** আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত
ফার্সী ভাষায় আফগান মানে পাহাড়ী লোক ।আফগানিস্তান এশিয়ার মধ্য-পশ্চিমাংশে অবস্থিত।আয়তন ৬ লক্ষ ৫২ হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার, লোক সংখ্যা ২ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫০ হাজার । পশতু জাতি ৪০ শতাংশ , তাজিক জাতি প্রায় ৩০ শতাংশ। সরকারী ভাষা হলো পশতু আর ডারী ভাষা। ৯৮ শতাংশের বেশী লোক ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করেন।
আফগানিস্তান একটি কৃষি আর পশুপালন-ভিত্তিক দেশ।আফগানিস্তানের রফতানী পণ্য হচ্ছে তুলা, চামড়া , প্রাকৃতিক গ্যাস, ফলমূল ইত্যাদি । প্রধান আমদানী পণ্য হচ্ছে: তেল , গম , বস্ত্র , চা ইত্যাদি।
১৭৪৭ সালে আফগানিস্তান একটি একীভূত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৯ সালের ১৯শে আগষ্ট স্বাধীন হয়। আফগানিস্তান স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে।
১৯৫৫ সালের ২০ জানুয়ারী চীন-আফগানিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
** তিনগিরিখাত প্রকল্পের প্রথমবার " বিস্ফোরণ" সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত
ইয়াংসি নদীর জলসম্পদ খুবই সমৃদ্ধ , ইয়াংসির তিনগিরিখাত বহুমুখী প্রকল্প হলো ইয়াংসি নদীর বহুমুখী সংস্কার ও উন্নয়নের চাবিকাঠিমূলক প্রকল্প। তিনগিরিখাত প্রকল্পের নির্মাণস্থল হিসেবে ইয়াংসি নদীর মধ্য অববাহিকার হুপেই প্রদেশের ইছাং এলাকার সানতৌফিং নামক জায়গাকে বেছে নেয়া হয়েছে । এখানে ইয়াংসি নদীর উপত্যকা সুপ্রশস্ত, এখানকার গ্রানাইট শিলা প্রস্তর খুবই মজবুত এবং পূর্ণাঙ্গ, এখানে প্রকল্প নির্মাণ করলে এর উজান দিকের ১০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট সুবিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে , নদীর এই অংশের মধ্য দিয়ে বছরে গড়পড়তা প্রায় ৫০০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয় ।
ইয়াংসির তিন গিরিখাত প্রকল্প নির্মাণের পদ্ধতি হলো : "এক পর্যায়েই উন্নয়ন করা, একবারেই গড়ে তোলা, ধাপে ধাপে পানি মজুদ রাখা, অনবরতভাবেই স্থানীয় বাসিন্দাদের স্থানান্তরিত(অভিবাসন) করা " । প্রকল্পটির প্রধান বাঁধের উপরিভাগ মোট ৩০৩৫ মিটার দীর্ঘ, তাতে সাধারনত ১৭৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত পানি মজুদ রাখা হয়, বাঁধের মাধ্যমে সৃষ্ট জলাধারে মোট ৩৯৩০ কোটি কিউবিক মিটার পানি মজুদ রাখা যায় ।
ইয়াংসির তিনগিরিখাত প্রকল্প নির্মাণ সমাপ্ত হবার পর তা বন্যা প্রতিরোধ, বিদ্যুত্ উত্পাদন, নৌপরিবহণ, মাছ প্রভৃতি জলজাত দ্রব্য চাষ, পর্যটন, প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশ সংস্কার, উন্নয়নমূলক অভিবাসন, চীনের দক্ষিণাঞ্চলের পানি উত্তরাঞ্চলে পাঠানো আর জলসেচ ও জল সরবরাহ ইত্যাদি বহুমুখী ভূমিকা পালন করতে পারে ।
২০০৪ সালের ২০ জানুয়ারী তিনগিরিখাত প্রকল্পের জলাধারে যথাযথভাবে পানি মজুদ রাখার সুবিধার জন্য প্রথমবার বিস্ফোরণ সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়।
** চীন-বেলারুস কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন
১৯১৯ সালে বেলারুস সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে যোগদান করে। তার আয়তন ২ লক্ষ ৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার। লোক সংখ্যা প্রায় ১ কোটি । বেলারুস জাতি ৭৮ শতাংশ , রুশ জাতি ১৩ শতাংশ।সরকারী ভাষা হলো বেলারুস ভাষা এবং রুশ ভাষ ।
১৯৯২ সালের ২০ জানুয়ারী চীন-বেলারুস কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
|