনা আবার ঘটতে দেয়া হবে না ।"

    **শ্রীলংকা সরকার অব্যাহতভাবে এক চীননীতিতে অবিচল থকবে

    শ্রীলংকা সরকার ১৯ জানুয়ারী বলেছে, শ্রীলংকা সরকার অব্যাহতভাবে এক চীন নীতিতে অবিচল থকবে।

    শ্রীলংকার তথ্যমাধ্যম আর তথ্যমন্ত্রী একই দিন সংবাদদাতাদের বলেছেন, চীন একটি সার্বভৌম দেশ, তাইওয়ান চীনের একটি প্রদেশ। তিনি বলেছেন, শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি নতুন মন্ত্রীসভার অধিবেশনেবিশেষ করে বলেছেন, শ্রীলংকা সরকার এক চীন নীতিতে অবিচল থাকবে।

    আনুলা ইয়াপা বলেছেন, শ্রীলংকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা চীনের তাইওয়ান অঞ্চলের বাণিজ্যিক অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারে।

    **চীনের প্রশংসায় ডাব্লিও টি ও'র মহাপরিচালক

    বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক প্যাস্কাল লামী ১৯ জানুয়ারী জেনিভায় দোহা আলোচনার জন্য চীনের চালানো প্রয়াসের উচ্চ প্রশংসা করেছেন । তিনি মনে করেন , বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিভিন্ন সদস্যের মধ্যে চীন সেতুর ভূমিকা পালন করে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যায় তাদের মতানৈক্য কমিয়েছে ।

    চীনের সংবাদদাতাদের সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় লামী বলেছেন , ২০০১ সালে দোহা আলোচনা শুরু হওয়ার পর চীন বরাবরই সক্রিয়ভাবে তাতে অংশ্রগহণ করেছে , এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে । তিনি বলেছেন , চীন নিজের দেশের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত প্রয়াস চালিয়েছে , এবং বিভিন্ন সদস্য দেশের মধ্যে সেতুর ভূমিকা পালন করেছে।

    লামী মনে করেন , চীন দোহা আলোচনার জন্য অবদান রেখেছে , পরের আলোচনায় বাজারের উন্মুক্ত সমস্যায় চীন যদি যুক্তিসংগত প্রতিদানের অনুরোধ করে , তাহলে অন্যান্য সদস্য দেশও বিরোধীতা করবে না।

    **কোইজুমিঃ জাপান চীন আর দক্ষিণ কোরিয়ার সংগে ভবিষ্যতমুখী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে চায়

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী কোইজুমি জুনিচিরো ২০ জানুয়ারী বিকেলে জাপানের সংসদের প্রতিনিধি পরিষদ আর সিনেটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় বলেছেন , জাপান পারস্পরিক সমঝোতা আর আস্থার ভিত্তিতে চীন আর দক্ষিণ কোরিয়ার সংগে ভবিষ্যতমুখী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হবে ।

    তিনি বলেছেন , জাপান চীন আর দক্ষিণ কোরিয়ার সংগে অর্থনীতি , সংস্কৃতি , শিল্পকলা , ক্রীড়া প্রভৃতি ব্যাপক ক্ষেত্রে নিবিড় আদান প্রদান করে । চীন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবর্তে জাপানের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশিদারে পরিণত হয়েছে । তিনি বলেছেন , কতকগুলো বিষয়ে এই দু'দেশের সংগে জাপানের মতভেদ আর বৈরিতা থাকা সত্ত্বেও এ দু'দেশই জাপানের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ ।

    **মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া প্রথম মন্ত্রী সংলাপ শুরু

    ১৯ জানুয়ারী ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী কন্ডোলিজ্জা রাইস সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী বান কিমুনের সঙ্গে দু'দেশের প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের রণনৈতিক সংলাপ করেছেন । দু'পক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর নমনীয়তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন ।

    এই চুক্তি অনুযায়ী , যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক রণনীতির বিশ্বায়ন অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন বাহিনীর রণনৈতিক নমনীয়তাকে সম্মান করবে । তার প্রতিপক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন বাহিনীকে আন্তর্জাতিক সংঘর্ষে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর-পূর্ব এশিয়ার সংঘর্ষে না জড়ানোর নিশ্চয়তা দেবে ।

    রাইস ও বান কিমুন সেদিন ছ'পক্ষীয় বৈঠক , ইরানের পরমাণু সমস্যা , দক্ষিণ কোরিয়া ও প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেছেন । দু'পক্ষ উত্তর কোরিয়ার প্রতি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছ'পক্ষীয় বৈঠকে ফিরে আসার আহ্বানও জানিয়েছে ।

    **ইরাক সংসদ নির্বাচনে শিয়া সম্প্রদায় জয়ী

    ইরাকের স্বতন্ত্র নির্বাচন কমিটি ২০ জানুয়ারী বাগদাদে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আয়োজিত ইরাক সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেছে । শিয়া সম্প্রদায়ের ইউনাইটেড ইরাকী এলাইন্স এবারকার নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। কিন্তু তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জন করে নি ।

    খবরে প্রকাশ , শিয়া সম্প্রদায়ের ইউনাইটেড ইরাকী এলাইন্স সংসদের ২৭৫টি আসনের মধ্যে ১২৮টি আসন জয় করেছে , কুর্দিস্তান কোয়ালিশন ৫৩টি আসন অর্জন করেছে আর সুন্নি সম্প্রদায়ের ইরাকী আকোরডেন্স ফ্রন্টশুধু ৪৪টি আসন পেয়েছে । কিন্তু এ পর্যন্ত এই ফলাফল চূড়ান্তভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় নি ।

    **জাতি সংঘ মহাসচিব কফি আন্নান একই দিন প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে ইরাক নির্বাচনের এই ফলাফলের জন্য স্বাগত জানিয়েছেন ।

    মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মেকোরম্যাক একই দিন বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্র আশা করে যে , ইরাকের বিভিন্ন পক্ষ সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে দায়িত্বশীল , কার্যকর আর ইরাকী জনগণের সেবা করতে পারে এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে ।

    **একজন পশ্চিমা কূটনীতিকঃ বারাডেই মার্চ মাসে ইরানের পারমাণবিক সমস্যার রিপোর্ট দাখিল করবেন

    একজন পশ্চিমা কূটনীতিক ২০ জানুয়ারী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক এল-বারাডেই ইরানকে আরেক মাসের সময় দেবেন, যাতে ইরান মার্চ মাসের আগে পারমাণবিক জ্বালানি গবেষণা তত্পরতা বন্ধ করতে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা আবার শুরু করতে পারে।

    এই কূটনীতিক আরো বলেছেন, বারাডেই ৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার পরিষদের সম্মেলনে ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন। তখন ইরান পারমাণবিক জ্বালানি গবেষণা তত্পরতা বন্ধ করতে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা আবার শুরু করতে না পারলে আন্তর্জাতিক সমাজ ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনাকে বরদাস্ত করবে না।

    **বিন লাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবঃ যুক্তরাষ্ট্রেরপ্রত্যাখ্যান

    আল কায়দা সংস্থার এক নম্বরসর্দার বিন লাদেন তার সম্প্রতি প্রচারিত ধারণকৃত ভাষণে যে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা ১৯ জানুয়ারী তা প্রত্যাখ্যানকরেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বৈঠক করবে না ।

    একই দিন ফক্স নিউজ চ্যানেলকেদেয়া এক সাক্ষাত্কারে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ব্রুস চেনি বলেছেন , এটা বিন লাদের এক কৌশল । আল কায়দা সংস্থাবৈঠকে বসতে পারে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে এমন সংস্থা নয় । তাকে ধ্বংস করা হল সমস্যার সমাধানের এক মাত্র পদ্ধতি । হুয়াইটহাউসের মুখপাত্র স্কট ম্যাকলেল্লানও বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বৈঠক করবে না , বরং তাদেরকে ধ্বংস করবে ।