** মার্কিন-ফিলিস্তি শীর্ষ বৈঠক
১৯৯৮ সালের ২২শে জানুয়ারী হোয়াইট হাউসে মধ্য-প্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া বাঁচানোর ব্যাপার নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিটন এবং পি এলও-এর প্রয়াত চেয়ারম্যান ইয়াসের আরাফাতের মধ্যে প্রথমবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আরাফাত বলেন, বিল ক্লিনটনের সঙ্গে তিনি মধ্য-প্রাচ্য সমস্যা সমাধানের কয়েকটি কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করেছেন । এটা একটি "অত্যন্ত আন্তরিক আর গঠনমূলক ও গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের সাবেক লেবার পাটি আর ফিলিস্তিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, ইজরাইলের উচিত, ফেরত দেয়া জদার্ন নদীর পশ্চিম তীরের ২৭ শতাংশ ভুমির বাইরে এই এলাকার আরও ৬০ শতাংশ ভূমি ফেরত দেয়া।
ওয়াশিংটন পৌছানোর পর, আরাফাত বলেন, ফিলিস্তিনীদের কোনো অযুক্তিক দাবী নেই। চুক্তি অনুসারে তাদের প্রাপ্য ছাড়া ফিলিস্তিন অতিরিক্ত কিছু চায়না । এখন ব্যাপার হলো, ইসরাইলের কড়াকড়িভাবে সংশ্লিষ্ট চুক্তি কার্যকরী করা উচিত।
বৈঠকের আগে বিল ক্লিনটনবলেন , মধ্য-প্রাচ্য সমস্যাকে একটি জরুরী ব্যাপার হিসেবে গণ্য করা উচিত। এই সমস্যার শান্তিমূলক সমাধানের ধাপ দ্রুততর করার জন্যে তত্কালীণ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অল ব্রাইট মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র আর ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, বিল ক্লিনটনের প্রস্তাব এই যে , ইসলামী চরমপন্থীদের উপর আঘাত হানার জন্যে ফিলিস্তিনকে ধারাবাহিক পদক্ষেপ নিয়ে হবে । এর সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইলকে ধাপে ধাপে জর্দান নদীর পশ্চিম তীর থেকে সরে যেতে হবে ।
** চিয়ান জেনের জাপান-যাত্রার রহস্য
চিয়ান জেন ( ৬৮৮__৭৬৩) , এর আরেক নাম ছিলো ছুন ইউ, ইয়াংচৌ চিয়াংইন ( বর্তমান চীনের চিয়াংসু প্রদেশের ইয়াংচৌ শহরের অধিবাসী )
৭৫৩ সালে চিয়ান জেন অনেক বৌদ্ধ বই-পুস্তক নিয়ে তাঁর ষষ্ঠবার জাপান-যাত্রা করেন । অনেক কষ্ট সংগ্রামের পর তিনি ৭৫৪ সালের ২২ জানুয়ারী জাপানের চিউচৌ পৌঁছেছে। তাঁর জাপান-যাত্রা চীন - জাপান মৈত্রীর উন্নয়নে উপর অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
জাপানে চিয়ান জেন সম্বন্ধে নানা রকম কিংবদন্তী প্রচলিত।এমন কি ,কোনো কোনো জাপানী পন্ডিত মনে করেন চিয়ান জেন জাপানের ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখিত সম্রাট সিন্তু ।জাপানী জনগণও তাদের পুর্বপুরুষ হিসেবে চিয়ান জেনকে পুজা করেন ।
** ফ্রান্স- জার্মানি সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত
১৯৬৩ সালের ২২ জানুয়ারি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দ্যগল ও জার্মানির চ্যান্সেলর আডেনাউয়ার প্যারিসে "ফ্রান্স- জার্মানি সহযোগিতা চুক্তি" স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে বলা হয় যে দুদেশ সরকারের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা ও যুব বিষয়ক প্রধান এবং সেনাপ্রধান নিয়মিতভাবে বৈঠক হবেন , যাতে দুদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং যুব সমস্যার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার হয় এবং পারস্পরিক আদানপ্রদান ও যোগাযোগ সম্প্রসারিত হয়। এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্বন্ধে ফ্রান্স ও জার্মানির সহযোগিতা একটি নতুন পর্যায়ে এগিয়ে যায় ।
|