** মানব জাতি প্রথমবার জীবজণ্ডকে মহাকাশে প্রেরণ
১৯৬০ সালের ২১ জানুয়ারী, মানব জাতি প্রথমবারের মত তিন বছর বয়সী একটি বানরী মহাকাশে পাঠিয়ে দেয়। বেগবর্ধক শক্তি আর ওজনশূণ্যতায় সৃস্ট প্রভাব পরীক্ষা করার জন্যে সে দিন যুক্তাষ্ট্রে সাম নামক একটি বানরীকে "বুধ গ্রহ পরিকল্পনা " অনুসারে মহাকাশে পাঠানো হয়।১৩ মিনিটের পর প্যারাশুট যোগে এই বানরী পৃথিবীতে নেমে আসে।
** তিব্বতের ছাংতু অঞ্চলে ডাইনাসোর জীবাশ্ম প্রথমবার আবিষ্কার
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চীনের পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অন্যতম । সংক্ষেপে তিব্বত নামে পরিচিত। অঞ্চলটি তিব্বতজাতিকে কেন্দ্র করে গঠিত এক স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল । তিব্বত চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে এবং ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। তিব্বতের দক্ষিন আর পশ্চিম দিক মায়ানমার, ভারত, ভূট্টান, সিকিম আর নেপাল প্রভৃতি দেশের সংগে সংলগ্ন । তার মোট সীমান্ত রেখা প্রায় ৪০০০কিলোমিটার । তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আয়তন ১২.২ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। এটা চীনের মোট আয়তনের ১২.৮ শতাংশ।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের গড়পড়তা সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৪০০০মিটারেরও বেশী । এই অঞ্চল ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির প্রধান অংশ । তিব্বত পৃথিবীর ছাঁদ নামে পরিচিত । তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মোট লোকসংখ্যা ২৬ লক্ষ।এর মধ্যে তিব্বতজাতির লোকসংখ্যা ২৫ লক্ষ । এই সংখ্যা তিব্বতের মোট লোকসংখ্যার ৯৬শতাংশ । তিব্বত চীনের এমন একটি প্রদেশ যার লোকসংখ্যা এবং ঘনত্ব সবচেয়ে কম । তার লোকসংখ্যার গড়পড়তা ঘনত্ব এক বর্গকিলোমিটারে ২ জনের চেয়ে কম ।
১৯৭৭ সালের ২১ জানুয়ারী চীনের বৈজ্ঞানিক কর্মীরা তিব্বতের ছাংতু এলাকায দুর্লভ ডাইনোসোর জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। ছাংতুর মত এই উচ্চ মালভূমিতে ডাইনোসোর জীবাশ্ম আবিষ্কার বিশ্বে এই প্রথম। ছিংহাই-তিব্বত মালভূমির ভৌগোলিক বিকাশের ইতিহাস, প্রাচীন জীবের বিবর্তন , প্রাচীন ভৌগোলিক পরিবেশ, প্রাচীন আবহাওয়া ইত্যাদি গবেষণার জন্য এই আবিষ্কারের গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্য রয়েছে।
** পেইচিং পশ্চিম রেল স্টেশন চালু
১৯৯৬ সালের ২১ জানুয়ারী সকাল সাড়ে দশটায় " মাও সেতুং মার্কা " নামক " বিশেষ ১" যাত্রীবাহী -ট্রেন পেইচিং পশ্চিম রেল স্টেশন থেকে আস্তে আস্তে রওনা হয়। এভাবে তিন বছরের মধ্যে নিমিত বিশ্বের এই চতুর্থ বড় আধুনিক রেল স্টেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়।
পেইচিং পশ্চিম রেল স্টেশন হচ্ছে চীনের রাজধানির রেল পরিবহনের কেন্দ্র, চিংচিউ রেলপথের " যাদ্রামূল" এবং চীনের রেলপথ নির্মাণ ইতিহাসে সবচেয়ে পুর্নাঙ্গব্যবস্থসম্পন্ন, আধুনিক ও বিরাটাকারের যাত্রী পরিবহনের রেল স্টেশন ।
চীন রেলপথের নির্মাণ কাজ আরও দ্রুততর করবে, যাতে দীর্ঘকাল ধরে চীনের অর্থনৈতিক উন্নতিতে বাধাগ্রস্ত রেল পরিবহন ক্ষমতার অপ্রতুল্যতার সমস্যা সমাধান করা যায়। এর সঙ্গে সঙ্গে রেলপথ সরঞ্জামের আধুনিকিকরণ দ্রুততর করা হবে।রেলপথের নির্মাণ কাজ চীন আরো ১.২৫ ট্রিলিয়ন ইউয়ান পুঁজি বিনিয়োগ করবে। ২০১০ সাল নাগাদ সারা চীন দেশে ৯০ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ চালু থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তখন রেল পরিবহন ক্ষমতার অপ্রতুল্যতার সমস্যা মোটামুটি সমাধান হবে ।
|