১৬৮৯ সালের ১৮ জানুয়ারি ফ্রান্সের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মণ্টেস্কিউ-এর জন্ম
১৬৮৯ সালের ১৮ জানুয়ারি ফ্রান্সের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মণ্টেস্কিউ-এর জন্ম। তাঁর পুরো নাম : চারলেস লুইস ডে সেকণ্ডাট মণ্টেস্কিউ। তিনি বুর্জোয়াশ্রেণীর বিশ্ববিখ্যাত চিন্তাবিদ।
১৭৪৮ সালে তিনি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনা ' আইনের ভাবমানস প্রসঙ্গে' প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থে তিনি সামন্ততান্ত্রিক স্বৈরতন্ত্রের ব্যবস্থার স্বরূপ উদ্ঘাটন করেন, ক্যাথোলিক ধর্ম ও তার ধর্মতত্ত্বের বিরোধিতা করেন । আরও গুরুত্বপূর্ণ কথা এই যে, তিনি এই গ্রন্থে সম্পূর্ণরূপে বুর্জোয়াশ্রেণীর রাষ্ট্রতত্ত্ব ও আইন সংক্রান্ত তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। বিশেষ করে " তিন ক্ষমতার বিভক্তিতত্ত্ব" উপস্থাপন করেন। এটাই বুর্জোয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থার মৌলিক নীতি।
১৯৫০ সালের ১৮ই জানুয়ারী চীন ও ভিয়েতনামের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন
ভিয়েতনাম চীনের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। আয়তন ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৫৬ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা৮ কোটি ১০ লক্ষ। ষাটটিরও বেশি জাতি আছে, চিং জাতির লোকসংখ্যা মোট লোকসংখ্যার শতকরা ৮৯ ভাগের উপর। সারা দেশে ভিয়েতনামী ভাষা প্রচলিত। জনসাধারণ প্রধানতঃ বৌদ্ধ ধর্ম, ক্যাথলিক ধর্মে বিশ্বাস করেন। রাজধানী হ্যানয়।
ভিয়েতনামের অর্থনীতি কৃষি প্রধান। প্রধান রপ্তানী দ্রব্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে, কৃষিজাত দ্রব্য, খনিজদ্রব্য এবং কারুশিল্পজাত দ্রব্য। প্রধান আমদানী দ্রব্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে, ইস্পাত, যন্ত্র ও বিদ্যুত প্রযুক্তি সংক্রান্ত দ্রব্য, পেট্রোলিয়াম দ্রব্য, রাসায়নিক দ্রব্য, তুলা ইত্যাদি।
দশম শতাব্দীর পর ভিয়েতনাম সামন্ততান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৮৪ সালে ভিয়েতনাম ফ্রান্সের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৪৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর ভিয়েতনাম স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৫০ সালের ১৮ই জানুয়ারী চীনের সঙ্গে ভিয়েতনামের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯২ সালের ১৮ জানুয়ারি তেং সিয়াওপিংয়ের দক্ষিণ অঞ্চল সফর
১৯৯২ সালের ১৮ জানুয়ারি চীনের প্রবীণ নেতা তেং সিয়াওপিং চীনের দক্ষিণ অঞ্চলের উহান, শেনচেন, চুহাই, সাংহাই প্রভৃতি শহর সফর ও পরিদর্শন করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, চীনের মৌলিক লাইন এক শো বছর টিকবে, তাতে অবিচল থাকতে হবে। একটি কাজ ভাল না মন্দ তা বিচার করার সময়ে দেখতে হবে, তা সমাজতান্ত্রিক সমাজের উত্পাদন শক্তি উন্নয়নের অনুকূল কি-না, সমাজতান্ত্রিক দেশের বহুমুখী রাষ্ট্রীয় শক্তি-সামর্থ্য বাড়ানোর অনুকূল কি-না এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের অনুকূল হবে কি-না। সমাজতন্ত্রের মূল কথা হলো উত্পাদন শক্তি মুক্ত করা, উত্পাদন শক্তি উন্নয়ন করা, শোষণ ধ্বংস করা, সমাজের দ্বি-বিভক্তি দূর করা এবং শেষ পর্যন্ত অভিন্ন সমৃদ্ধি লাভ করা। সাহসের সঙ্গে সংস্কার অভিযান চালিয়ে যেতে হবে , সুযোগ আঁকড়ে ধরতে হবে, নিজদেশের উন্নয়ন ঘটাতে হবে, চাবিকাঠি হলো অর্থনৈতিক উন্নয়নসাধন। কেবল উন্নয়নই হলো সঠিক পথ। দক্ষিণপন্থীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে , কিন্তু আমাদের প্রধান কর্তব্য হলো "বামঝোঁকী প্রবণতা" রোধ করা । বস্তুগত সভ্যতা ও মানবিক বা মানসিক সভ্যতা উভয় ক্ষেত্রের কাজ উন্নততর করতে হবে। এটাই হবে চীনের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সমাজতন্ত্র ।
|